আসানসোল, 10 এপ্রিল : দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে বৃদ্ধের মৃত্যুর পরই নড়েচড়ে বসল পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন । কোরোনার কারণেই ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে নিশ্চিত করা হয়নি । কিন্তু তড়িঘড়ি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকে ওই বৃদ্ধের সংস্পর্শে আসা 30 জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে । মৃতের পরিবারের প্রত্যেককে আইসোলেশনে এবং বাকিদের কোয়ারান্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন ।
গতরাতেই দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আসানসোলের ওই বৃদ্ধের । তিনি পেশায় চিকিৎসক ছিলেন । বৃদ্ধের মৃত্যুর পরই আজ আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দপ্তরে জরুরি বৈঠক ডাকা হয় । বৈঠকে ছিলেন আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুকেশ জৈন, জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি, আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি, দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্থি, অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা । ওই বৃদ্ধের বাড়ি সংলগ্ন এলাকাকে সংক্রমণমুক্ত করার কাজও চলছে ।
যদি কোনও রোগী কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, সেক্ষেত্রে হাসপাতালের কাছাকাছি কোনও স্থানেই তাঁর দেহ সৎকার করা হবে । এজন্য হাসপাতালের নির্দিষ্ট গাড়িও রাখা থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে ।