ETV Bharat / business

Rapido Boys Success Story: ব্যাংকের দরজায় ঘুরে ক্ষয়েছে জুতো, এখন 6,800 কোটির মালিক 'ব়্যাপিডো'র তিন বন্ধু - আজ 6800 কোটির মালিক ব়্যাপিডোর তিন বন্ধু

তিন বন্ধুর জীবন কীভাবে বদলে যায় তারই এক অনন্য কাহিনি 'ব়্যাপিডো' ৷ একদিন ব্যাংকের দরজায় দরজায় ঘুরে মেলেনি লোন ৷ আজ তারাই 6,800 কোটির মালিক ৷

Rapido Boys Success Story
আজ 6800 কোটির মালিক ব়্যাপিডোর তিন বন্ধু
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 6, 2023, 10:53 PM IST

হায়দরাবাদ: ক্যাব বা অটো পেতে গেলে একসময় 'ওলা' আর 'উবের'-ই ছিল ভরসা ৷ এখন আর সেইদিন নেই ৷ বাজারে এসেছে 'ব়্যাপিডো' নামের আরও একটি অ্যাপ ৷ বড় বড় 'মার্কেট জায়ান্ট'দের সামনে দাঁড়িয়েও লড়াই চালিয়ে গিয়েছে এই কোম্পানি ৷ আর আজ তাদের সম্পদের পরিমাণ 6,800 কোটি ৷ তিন উদ্যমী যুবকের সাফল্যের এক অনবদ্য গল্প জড়িয়ে আছে 'ব়্যাপিডো'র সঙ্গে ৷ এই তিন যুবকের নাম পবন গুনটুপল্লি, অরবিন্দ শঙ্খ এবং ঋষিকেশ ৷

'ব়্যাপিডো'র জন্ম হয় একেবারে অন্যরকম একটি আইডিয়া থেকে ৷ অটো, বড় গাড়ির ভিড় থেকে বেশিরভাগ সময়ই লেগে যায় যানজট ৷ আর হাঁসফাঁস অবস্থা হয় যাত্রীদের ৷ অথচ বাইক খুব সহজেই যানজট কাটিয়ে এগিয়ে যেতে পারে ৷ 'ব়্যাপিডো' অ্যাপ নির্মাতারা এই বাইকারদেরই কাজে লাগায় তাদের ব্যবসা গড়ে তুলতে ৷ বাইক নিয়ে মালপত্র ডেলিভারির ব্যবস্থা আগেই ছিল ৷ এবার বাইকাররাই লোকজনকে পৌঁছে দিতে শুরু করলেন নির্দিষ্ট গন্তব্যে ৷ তাতে খরচও কমে আবার সময়ও কম লাগে ৷ বাইক ট্যাক্সির এই ব্যবস্থা 'ওলা' আর 'উবের'-এও ছিল তবে তাকে আরও জনপ্রিয় করে তোলে 'ব়্যাপিডো' ৷

সেই থেকেই শুরু 'ব়্যাপিডো'র সাফল্যের যাত্রা ৷ পবন পড়াশোনা শেষ করেন আইআইটি খড়গপুরে ৷ এরপর রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিস থেকে ইন্টার্নশিপ শেষ করেন তিনি ৷ কাজ করেছিলেন স্যামসাং রিসার্চ সেন্টারেও ৷ অন্যদিকে অরবিন্দ ছিলেন আইআইটি ভুবনেশ্বরের ছাত্র ৷ তিনিও কাজ করেছেন টাটা মোটরস এবং ফ্লিপকার্টের মতো সংস্থায় ৷ আর ঋষিকেশ ছিলেন পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ৷ একজন বন্ধুর সূত্র ধরেই তাঁদের আলাপ ৷

আরও পড়ুন: ছোট ব্যবসায়ীদের সাহায্য করতে নয়া ফিচার গুগলে

2015 সালে প্রথম তিন বন্ধু পরিকল্পনা করেন একটি বাইক ট্যাক্সি সার্ভিস চালু করার ৷ 'ওলা' আর 'উবের'-এও যেহেতু এই ব্যবস্থা রয়েছে তাই তারা ঠিক করেন তাঁদের 'ইউএসপি' হবে আরও ভালো পরিষেবা ৷ তবে পরিকল্পনা হলেই তো হল না দরকার বিনিয়োগ ৷ বেশকিছু ব্যাংকের কাছে ঘোরাঘুরি করেন তারা ৷ একশোরও বেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ কিন্তু প্রায় 1 বছর যাবৎ কেউই তাঁদের জন্য় হাত বাড়াননি ৷ অবশেষে 2016 সালে হিরো মোটোকর্পের চেয়ারম্যান পবন মুনজল তাঁদের প্রস্তাবে রাজি হন ৷ শুরু হয় পথ চলা ৷ তখন কেবলমাত্র বেঙ্গালুরু শহরেই পাওয়া যেত 'ব়্যাপিডো'র এই বাইক ট্যাক্সি ৷ তারপর গোটা ভারত জুড়েই ছড়িয়ে পড়ে তাঁদের এই ব্যবসা ৷ আর আজ সেই তিন যুবক 6,800 কোটির মালিক ৷

হায়দরাবাদ: ক্যাব বা অটো পেতে গেলে একসময় 'ওলা' আর 'উবের'-ই ছিল ভরসা ৷ এখন আর সেইদিন নেই ৷ বাজারে এসেছে 'ব়্যাপিডো' নামের আরও একটি অ্যাপ ৷ বড় বড় 'মার্কেট জায়ান্ট'দের সামনে দাঁড়িয়েও লড়াই চালিয়ে গিয়েছে এই কোম্পানি ৷ আর আজ তাদের সম্পদের পরিমাণ 6,800 কোটি ৷ তিন উদ্যমী যুবকের সাফল্যের এক অনবদ্য গল্প জড়িয়ে আছে 'ব়্যাপিডো'র সঙ্গে ৷ এই তিন যুবকের নাম পবন গুনটুপল্লি, অরবিন্দ শঙ্খ এবং ঋষিকেশ ৷

'ব়্যাপিডো'র জন্ম হয় একেবারে অন্যরকম একটি আইডিয়া থেকে ৷ অটো, বড় গাড়ির ভিড় থেকে বেশিরভাগ সময়ই লেগে যায় যানজট ৷ আর হাঁসফাঁস অবস্থা হয় যাত্রীদের ৷ অথচ বাইক খুব সহজেই যানজট কাটিয়ে এগিয়ে যেতে পারে ৷ 'ব়্যাপিডো' অ্যাপ নির্মাতারা এই বাইকারদেরই কাজে লাগায় তাদের ব্যবসা গড়ে তুলতে ৷ বাইক নিয়ে মালপত্র ডেলিভারির ব্যবস্থা আগেই ছিল ৷ এবার বাইকাররাই লোকজনকে পৌঁছে দিতে শুরু করলেন নির্দিষ্ট গন্তব্যে ৷ তাতে খরচও কমে আবার সময়ও কম লাগে ৷ বাইক ট্যাক্সির এই ব্যবস্থা 'ওলা' আর 'উবের'-এও ছিল তবে তাকে আরও জনপ্রিয় করে তোলে 'ব়্যাপিডো' ৷

সেই থেকেই শুরু 'ব়্যাপিডো'র সাফল্যের যাত্রা ৷ পবন পড়াশোনা শেষ করেন আইআইটি খড়গপুরে ৷ এরপর রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিস থেকে ইন্টার্নশিপ শেষ করেন তিনি ৷ কাজ করেছিলেন স্যামসাং রিসার্চ সেন্টারেও ৷ অন্যদিকে অরবিন্দ ছিলেন আইআইটি ভুবনেশ্বরের ছাত্র ৷ তিনিও কাজ করেছেন টাটা মোটরস এবং ফ্লিপকার্টের মতো সংস্থায় ৷ আর ঋষিকেশ ছিলেন পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ৷ একজন বন্ধুর সূত্র ধরেই তাঁদের আলাপ ৷

আরও পড়ুন: ছোট ব্যবসায়ীদের সাহায্য করতে নয়া ফিচার গুগলে

2015 সালে প্রথম তিন বন্ধু পরিকল্পনা করেন একটি বাইক ট্যাক্সি সার্ভিস চালু করার ৷ 'ওলা' আর 'উবের'-এও যেহেতু এই ব্যবস্থা রয়েছে তাই তারা ঠিক করেন তাঁদের 'ইউএসপি' হবে আরও ভালো পরিষেবা ৷ তবে পরিকল্পনা হলেই তো হল না দরকার বিনিয়োগ ৷ বেশকিছু ব্যাংকের কাছে ঘোরাঘুরি করেন তারা ৷ একশোরও বেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ কিন্তু প্রায় 1 বছর যাবৎ কেউই তাঁদের জন্য় হাত বাড়াননি ৷ অবশেষে 2016 সালে হিরো মোটোকর্পের চেয়ারম্যান পবন মুনজল তাঁদের প্রস্তাবে রাজি হন ৷ শুরু হয় পথ চলা ৷ তখন কেবলমাত্র বেঙ্গালুরু শহরেই পাওয়া যেত 'ব়্যাপিডো'র এই বাইক ট্যাক্সি ৷ তারপর গোটা ভারত জুড়েই ছড়িয়ে পড়ে তাঁদের এই ব্যবসা ৷ আর আজ সেই তিন যুবক 6,800 কোটির মালিক ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.