নয়াদিল্লি, 23 ফেব্রুয়ারি: ক্য়াপিট্যাল ওর্থ রিসার্চ হাউস এবং এই সংস্থার অংশীদারদের তিনবছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করল সেবি (SEBI banned Capital Worth Research House) ৷ বৈধ অনুমতি ছাড়াই বাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত পরিষেবা প্রদান করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ একইসঙ্গে, ক্য়াপিট্যাল ওর্থ রিসার্চ হাউসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী তিনমাসের মধ্য়ে ক্লায়েন্ট বা গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া 1 কোটি 54 লক্ষেরও বেশি টাকা তাদের ফেরত দিতে হবে ৷
বুধবার এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করে সেবি ৷ তাতে বলা হয়েছে, যে তারিখে বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে, সেই তারিখ থেকে তিনবছরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্য়াপিট্যাল ওর্থ রিসার্চ হাউস এবং তার অংশীদাররা তাদের ব্যবসা করতে পারবে না ৷
প্রসঙ্গত, ক্য়াপিট্যাল ওর্থ রিসার্চ হাউস তাদের ব্যবসা ও যাবতীয় কর্মকাণ্ড অংশীদারিত্বের মাধ্যমে চালায় ৷ এই সংস্থার অংশীদাররা হলেন, অঙ্কিত শ্রীবাস্তব, মহম্মদ আমির শেখ, শাহিদ রংরেজ এবং সমীর মেমন ৷ সেবির বক্তব্য, ক্য়াপিট্যাল ওর্থ রিসার্চ হাউস এবং তার অংশীদাররা নিজেদের 'বিনিয়োগ উপদেষ্টা' হিসাবে দাবি করেন ৷ নিজেদের ক্লায়েন্ট বা গ্রাহকদের বিনিয়োগ বিষয়ে নানা পরামর্শ দেন তাঁরা ৷ অথচ, এই কাজ করার জন্য যে শংসাপত্র থাকা জরুরি, তা এই সংস্থার বা তার অংশীদারদের নেই ৷ যা বিনিয়োগ উপদেষ্টা আইনের পরিপন্থী ৷ সেই কারণেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয় সেবি ৷
সেবির আরও অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত ক্যাপিটাল ওর্থ রিসার্চ হাউস যত নিয়ম ভেঙেছে, সেই বিষয়ে সংস্থার অংশীদাররা প্রত্যেকেই অবগত ছিলেন ৷ বস্তুত, এই অংশীদাররাই যাবতীয় অনিয়মের জন্য দায়ী ৷ তথ্য বলছে, এই বেআইনি পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমেই 2018 সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই সংস্থার অ্যাকাউন্টে 1 কোটি 54 টাকা লক্ষ টাকা জমা পড়ে ৷ যা বেআইনি রোজগার হিসাবে বিবেচনা করছে সেবি ৷ তাই ওই টাকা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: 'ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি যথেষ্ট অভিজ্ঞ', সেবি-আরবিআইয়ে আস্থা রেখে বললেন নির্মলা
এদিকে, আরও একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সেবি ৷ তাতে জিওডেসিক লিমিটেডের ঘটনায় আর্থিক দুর্নীতি করার জন্য তিন ব্যাক্তিকে 16 লক্ষ টাকার জরিমানা করা হয়েছে ৷ এই তিনজন হলেন প্রশান্ত মুলেকার, পঙ্কজ কুমার এবং কিরণ কুলকার্নি ৷ এঁদের মধ্যে প্রথমজনকে 6 লক্ষ টাকা এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয়জনকে 5 লক্ষ করে মোট 10 লক্ষ টাকার জরিমানা করা হয়েছে ৷ সূত্রের খবর, জিওডেসিক লিমিটেড নামক সংস্থাটির বিরুদ্ধে 2012 সালের এপ্রিল মাস থেকে 2013 সালের মার্চ মাসের মধ্যে আর্থিক দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছিল ৷ তার ভিত্তিতে তদন্ত চালায় সেবি ৷ সেই তদন্ত শেষ হওয়ার পরই সংশ্লিষ্ট তিনজনকে জরিমানা করা হয় ৷