নয়াদিল্লি, 2 ফেব্রুয়ারি: আদানি গোষ্ঠী (Adani Group) সংক্রান্ত কী বিস্তারিত তথ্য আছে, তা সমস্ত ব্যাংকগুলির কাছে জানতে চাইল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI) ৷ তবে এই নিয়ে সরকারি তরফে কোনও কিছু জানা যায়নি ৷ কিন্তু সংবাদসংস্থা এএনআই এই খবর দিয়েছে রয়টার্সকে উদ্ধৃত করে ৷
সম্প্রতি মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের তরফে শিল্পপতি গৌতম আদানির (Gautam Adani) সংস্থাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় ৷ সেখানে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাদের শেয়ার দরে জালিয়াতি করার অভিযোগ ওঠে ৷ তার পর আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে ব্যাপক ধস নামে ৷ এর জেরে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় আদানি গোষ্ঠীকে ৷ সেই ক্ষতি এতটাই বেশি ছিল যে ব্লুমবার্গের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের ধনী ব্যবসায়ীদের তালিকায় প্রথম দশ থেকে ছিটকে যান আদানি ৷ তাঁর স্থান হয় 11 নম্বরে ৷
এই পরিস্থিতিতে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি সম্পূর্ণভাবে সাবস্ক্রাইবড ফলো অন পাবলিক অফার বা এফপিও বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় (Adani withdrawals FPO) ৷ বুধবার সেই কথা ঘোষণাও করা হয় আদানি গোষ্ঠীর তরফে ৷ তার পর থেকে ওই সংস্থার শেয়ারের দর আবার কমতে শুরু করেছে ৷ তার পরই আরবিআই এর তরফে করা নতুন এই পদক্ষেপের বিষয়টি সামনে আসতেই আবার হইচই পড়েছে ৷
যদিও আরবিআই এর এই পদক্ষেপ নিয়ে সরকারি তরফে কেউই প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না ৷ তবে এফপিও প্রত্যাহারের পরই আদানি গোষ্ঠী নিয়ে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ তবে এফপিও প্রত্যাহার নিয়ে আদানি গোষ্ঠী জানিয়েছিল যে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ নৈতিকতার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিলেন গৌতম আদানি ৷
আদানি গোষ্ঠী নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসার পর রাজনৈতিক হইচই শুরু হয়েছে ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র এই নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছেন ৷ গত কয়েকদিনে তিনি এই নিয়ে একাধিক টুইটও করেছেন ৷ আদানির তরফে এফপিও প্রত্যাহারের খবর সামনে আসতেই ফের টুইটে এই সংস্থাকে খোঁচা দেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ ৷ অন্যদিকে আদানি বিতর্কে বৃহস্পতিবার উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ ৷ মুলতবি হয়ে যায় লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন ৷
আরও পড়ুন: আদানি-বিতর্কে উত্তাল সংসদ! মুলতুবি রাজ্য়-লোকসভা বাজেট অধিবেশন