হায়দ্রাবাদ,26 ফেব্রুয়ারি: স্বপ্নের বাড়ি হোক বা পছন্দের গাড়ি কিনতে লোন একান্ত আবশ্যক । একবারে এতগুলো টাকা জোগাড় কঠিন পাশাপাশি সেটা তেমন বুদ্ধিমত্তারও পরিচায়ক নয়। তাই বিভিন্ন ধরনের লোন নিতেই হয় আমাদের। আগে থেকে হিসেব করে লোন নিলে এবং তা নির্দিষ্ট সময় ফিরিয়ে দিলে কোনও সমস্যাই হয় না। প্রয়োজনও মিটে যায়। কোনও ধরনের আর্থিক সমস্যাও হয় না (Loan management is very important)।
লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি হল সিবিল স্কোর ঠিক রাখা। এই স্কোর ঠিক রাখলে শুধু লোন পেতে সুবিধা হবে তা নয়। লোনের সুদও কম দিতে হতে পারে । মানে ভালো সিবিল স্কোর থাকলে করের সুদে ছাড় পাওয়ার সম্ভবনা বাড়ে। আর এই ক্রেডিট বা সিবিল স্কোর মাপারও নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। 300 থেকে 900 পয়েন্টের মধ্যে এই স্কোরটি মাপা হয়ে থাকে। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্কোর 750-র চেয়ে কম হলে লোন পেতে একটু সমস্যা হয়। সুদে ছাড় পাওয়ার সম্ভবনা প্রায় থাকেই না ।
এই ক্রেডিট বা সিবিল স্কোর ঠিক রাখতে গেলে লোনের কিস্তি ঠিক সময়ে দিতে হবে। এই ব্যাপারে ফাঁকি দিলেই মুশকিল। এখন এমনিতেই বিভিন্ন সুদের হার বাড়ছে। তাই নতুন লোন দেওয়ার সময় প্রতিটি সংস্থাই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অতীতের আর্থিক লেনদেন বিশ্লেষণ করে থাকে । যদি দেখা যায় ওই ব্যক্তি আগে কোনও লোন নিয়ে কিস্তি মেটাতে দেরি করেছেন তাহলে পরের লোন পেতে সমস্যা হয়। অনেক ক্ষেত্রে লোন পেলেও বাড়তি সুদ গুনতে হয়। স্কোর 750 বা তার বেশি অনেক ক্ষেত্রেই হয় না। সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলেন, 500-র বেশি যাতে হয় সেই চেষ্টা করা উচিত। এই পরিমাণ স্কোর থাকলে অনেক সময় প্রয়োজনটুকু মিটে যায়। আর সংকটের মুহূর্ত পেরিয়ে গেলে পরে স্কোর বাড়ানোর সুযোগও থাকে ।
লোনের কিস্তি ঠিকঠাক মিটিয়ে দেওয়া ছাড়া আরও একভাবে ক্রেডিট বা সিবিল স্কোর ঠিক করা যায়। আর সেটা সম্ভব ক্রেডিট কার্ডের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে। অকারণে ক্রেডিট ব্যবহার না-করা। আর তাছাড়া কোনও দরকারে ব্যবহার করতে হলেও কার্ড থেকে যত টাকার জিনিস কেনা যায় তার 30 শতাংশেরও বেশি না কেনা। এই কয়েকটি পদ্ধতি মেনে চললে ক্রেডিট স্কোর বা সিবিল স্কোর ঠিক রাখা যায় ।
আরও পড়ুন:ভাড়া থেকে প্রাপ্ত আয়ের উপর কীভাবে করের বোঝা কমাবেন ?