হায়দরাবাদ: আমরা যখন টিভিতে টি-20 ক্রিকেট দেখি, তখন মনে হয় ম্যাচগুলো খেলা বোধহয় খুব সহজ । কিন্তু বাস্তব ঠিক তার উলটো । এক বলেই সমস্ত খেলা ঘুরে যেতে পারে । ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণ দেখলে 'হয় ছক্কা নয় অক্কা' মনে হলেও জয়ে পৌঁছনোক জন্য আত্মবিশ্বাস এবং নির্ভুল অনুমান ক্ষমতার প্রয়োজন । দরকার ব্যাটিং ও বোলিং, উভয় বিভাগেই শক্তিশালী লাইনআপ (Strong lineup of investment plans) । একইভাবে, জীবনের ক্ষেত্রেও লক্ষ্যে পৌঁছতে প্রয়োজন শক্তিশালী আর্থিক পরিকল্পনা, সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণের মাধ্যমে বিনিয়োগ পরিকল্পনার একটি জমাট লাইনআপ । তবেই সাফল্য ধরা দেবে হাতের মুঠোয় (Investing requires strategies like in T-20 cricket) ।
ক্রিকেটে যেমন দলে ভারসাম্য থাকলে জয়ের সুযোগ অনেকটাই বেড়ে যায়, ঠিক একইভাবে আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ বিনিয়োগ করার সময় পরিকল্পনা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই রকম বৈচিত্র্য থাকা উচিত (Set financial goals and crack them) । আমাদের একটি বিনিয়োগ পরিকল্পনার উপর নির্ভর করে থাকা উচিত নয় । অর্থাৎ, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্ল্যান এ-এর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হল প্ল্যান বি তৈরি রাখা । বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার, দীর্ঘমেয়াদী বন্ড, ইক্যুইটি ফান্ড, আমানত, সোনা ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা প্রয়োজন (Play defensive and offensive in investments) ।
কুড়ি-বিশের লড়াইয়ে একটি ওভারে তিনটি ছয় বা দু'টি উইকেট ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে । গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে পাওয়ার-প্লে, কারণ তখনই বল মাঠের বাইরে ফেলার সুযোগ বেশি থাকে । জীবনের ক্ষেত্রেও হিসেবটা একইরকম । বিনিয়োগ করার সময় সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে । বাজার পতনের সময়, ভালো শেয়ারগুলি আমাদের নাগালের মধ্যে আসতে পারে এবং সেগুলি মিস করা উচিত নয় (Choose diversified investment portfolio) ।
আরও পড়ুন: সহজে ক্রেডিট কার্ড, এক ফোনেই লোন! ফাঁদ কি না বুঝে নিন সময় থাকতে
রীতিমতো অঙ্ক কষে সুশৃঙ্খলভাবে বিনিয়োগ করতে হবে । অনেক বিনিয়োগকারী আর্থিক পরিকল্পনা নিয়ে মাথা ঘামায় না, উচ্চ রিটার্ন পেতে ট্রেড করে একই ধরনের ভুল করে । যখন লক্ষ্য বেশি হয়, তখন আমাদের উচিত সুশৃঙ্খল ও নিয়মমেনে তা অনুসরণ করা । একবার আয় পেতে শুরু করলে সর্বাধিক সম্ভাব্য পরিমাণ বিনিয়োগ করা উচিত । একবার প্রত্যাশিত রিটার্ন পেয়ে গেলে, তহবিলগুলিকে ঝুঁকিপূর্ণ পরিকল্পনা থেকে নিরাপদে সরিয়ে ফেলতে হবে । দরকারে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে । মনে রাখবেন, আর্থিক বিশেষজ্ঞরা ক্রিকেট দলের কোচের মতো । সাফল্য আনতে তাদেরও নিজস্ব ভূমিকা পালন থাকে । মাঠে 11 জন সদস্য খেললেও দলে থাকেন আরও 4 জন । একইভাবে, আমাদের 6 মাস থেকে 1 বছরের খরচ মেটানোর জন্য যথেষ্ট কন্টিনজেন্সি ফান্ডও থাকা উচিত । তবেই ঝুঁকি না-নিয়ে ভবিষ্যতের পুঁজি সঞ্চয় করা সম্ভব ।