ETV Bharat / business

Gautam Adani out of top 10: ধনীদের তালিকার প্রথম দশ থেকে ছিটকে গেলেন গৌতম আদানি - গৌতম আদানি

শেয়ারের দরে জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group) বিরুদ্ধে ৷ এই নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ৷ তার পরই আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দর পড়েছে ৷ যার জেরে বিশ্বের সবচেয়ে ধনীদের প্রথম দশে ঠাঁই হল না গৌতম আদানির (Gautam Adani) ৷

Gautam Adani
Gautam Adani
author img

By

Published : Jan 31, 2023, 4:55 PM IST

নয়াদিল্লি, 31 জানুয়ারি: মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে (American research firm Hindenburg Report) ধাক্কা খেয়েছেন ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি । যদিও আদানি গোষ্ঠী তার 413 পাতার উত্তরে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টকে অস্বীকার করেছে ৷ তার পরও তাঁর ব্যবসা ও শেয়ারের উপর এর প্রভাব মারাত্মকভাবে পড়েছে ৷ এর জেরে গৌতম আদানি ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়র সূচকে পিছিয়ে পড়েছেন ৷ আর বিশ্বের প্রথম দশজন ধনীর তালিকায় তাঁর নাম নেই ৷

ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার সূচক অনুযায়ী, আদানি এখন 11 নম্বরে নেমে এসেছেন । বলা হচ্ছে, ওই মার্কিন সংস্থার রিপোর্টের পরই গৌতম আদানি বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছেন । এখন পর্যন্ত আদানি গোষ্ঠী প্রায় 36.1 বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন ৷ শুধু তাই নয়, শেয়ারের বিশাল পতনের কারণে প্রায় 65 ​​বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে আদানি গোষ্ঠী । এছাড়া তাঁর সম্পদ এখন 84.4 বিলিয়ন মার্কিন ডলার বলা হচ্ছে । এই তালিকায় আদানির পিছনে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি । তার সম্পদের পরিমাণ 82.2 বিলিয়ন মার্কিন ডলার ৷

প্রসঙ্গত, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ গত 23 জানুয়ারি একটি প্রতিবেদনে দাবি করে যে আদানি গোষ্ঠী কয়েক দশক ধরে শেয়ার ম্যানিপুলেশন ও অ্যাকাউন্ট জালিয়াতি করছে । মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গে ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দর কমতে শুরু হয়েছে ৷ ফলে আদানির মোট সম্পত্তির উপরও প্রভাব পড়েছে ৷ তবে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়ে দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী (Adani Group on Hindenburg Report) ৷ তারা পালটা 413 পাতার বিবৃতি দিয়েছে ৷ সেখানে ওই গবেষণা পত্রের 88টি প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেওয়া হয়েছে ৷ আর ওই প্রতিবেদনকে অপমানজনক বলেও উল্লেখ করেছে ৷

তাদের বিবৃতি বলা হয়, এটি নিছক কোনও নির্দিষ্ট সংস্থার উপর একটি অযৌক্তিক আক্রমণ নয় ৷ বরং ভারত, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা, অখণ্ডতা ও গুণমান এবং ভারতের বৃদ্ধির গল্প ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার উপর একটি পরিকল্পিত আক্রমণ ৷ গবেষণা সংক্রান্ত ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ভুল তথ্যে ভরা, ভিত্তিহীন, তথ্য গোপন করারও অভিযোগ করে আদানি গোষ্ঠী ৷ অগণিত বিনিয়োগকারীর বিনিময়ে আর্থিক লাভের জন্য ভুল উদ্দেশ্য নিয়ে হিন্ডেনবার্গ মিথ্যে তথ্য পরিবেশন করেছে বলেও অভিযোগ করা হয় ৷ এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে হিন্ডেনবার্গের বিশ্বাসযোগ্যতা ও নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে দাবি করা হয় আদানিদের তরফে ৷

যদিও সেই দাবি খারিজ করে পালটা তোপ দেগেছিল ওই মার্কিন সংস্থা ৷ তারা দাবি করে, রবিবার ওই সংস্থার ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় ৷ সেখানেই আদানি গোষ্ঠীর দাবির উত্তর দেওয়া হয় ৷ সেখানেই এই পালটা অভিযোগ আদানিদের বিরুদ্ধে করেছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ৷ পরে সেই প্রতিবেদনের লিঙ্ক ওই সংস্থা নিজেদের টুইটারে পোস্ট করে ৷ একই সঙ্গে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের গণতন্ত্র প্রাণবন্ত ও এর একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ যে আছে, তা তারা বিশ্বাস করে ৷ কিন্তু পরিকল্পিত লুটের মাধ্য়মে আদানি গোষ্ঠী সেই প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে বলেও ওই সংস্থার অভিযোগ ৷

আরও পড়ুন: চাপে আদানি গোষ্ঠী, আরও পড়ল শেয়ারের দাম

নয়াদিল্লি, 31 জানুয়ারি: মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে (American research firm Hindenburg Report) ধাক্কা খেয়েছেন ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি । যদিও আদানি গোষ্ঠী তার 413 পাতার উত্তরে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টকে অস্বীকার করেছে ৷ তার পরও তাঁর ব্যবসা ও শেয়ারের উপর এর প্রভাব মারাত্মকভাবে পড়েছে ৷ এর জেরে গৌতম আদানি ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়র সূচকে পিছিয়ে পড়েছেন ৷ আর বিশ্বের প্রথম দশজন ধনীর তালিকায় তাঁর নাম নেই ৷

ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার সূচক অনুযায়ী, আদানি এখন 11 নম্বরে নেমে এসেছেন । বলা হচ্ছে, ওই মার্কিন সংস্থার রিপোর্টের পরই গৌতম আদানি বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছেন । এখন পর্যন্ত আদানি গোষ্ঠী প্রায় 36.1 বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন ৷ শুধু তাই নয়, শেয়ারের বিশাল পতনের কারণে প্রায় 65 ​​বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে আদানি গোষ্ঠী । এছাড়া তাঁর সম্পদ এখন 84.4 বিলিয়ন মার্কিন ডলার বলা হচ্ছে । এই তালিকায় আদানির পিছনে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি । তার সম্পদের পরিমাণ 82.2 বিলিয়ন মার্কিন ডলার ৷

প্রসঙ্গত, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ গত 23 জানুয়ারি একটি প্রতিবেদনে দাবি করে যে আদানি গোষ্ঠী কয়েক দশক ধরে শেয়ার ম্যানিপুলেশন ও অ্যাকাউন্ট জালিয়াতি করছে । মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গে ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দর কমতে শুরু হয়েছে ৷ ফলে আদানির মোট সম্পত্তির উপরও প্রভাব পড়েছে ৷ তবে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়ে দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী (Adani Group on Hindenburg Report) ৷ তারা পালটা 413 পাতার বিবৃতি দিয়েছে ৷ সেখানে ওই গবেষণা পত্রের 88টি প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেওয়া হয়েছে ৷ আর ওই প্রতিবেদনকে অপমানজনক বলেও উল্লেখ করেছে ৷

তাদের বিবৃতি বলা হয়, এটি নিছক কোনও নির্দিষ্ট সংস্থার উপর একটি অযৌক্তিক আক্রমণ নয় ৷ বরং ভারত, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা, অখণ্ডতা ও গুণমান এবং ভারতের বৃদ্ধির গল্প ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার উপর একটি পরিকল্পিত আক্রমণ ৷ গবেষণা সংক্রান্ত ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ভুল তথ্যে ভরা, ভিত্তিহীন, তথ্য গোপন করারও অভিযোগ করে আদানি গোষ্ঠী ৷ অগণিত বিনিয়োগকারীর বিনিময়ে আর্থিক লাভের জন্য ভুল উদ্দেশ্য নিয়ে হিন্ডেনবার্গ মিথ্যে তথ্য পরিবেশন করেছে বলেও অভিযোগ করা হয় ৷ এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে হিন্ডেনবার্গের বিশ্বাসযোগ্যতা ও নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে দাবি করা হয় আদানিদের তরফে ৷

যদিও সেই দাবি খারিজ করে পালটা তোপ দেগেছিল ওই মার্কিন সংস্থা ৷ তারা দাবি করে, রবিবার ওই সংস্থার ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় ৷ সেখানেই আদানি গোষ্ঠীর দাবির উত্তর দেওয়া হয় ৷ সেখানেই এই পালটা অভিযোগ আদানিদের বিরুদ্ধে করেছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ৷ পরে সেই প্রতিবেদনের লিঙ্ক ওই সংস্থা নিজেদের টুইটারে পোস্ট করে ৷ একই সঙ্গে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের গণতন্ত্র প্রাণবন্ত ও এর একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ যে আছে, তা তারা বিশ্বাস করে ৷ কিন্তু পরিকল্পিত লুটের মাধ্য়মে আদানি গোষ্ঠী সেই প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে বলেও ওই সংস্থার অভিযোগ ৷

আরও পড়ুন: চাপে আদানি গোষ্ঠী, আরও পড়ল শেয়ারের দাম

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.