ETV Bharat / business

Education Loan: বিদেশে পড়তে যেতে চান ? কীভাবে পাবেন শিক্ষা ঋণ ?

author img

By

Published : Nov 9, 2022, 2:00 PM IST

বিদেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভের (Higher Studies in Overseas) প্রবণতা বাড়ছে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ৷ কীভাবে মিলবে শিক্ষা ঋণ (Education Loan) ?

criteria of Education Loan for Higher Studies in Overseas
Education Loan: বিদেশে পড়তে যেতে চান ? কীভাবে পাবেন শিক্ষা ঋণ ?

হায়দরাবাদ, 9 নভেম্বর: বিপুল খরচের কথা জানা সত্ত্বেও ভারতীয় পড়ুয়াদের একটা বড় অংশের মধ্যে বিদেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভের (Higher Studies in Overseas) প্রবণতা বাড়ছে ৷ আর সেই খরচ সামলাতে তাদের ভরসা বিভিন্ন ব্যাংকের তরফ থেকে দেওয়া শিক্ষা ঋণ (Education Loan) ৷

তথ্য বলছে, বিদেশে, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলির বিভিন্ন নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গেলে শুধুমাত্র মেধাবী হওয়াই যথেষ্ট নয় ৷ তার জন্য পড়ুয়ার অভিভাবকদের পকেটে মোটা অঙ্কের টাকা থাকাও আবশ্যক ৷ সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভারতীয় অভিভাবকদের অধিকাংশই চড়া সুদে টাকা ধার করতেও পিছপা হন না ৷ কিন্তু, এই বিষয়ে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিলে পরে বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে ৷ তাই সময় নিয়ে, ভালো মতো আলোচনা করে, তবেই এই ধরনের শিক্ষা ঋণ নেওয়া উচিত ৷

আরও পড়ুন: দেশের সবথেকে বড় নিয়োগকারী সংস্থা রিলায়েন্স, ফোর্বসের রিপোর্ট প্রকাশ

ইদানীংকালে ভারত থেকে বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করা ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা উল্লেখজনকভাবে বেড়েছে ৷ ওয়াকিবহাল মহল বলছে, অদূর ভবিষ্যতে বিদেশে পড়ার খরচ আরও বাড়বে ৷ সংশ্লিষ্ট একটি সংস্থার করা সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, ভারতীয় পড়ুয়ারা প্রতি বছর শুধুমাত্র বিদেশে পড়ার জন্যই 2 হাজার 800 কোটি মার্কিন ডলার খরচ করেন ৷ 2024 সালের মধ্যে এই পরিমাণটাই বেড়ে হবে 8 (আট) হাজার কোটি মার্কিন ডলার !

অনেক সময় উন্নত দেশগুলির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির পক্ষ থেকে বিদেশি পড়ুয়াদের জন্য 'স্কলারশিপ' এবং একইসঙ্গে চাকরির 'পারমিট' দেওয়া হয় ৷ কিন্তু, সবক্ষেত্রে সেই সুবিধা পাওয়া যায় না ৷ এই অবস্থায় ঋণ নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না ৷ এর জন্য ভারত সরকার, রিজার্ভ ব্য়াংক এবং ভারতীয় ব্যাংক সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে ৷ বিদেশে পড়তে যেতে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীরা সেই প্রকল্পগুলির থেকে সুবিধা নিতে পারেন ৷

এই ধরনের ঋণ নিলে একসঙ্গে অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় ৷ ঋণের টাকার মধ্যেই কলেজ ও হস্টেলের খরচ, পরীক্ষা, ল্যাবরেটরি, বই, খাতা-সহ অন্যান্য সরঞ্জাম, সিকিউরিটি মানি প্রভৃতি সবকিছুই ধরা থাকে ৷ এখনও পর্যন্ত যে নিয়ম চালু রয়েছে, সেই অনুসারে, কোনওরকম সিকিউরিটি ছাড়াই ব্যাংকগুলি সর্বাধিক 7 লক্ষ 50 হাজার টাকা শিক্ষা ঋণ দেয় ৷ এই ঋণ দেওয়া হয় ক্রেডিট গ্য়ারান্টি ফান্ড থেকে ৷ সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এই ধরনের ঋণের ঊর্ধ্বসীমা 7 লক্ষ 50 হাজার টাক থেকে বাড়িয়ে 10 লক্ষ টাকা করা হবে ৷ অন্যদিকে, এসবিআই, এইচডিএফসি এবং সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু ব্যাংক সিকিউরিটি ছাড়াই নির্বাচিত পড়ুয়াদের বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য 40 থেকে 50 লক্ষ টাকা ঋণ দেয় ৷ তবে, এর জন্য আবেদনকারীকে নিজের পড়াশোনার যাবতীয় শংসাপত্র ছাড়াও বিদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুযোগ পাওয়ার প্রমাণপত্র এবং আরও নথি ব্যাংকে পেশ করতে হয় ৷

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ব্য়াংক যত টাকা দিতেই রাজি থাকুক না কেন, শিক্ষা ঋণ হিসাবে কেবলমাত্র কলেজ ও হস্টেলের ফি-টুকুই নেওয়া উচিত ৷ বাকি খরচ পরিবারের তরফে অথবা নিজে বহন করতে পারলে ভালো হয় ৷ এক্ষেত্রে ঋণের টাকা আবেদনকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ার পরই সুদের মাসিক কিস্তি নেওয়া শুরু করে দেয় ব্যাংকগুলি ৷ তবে, আসল শোধের প্রক্রিয়া শুরু হয় আবেদনকারী পড়াশোনা শেষ করে চাকরি পাওয়ার পর ৷ আবেদনকারী যদি ঋণের টাকা চুক্তি অনুসারে পরিশোধ করতে না পারেন, তাহলে তা তাঁর ক্রেডিট স্কোরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে ৷ আয়কর আইনের 80 নম্বর ধারা অনুসারে, শিক্ষা ঋণের সুদ সম্পূর্ণ করমুক্ত হিসাবে বিবেচিত হয় ৷

হায়দরাবাদ, 9 নভেম্বর: বিপুল খরচের কথা জানা সত্ত্বেও ভারতীয় পড়ুয়াদের একটা বড় অংশের মধ্যে বিদেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভের (Higher Studies in Overseas) প্রবণতা বাড়ছে ৷ আর সেই খরচ সামলাতে তাদের ভরসা বিভিন্ন ব্যাংকের তরফ থেকে দেওয়া শিক্ষা ঋণ (Education Loan) ৷

তথ্য বলছে, বিদেশে, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলির বিভিন্ন নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গেলে শুধুমাত্র মেধাবী হওয়াই যথেষ্ট নয় ৷ তার জন্য পড়ুয়ার অভিভাবকদের পকেটে মোটা অঙ্কের টাকা থাকাও আবশ্যক ৷ সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভারতীয় অভিভাবকদের অধিকাংশই চড়া সুদে টাকা ধার করতেও পিছপা হন না ৷ কিন্তু, এই বিষয়ে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিলে পরে বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে ৷ তাই সময় নিয়ে, ভালো মতো আলোচনা করে, তবেই এই ধরনের শিক্ষা ঋণ নেওয়া উচিত ৷

আরও পড়ুন: দেশের সবথেকে বড় নিয়োগকারী সংস্থা রিলায়েন্স, ফোর্বসের রিপোর্ট প্রকাশ

ইদানীংকালে ভারত থেকে বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করা ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা উল্লেখজনকভাবে বেড়েছে ৷ ওয়াকিবহাল মহল বলছে, অদূর ভবিষ্যতে বিদেশে পড়ার খরচ আরও বাড়বে ৷ সংশ্লিষ্ট একটি সংস্থার করা সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, ভারতীয় পড়ুয়ারা প্রতি বছর শুধুমাত্র বিদেশে পড়ার জন্যই 2 হাজার 800 কোটি মার্কিন ডলার খরচ করেন ৷ 2024 সালের মধ্যে এই পরিমাণটাই বেড়ে হবে 8 (আট) হাজার কোটি মার্কিন ডলার !

অনেক সময় উন্নত দেশগুলির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির পক্ষ থেকে বিদেশি পড়ুয়াদের জন্য 'স্কলারশিপ' এবং একইসঙ্গে চাকরির 'পারমিট' দেওয়া হয় ৷ কিন্তু, সবক্ষেত্রে সেই সুবিধা পাওয়া যায় না ৷ এই অবস্থায় ঋণ নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না ৷ এর জন্য ভারত সরকার, রিজার্ভ ব্য়াংক এবং ভারতীয় ব্যাংক সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে ৷ বিদেশে পড়তে যেতে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীরা সেই প্রকল্পগুলির থেকে সুবিধা নিতে পারেন ৷

এই ধরনের ঋণ নিলে একসঙ্গে অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় ৷ ঋণের টাকার মধ্যেই কলেজ ও হস্টেলের খরচ, পরীক্ষা, ল্যাবরেটরি, বই, খাতা-সহ অন্যান্য সরঞ্জাম, সিকিউরিটি মানি প্রভৃতি সবকিছুই ধরা থাকে ৷ এখনও পর্যন্ত যে নিয়ম চালু রয়েছে, সেই অনুসারে, কোনওরকম সিকিউরিটি ছাড়াই ব্যাংকগুলি সর্বাধিক 7 লক্ষ 50 হাজার টাকা শিক্ষা ঋণ দেয় ৷ এই ঋণ দেওয়া হয় ক্রেডিট গ্য়ারান্টি ফান্ড থেকে ৷ সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এই ধরনের ঋণের ঊর্ধ্বসীমা 7 লক্ষ 50 হাজার টাক থেকে বাড়িয়ে 10 লক্ষ টাকা করা হবে ৷ অন্যদিকে, এসবিআই, এইচডিএফসি এবং সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু ব্যাংক সিকিউরিটি ছাড়াই নির্বাচিত পড়ুয়াদের বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য 40 থেকে 50 লক্ষ টাকা ঋণ দেয় ৷ তবে, এর জন্য আবেদনকারীকে নিজের পড়াশোনার যাবতীয় শংসাপত্র ছাড়াও বিদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুযোগ পাওয়ার প্রমাণপত্র এবং আরও নথি ব্যাংকে পেশ করতে হয় ৷

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ব্য়াংক যত টাকা দিতেই রাজি থাকুক না কেন, শিক্ষা ঋণ হিসাবে কেবলমাত্র কলেজ ও হস্টেলের ফি-টুকুই নেওয়া উচিত ৷ বাকি খরচ পরিবারের তরফে অথবা নিজে বহন করতে পারলে ভালো হয় ৷ এক্ষেত্রে ঋণের টাকা আবেদনকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ার পরই সুদের মাসিক কিস্তি নেওয়া শুরু করে দেয় ব্যাংকগুলি ৷ তবে, আসল শোধের প্রক্রিয়া শুরু হয় আবেদনকারী পড়াশোনা শেষ করে চাকরি পাওয়ার পর ৷ আবেদনকারী যদি ঋণের টাকা চুক্তি অনুসারে পরিশোধ করতে না পারেন, তাহলে তা তাঁর ক্রেডিট স্কোরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে ৷ আয়কর আইনের 80 নম্বর ধারা অনুসারে, শিক্ষা ঋণের সুদ সম্পূর্ণ করমুক্ত হিসাবে বিবেচিত হয় ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.