কলকাতা, 15 মার্চ: আজ ও কাল ব্যাঙ্ক ধর্মঘট ৷ দুর্ভোগ বাড়বে মানুষের ৷ দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রায় 10 লাখ কর্মী ৷ মাসখানেক ধরেই দেশজুড়ে এই নিয়ে সরব ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নসের একাংশ ৷ এ বার তারা ধর্মঘটের পথে হাঁটল ৷ 15 ও 16 মার্চ ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তারা ৷
শনি ও রবিবার ব্যাঙ্ক ছুটি ছিল ৷ এরপর আজ সোমবার ও কাল মঙ্গলবার ধর্মঘটের কারণে বন্ধ থাকবে পরিষেবা ৷ এর ফলে মানুষের হয়রানি বাড়বে ৷
ধর্মঘটে ব্যাহত হবে যে পরিষেবাগুলি
ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে টাকা জমা দেওয়া ও তোলা যাবে না
চেক ক্লিয়ারেন্স হবে না
ব্যাহত হবে ঋণে সম্মতির কাজ
যদিও এটিএম পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে বলে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ, প্রতিবাদে 48 ঘণ্টার ব্যাঙ্ক ধর্মঘট
ধর্মঘটের কারণে স্বাভাবিক কাজকর্ম এই দু দিন ব্যাহত হতে পারে বলে আগেই গ্রাহকদের জানিয়ে রেখেছে স্টেট ব্যাঙ্ক-সহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ৷ তবে এইচডিএফসি, আইসিআইসিআই, কোটাক মাহিন্দ্রা, অ্যাক্সিস ও ইন্দাসইন্দ ব্যাঙ্কগুলির মতো বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷
কেন ধর্মঘট ?
কেন্দ্রীয় বাজেটে সরকারি প্রস্তাব অনুযায়ী দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ৷ তবে কোন দুটি ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হবে, তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি ৷ তার আগেই সরকার আইডিবিআই ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ করেছে এবং গত চার বছরে 14টি ব্যাঙ্কের সংযুক্ত ঘটিয়েছে ৷
অল ইন্ডিয়া ন্যাশনালাইজ়ড ব্যাঙ্কস অফিসার্স ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব সঞ্জয় দাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, ‘‘জনধন, অটল পেনশন, মুদ্রা লোন থেকে কৃষি ঋণ এমনকি আধার থেকে গতিধারা সব সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্য়াঙ্কগুলি ৷ এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামেও ব্যাঙ্কিং পরিষেবার একমাত্র পন্থা এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ৷ করোনা মহামারির সময়েও সরকারের দেওয়া 500 টাকাও সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল এই ব্যাঙ্কগুলিই ৷ আর বর্তমানে সেই ব্যাঙ্কগুলি অনাদায়ী ঋণের মতো সমস্যায় পড়েছে ৷ ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অধিকাংশ ব্যাঙ্ক আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছে । বারবার বলা সত্ত্বেও সরকার বড় বড় ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি । আর এখন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকেই বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ৷ এর উদ্দেশ্য হচ্ছে পুঁজিপতি এবং ঋণ খেলাপিদের হাতে সাধারণ মানুষের সঞ্চয় তুলে দেওয়া ৷’’