ETV Bharat / briefs

কোরোনা টেস্ট ও চিকিৎসকের ফি বাবদ নেওয়া টাকা থেকে 2950 টাকা ফেরতের নির্দেশ কমিশনের - ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরিট কমিশন

কোরোনা টেস্ট এবং চিকিৎসকের ফি বাবদ বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে । এই ঘটনায় আক্রান্ত রোগী ও তাঁর পরিজনদের 2950 টাকা পরবর্তী শুনানির আগে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন ।

Covid 19 cases, west bengal clinical regulatory commission
Covid 19 cases, west bengal clinical regulatory commission
author img

By

Published : Jul 14, 2020, 4:03 PM IST

কলকাতা, 14 জুলাই : এক COVID-19 রোগীকে ভরতি নিতে অস্বীকার করা হয়েছিল । দুর্ব্যবহার করা হয়েছিল রোগী এবং তাঁর পরিজনদের সঙ্গে । COVID-19 টেস্ট এবং চিকিৎসকের ফি বাবদ নেওয়া হয়েছিল বেশি টাকা । সল্টলেকে অবস্থিত বেসরকারি একটি COVID হাসপাতালের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থাসহ আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশনে । অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল অন্তর্বর্তী নির্দেশে বেসরকারি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে COVID-19 টেস্ট এবং চিকিৎসকের ফি বাবদ নেওয়া টাকা থেকে 2950 টাকা পরবর্তী শুনানির আগে ফিরিয়ে দিতে বলল কমিশন ।

67 বছরের ওই রোগী রাজারহাটের বাসিন্দা । একটি মানবাধিকার সংগঠনের রাজ‍্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য । 22 জুন তিনি সল্টলেকের বেসরকারি ওই COVID হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গিয়েছিলেন । সেখানে তাঁর COVID-19 টেস্ট করানো হয় । এরজন্য তাঁর কাছ থেকে নেওয়া হয় মোট 5 হাজার টাকা। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকের ফি বাবদ নেওয়া হয় মোট 1150 টাকা । ওই দিন বিকালে বেসরকারি ওই হাসপাতালে থেকে জানানো হয় তিনি কোরোনা আক্রান্ত হয়েছেন । অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি বলে তিনি নিজেই গাড়ি চালিয়ে ওই হাসপাতালে পৌঁছান ভরতি হওয়ার জন্য । কিন্তু অভিযোগ, হাসপাতালে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি । কয়েকজন লোক হাসপাতালের সামনে তাঁকে বলেছিল হাসপাতালে বেড নেই । অবশেষে ওই দিন রাত প্রায় 10 টা নাগাদ তিনি ভরতি হন ID&BG হাসপাতালে । এই ঘটনায় 24 জুন এই রোগীর বন্ধু তথা, মানবাধিকার ওই সংগঠনের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর অন্য এক সদস্য রঞ্জিত শূর ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন ।

অভিযোগের বয়ানে মানবাধিকারকর্মী রঞ্জিতবাবু জানান, একজন COVID-19 রোগীকে বেসরকারি ওই COVID হাসপাতালে ভরতি নিতে অস্বীকার করা হয়েছে । সেখানে COVID-19 টেস্টের জন্য অনেক বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে । অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল প্রথম শুনানি হয় কমিশনে । পরবর্তী শুনানি হবে তিন সপ্তাহ পরে । তবে অন্তর্বর্তী নির্দেশে কমিশন জানিয়েছে, পরবর্তী শুনানির আগে COVID-19 টেস্টের জন্য রোগীর কাছ থেকে নেওয়া 5 হাজার টাকার মধ্যে 2800 টাকা এবং চিকিৎসকের ফি বাবদ নেওয়া 1150 টাকার মধ্যে 150 টাকা অর্থাৎ, মোট 2950 টাকা রোগীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করে দিতে হবে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে । পাশাপাশি ঘটনার সময়ের CCTV ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন । জানা গিয়েছে, রোগীকে ভরতি না নেওয়া এবং দুর্ব্যবহারের যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে বেসরকারি ওই হাসপাতাল কমিশনে যে লিখিত বক্তব্য পেশ করেছে, তা হলফনামা আকারে জমা দিতে বলেছে কমিশন।

এই রোগীকে ভরতি না নেওয়ার কারণ হিসেবে বেড ছিল না বলে জানিয়েছে বেসরকারি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । বেড সংকটের মোকাবিলায় হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে । তবে, কমিশনের অন্তর্বর্তী নির্দেশে 2950 টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।

কলকাতা, 14 জুলাই : এক COVID-19 রোগীকে ভরতি নিতে অস্বীকার করা হয়েছিল । দুর্ব্যবহার করা হয়েছিল রোগী এবং তাঁর পরিজনদের সঙ্গে । COVID-19 টেস্ট এবং চিকিৎসকের ফি বাবদ নেওয়া হয়েছিল বেশি টাকা । সল্টলেকে অবস্থিত বেসরকারি একটি COVID হাসপাতালের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থাসহ আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশনে । অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল অন্তর্বর্তী নির্দেশে বেসরকারি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে COVID-19 টেস্ট এবং চিকিৎসকের ফি বাবদ নেওয়া টাকা থেকে 2950 টাকা পরবর্তী শুনানির আগে ফিরিয়ে দিতে বলল কমিশন ।

67 বছরের ওই রোগী রাজারহাটের বাসিন্দা । একটি মানবাধিকার সংগঠনের রাজ‍্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য । 22 জুন তিনি সল্টলেকের বেসরকারি ওই COVID হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গিয়েছিলেন । সেখানে তাঁর COVID-19 টেস্ট করানো হয় । এরজন্য তাঁর কাছ থেকে নেওয়া হয় মোট 5 হাজার টাকা। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকের ফি বাবদ নেওয়া হয় মোট 1150 টাকা । ওই দিন বিকালে বেসরকারি ওই হাসপাতালে থেকে জানানো হয় তিনি কোরোনা আক্রান্ত হয়েছেন । অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি বলে তিনি নিজেই গাড়ি চালিয়ে ওই হাসপাতালে পৌঁছান ভরতি হওয়ার জন্য । কিন্তু অভিযোগ, হাসপাতালে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি । কয়েকজন লোক হাসপাতালের সামনে তাঁকে বলেছিল হাসপাতালে বেড নেই । অবশেষে ওই দিন রাত প্রায় 10 টা নাগাদ তিনি ভরতি হন ID&BG হাসপাতালে । এই ঘটনায় 24 জুন এই রোগীর বন্ধু তথা, মানবাধিকার ওই সংগঠনের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর অন্য এক সদস্য রঞ্জিত শূর ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন ।

অভিযোগের বয়ানে মানবাধিকারকর্মী রঞ্জিতবাবু জানান, একজন COVID-19 রোগীকে বেসরকারি ওই COVID হাসপাতালে ভরতি নিতে অস্বীকার করা হয়েছে । সেখানে COVID-19 টেস্টের জন্য অনেক বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে । অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল প্রথম শুনানি হয় কমিশনে । পরবর্তী শুনানি হবে তিন সপ্তাহ পরে । তবে অন্তর্বর্তী নির্দেশে কমিশন জানিয়েছে, পরবর্তী শুনানির আগে COVID-19 টেস্টের জন্য রোগীর কাছ থেকে নেওয়া 5 হাজার টাকার মধ্যে 2800 টাকা এবং চিকিৎসকের ফি বাবদ নেওয়া 1150 টাকার মধ্যে 150 টাকা অর্থাৎ, মোট 2950 টাকা রোগীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করে দিতে হবে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে । পাশাপাশি ঘটনার সময়ের CCTV ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন । জানা গিয়েছে, রোগীকে ভরতি না নেওয়া এবং দুর্ব্যবহারের যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে বেসরকারি ওই হাসপাতাল কমিশনে যে লিখিত বক্তব্য পেশ করেছে, তা হলফনামা আকারে জমা দিতে বলেছে কমিশন।

এই রোগীকে ভরতি না নেওয়ার কারণ হিসেবে বেড ছিল না বলে জানিয়েছে বেসরকারি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । বেড সংকটের মোকাবিলায় হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে । তবে, কমিশনের অন্তর্বর্তী নির্দেশে 2950 টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.