ETV Bharat / briefs

প্লেজিয়ারিজ়ম ঠেকাতে কমিটি গঠন CU-র - phd

গবেষণায় প্লেজিয়ারিজ়ম ঠেকাতে এবার কমিটি গঠন করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণায় চুরি নিয়ে নীতি তৈরি করতেই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের গাইডলাইন মেনে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। আলোচনা করা হয়ছে PhD সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি সমস্যার বিষয়ে।

ফাইল ছবি
author img

By

Published : Apr 12, 2019, 4:24 AM IST

Updated : Apr 12, 2019, 8:21 AM IST

কলকাতা, 12 এপ্রিল : গবেষণায় চুরি অর্থাৎ প্লেজিয়ারিজ়ম নিয়ে নীতি তৈরি করতে কমিটি গঠন করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের গাইডলাইন মেনে এই কমিটি গঠন করা হয়। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নীতি তৈরির জন্য পরশু ফ‍্যাকাল্টি কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি ফ‍্যাকাল্টির ডিনরা ও লাইব্রেরিয়ান। এছাড়া, গতকাল ফ‍্যাকাল্টি কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকে PhD রেগুলেশন নিয়ে কয়েকটি সমস্যা নিয়েও আলোচনা করা হয়। যার মধ্যে একটি ছিল আন্তঃবিভাগীয় PhD-এর ক্ষেত্রে কয়েকটি শব্দের ভুল ব‍্যাখ‍্যা। সেই বিষয়েও বিশদে আলোচনা হয়েছে। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের PhD রেগুলেশন রি-ড্রাফ্ট করার জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে দীর্ঘ সাত বছর পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ‍্যাকাল্টি কাউন্সিল হওয়ায় খানিকটা স্বস্তি পেল অধ‍্যাপক মহল।

কিছুদিন আগেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকলেও রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি ফ‍্যাকাল্টির ডিন‍রা। এছাড়াও আছেন সমস্ত বিভাগীয় প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকরা। কাউন্সিলের শীর্ষে রয়েছেন উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় ও সহ-উপাচার্য দীপক কর। গতকাল সেই ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পার্থিব বসু বলেন, "প্লেজিয়ারিজ়ম নিয়ে একটি আলোচনা হয়েছে। প্লেজিয়ারিজ়ম নিয়ে UGC-র একটা গাইডলাইন আছে। কিন্তু, তা নিয়ে প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা নিজস্ব পলিসি থাকা উচিত। এরকম কোনও সুনির্দিষ্ট নীতি এতদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছিল না। যদিও, সফ্টওয়্যার ব‍্যবহার করা হত। লাইব্রেরিতে গবেষকরা বিভিন্ন পেপার বা থিসিস পাঠিয়ে দিলে তাঁরা একটা প্লেজিয়ারিজ়ম রিপোর্ট দিতেন। কিন্তু, তার কতটা আমরা মানব, কতটা মানব না প্লেজিয়ারিজ়ম তার সুনির্দিষ্ট একটা রূপরেখার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সেটা এই আলোচনায় এসেছে। এই কারণেই একটা কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ফ‍্যাকাল্টির ডিনেরা এবং লাইব্রেরিয়ান একটা নীতি তৈরি করবেন। সেটা আবার আমাদের আলোচনার জন্য আবার রাখা হবে।"

এছাড়া, ওই দিনের আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের PhD-এর নিয়ম নিয়ে সমস্যার কথাও উঠে আসে। পার্থিববাবু বলেন, "আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় PhD সংক্রান্ত নিয়ম রয়েছে সেটার কিছু আপডেটিংয়ের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। অনেকগুলো জায়গায় বিশদ ক্ল‍্যারিফিকেশনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। কতগুলো নির্দিষ্ট অসুবিধে তৈরি হয়েছিল। আমরা আগেই উপাচার্যকে বিষয়টি আরও সংশোধন দরকার বা পরিমার্জন করার কথা বলেছিলাম। আলোচনায় উঠে এল এবং সমস্ত অধ্যাপকরা এটা নিয়ে মত দিয়েছেন। রেগুলেশনকে আরও কী করে উন্নততর করা যায়, পরিষ্কার করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উপাচার্য বলেছেন একটি ছোটো কমিটি করে দেওয়া হবে। ওই কমিটি ওই পুরো রেগুলেশনটাকে রি-ড্রাফ্ট করবে।"

PhD রেগুলেশনের কোনও জায়গা নিয়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছে বা কোন অংশটা পরিমার্জন করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে? এই বিষয়ে পার্থিববাবু বলেন, "আমাদের একটা বিভাগের অধ্যাপক বা অধ্যাপিকার আর একটা বিভাগে পূর্ণ সময়ের সুপারভাইজ়ার হিসেবে গবেষণা করাতে অসুবিধা হচ্ছিল। সেক্ষেত্রে PhD নিয়মের কয়েকটি জায়গাতে শব্দচয়নের ত্রুটিটি থাকাতে সেটা করতে অসুবিধা তৈরি হচ্ছিল। কারণ, কতগুলো জায়গার ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছিল। সেইগুলোকে সংশোধন করার প্রয়োজন নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। আশা করছি সংশোধন করা হবে। খুব সমৃদ্ধ আলোচনা হয়েছে পরশু। এই আলোচনার মধ্যে দিয়ে রেগুলেশনের চরিত্র কী হওয়া উচিত তার একটি অভিমুখ উঠে এসেছে। সেই অনুযায়ী আমার বিশ্বাস একটা ত্রুটিহীন রেগুলেশন তৈরি হবে।"

দীর্ঘ সাত বছরের দাবি ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল। অবশেষে পূরণ হল সেই দাবি। যদিও, এই কাউন্সিলে কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই, তবু কি বলা যেতে পারে যে এর মধ্য দিয়ে অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের কথা বলার একটা জায়গা তৈরি হল? পার্থিববাবু বলেন, "এটাই তো আমরা চাইছিলাম এতদিন ধরে যে, অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের কথা বলার কোনও গণতান্ত্রিক পরিসর নেই। শিক্ষা সংক্রান্ত, পঠন-পাঠন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে অধিকার যদি কারও থেকে থাকে সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। সুতরাং তাদের কথা বলার জায়গাটা ভীষণ দরকার ছিল। সেইটা যে হয়েছে অবশেষে তাতে আমরা খুশি। বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে এখনও ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্যদের জায়গাগুলো খালি আছে। সহযোগী অধ্যাপক, সহকারি অধ্যাপকদের নির্বাচিত হয়ে আসার প্রয়োজন আছে। সেই দাবিটাও আমাদের থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য সমস্ত যে গভর্নিংবডিগুলো রয়েছে যেমন, সিন্ডিকেট, সেনেট সেখানেও নির্বাচন হওয়ার প্রয়োজন আছে।"

কলকাতা, 12 এপ্রিল : গবেষণায় চুরি অর্থাৎ প্লেজিয়ারিজ়ম নিয়ে নীতি তৈরি করতে কমিটি গঠন করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের গাইডলাইন মেনে এই কমিটি গঠন করা হয়। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নীতি তৈরির জন্য পরশু ফ‍্যাকাল্টি কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি ফ‍্যাকাল্টির ডিনরা ও লাইব্রেরিয়ান। এছাড়া, গতকাল ফ‍্যাকাল্টি কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকে PhD রেগুলেশন নিয়ে কয়েকটি সমস্যা নিয়েও আলোচনা করা হয়। যার মধ্যে একটি ছিল আন্তঃবিভাগীয় PhD-এর ক্ষেত্রে কয়েকটি শব্দের ভুল ব‍্যাখ‍্যা। সেই বিষয়েও বিশদে আলোচনা হয়েছে। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের PhD রেগুলেশন রি-ড্রাফ্ট করার জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে দীর্ঘ সাত বছর পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ‍্যাকাল্টি কাউন্সিল হওয়ায় খানিকটা স্বস্তি পেল অধ‍্যাপক মহল।

কিছুদিন আগেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকলেও রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি ফ‍্যাকাল্টির ডিন‍রা। এছাড়াও আছেন সমস্ত বিভাগীয় প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকরা। কাউন্সিলের শীর্ষে রয়েছেন উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় ও সহ-উপাচার্য দীপক কর। গতকাল সেই ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পার্থিব বসু বলেন, "প্লেজিয়ারিজ়ম নিয়ে একটি আলোচনা হয়েছে। প্লেজিয়ারিজ়ম নিয়ে UGC-র একটা গাইডলাইন আছে। কিন্তু, তা নিয়ে প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা নিজস্ব পলিসি থাকা উচিত। এরকম কোনও সুনির্দিষ্ট নীতি এতদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছিল না। যদিও, সফ্টওয়্যার ব‍্যবহার করা হত। লাইব্রেরিতে গবেষকরা বিভিন্ন পেপার বা থিসিস পাঠিয়ে দিলে তাঁরা একটা প্লেজিয়ারিজ়ম রিপোর্ট দিতেন। কিন্তু, তার কতটা আমরা মানব, কতটা মানব না প্লেজিয়ারিজ়ম তার সুনির্দিষ্ট একটা রূপরেখার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সেটা এই আলোচনায় এসেছে। এই কারণেই একটা কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ফ‍্যাকাল্টির ডিনেরা এবং লাইব্রেরিয়ান একটা নীতি তৈরি করবেন। সেটা আবার আমাদের আলোচনার জন্য আবার রাখা হবে।"

এছাড়া, ওই দিনের আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের PhD-এর নিয়ম নিয়ে সমস্যার কথাও উঠে আসে। পার্থিববাবু বলেন, "আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় PhD সংক্রান্ত নিয়ম রয়েছে সেটার কিছু আপডেটিংয়ের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। অনেকগুলো জায়গায় বিশদ ক্ল‍্যারিফিকেশনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। কতগুলো নির্দিষ্ট অসুবিধে তৈরি হয়েছিল। আমরা আগেই উপাচার্যকে বিষয়টি আরও সংশোধন দরকার বা পরিমার্জন করার কথা বলেছিলাম। আলোচনায় উঠে এল এবং সমস্ত অধ্যাপকরা এটা নিয়ে মত দিয়েছেন। রেগুলেশনকে আরও কী করে উন্নততর করা যায়, পরিষ্কার করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উপাচার্য বলেছেন একটি ছোটো কমিটি করে দেওয়া হবে। ওই কমিটি ওই পুরো রেগুলেশনটাকে রি-ড্রাফ্ট করবে।"

PhD রেগুলেশনের কোনও জায়গা নিয়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছে বা কোন অংশটা পরিমার্জন করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে? এই বিষয়ে পার্থিববাবু বলেন, "আমাদের একটা বিভাগের অধ্যাপক বা অধ্যাপিকার আর একটা বিভাগে পূর্ণ সময়ের সুপারভাইজ়ার হিসেবে গবেষণা করাতে অসুবিধা হচ্ছিল। সেক্ষেত্রে PhD নিয়মের কয়েকটি জায়গাতে শব্দচয়নের ত্রুটিটি থাকাতে সেটা করতে অসুবিধা তৈরি হচ্ছিল। কারণ, কতগুলো জায়গার ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছিল। সেইগুলোকে সংশোধন করার প্রয়োজন নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। আশা করছি সংশোধন করা হবে। খুব সমৃদ্ধ আলোচনা হয়েছে পরশু। এই আলোচনার মধ্যে দিয়ে রেগুলেশনের চরিত্র কী হওয়া উচিত তার একটি অভিমুখ উঠে এসেছে। সেই অনুযায়ী আমার বিশ্বাস একটা ত্রুটিহীন রেগুলেশন তৈরি হবে।"

দীর্ঘ সাত বছরের দাবি ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল। অবশেষে পূরণ হল সেই দাবি। যদিও, এই কাউন্সিলে কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই, তবু কি বলা যেতে পারে যে এর মধ্য দিয়ে অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের কথা বলার একটা জায়গা তৈরি হল? পার্থিববাবু বলেন, "এটাই তো আমরা চাইছিলাম এতদিন ধরে যে, অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের কথা বলার কোনও গণতান্ত্রিক পরিসর নেই। শিক্ষা সংক্রান্ত, পঠন-পাঠন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে অধিকার যদি কারও থেকে থাকে সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। সুতরাং তাদের কথা বলার জায়গাটা ভীষণ দরকার ছিল। সেইটা যে হয়েছে অবশেষে তাতে আমরা খুশি। বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে এখনও ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্যদের জায়গাগুলো খালি আছে। সহযোগী অধ্যাপক, সহকারি অধ্যাপকদের নির্বাচিত হয়ে আসার প্রয়োজন আছে। সেই দাবিটাও আমাদের থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য সমস্ত যে গভর্নিংবডিগুলো রয়েছে যেমন, সিন্ডিকেট, সেনেট সেখানেও নির্বাচন হওয়ার প্রয়োজন আছে।"

Intro:কলকাতা, ১০ এপ্রিল: ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেকার ল্যাব ভাঙচুর করার ঘটনার প্রতিবাদে আজ SFI-এর প্রেসিডেন্সি শাখা মিছিল করে। মিছিলের শুরুতেই পুলিশ সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় SFI-এর। SFI প্রেসিডেন্সি শাখার সভাপতি অনন্যা দাশ জানাচ্ছেন, এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে মিছিল বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাদের আটকায়। পুলিশের তরফে বলা হয়, এখন নির্বাচনের সময় তাই মিছিল করতে দেওয়া যাবে না। সেখান থেকে দুই পক্ষের বচসা শুরু হয় ও সেই বচসা পরিণত হয় ধস্তাধস্তিতে। জোর করে পুলিশ প্রতিবাদকারীদের ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তাদের বেশ কয়েকজন। পরে অবশ্য মিছিল করার অনুমতি পায় SFI। প্রতিবাদ মিছিল করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি পোড়ানো হয় SFI-এর তরফ থেকে।
Body:ঠিক কী হয়েছিল? অনন্যা দাশ বলেন, “১০ এপ্রিল ২০১৩-তে প্রেসিডেন্সি কলেজের বেকার ল্যাব ভেঙেছিল তৃণমূল সরকার এবং তারপরে আগের বছর পুলিশ আমাদের উপর যে হামলা করে তার প্রতিবাদে আমরা আজকে বেরিয়েছিলাম। আমরা যখন গেট থেকে বেরায় তখন ধাক্কাধাক্কি হয় পুলিশের সঙ্গে। রীতিমত ধস্তাধস্তি হয়। তারপরে ওরা আমাদের মিছিল করার জন্য অনুমতি দেয়। তারপরে আমরা মিছিল করে, রোড ব্লক করে মমতা ব্যানার্জি ছবি পুড়িয়ে আমাদের কর্মসূচি শেষ করি।” মিছিল করতে না দেওয়ার পিছনে পুলিশের বক্তব্য কী ছিল? অনন্যা দাশ বলেন, “প্রথমে পুলিশের বক্তব্য ছিল, যেহেতু এখন ইলেকশন তাই এখন বেরোনো যাবে না। ১০ এপ্রিল যখন পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকে নিজেদের বাউন্ডারি ক্রস করে আমাদের উপর আক্রমণ করতে পেরেছিল তাহলে আমরা কেন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করব না? আমরা সেই কারণে আমরা যেটা ঠিক করেছিলাম যে পথ অবরোধ করব সেটার দিকে এগিয়ে যায়। আর আমরা যতই এগিয়ে যায় ওরা ততই আমাদের উপর আক্রমণ করতে থাকে, আমাদের ঠেলে সরিয়ে দেওয়া হয়, ধাক্কা মারা হয়। তারপরে আমরা যখন ব্যারিকেড ভাঙতে যায় তখন ওরা আমাদের সবাইকে ধাক্কা মেরে গেটের ভিতরে ফেলে দেয়। অনেকটাই ধস্তাধস্তি হয়। আমরাও যখন পাল্টা ধাক্কা মারি তখন একটা ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। তারপরে ওরা অ্যালাউ করে যে, পাঁচ মিনিট সময় দেবে।”

অনুমতি পেয়ে শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে প্রতিবাদ মিছিল করে SFI। সেই মিছিল কফি হাউজের সামনের রাস্তা ধরে সূর্য সেন স্ট্রিট হয়ে আবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসে। প্রেসিডেন্সির সামনের রাস্তা অবরোধ করে মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি পুড়িয়ে শেষ হয় SFI-এর প্রতিবাদ কর্মসূচি। পুলিশে বাধা পেয়েও শেষ পর্যন্ত মিছিল করতে পারাকে নিজেদের জয় বলে মনে করছে SFI। অনন্যা দাশ বলেন, “আমরা তো গেটের ভিতরে দাঁড়িয়ে কোনোদিন প্রতিবাদ করতে পারি না। কারণ, এই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে যদি আমাদের প্রতিবাদ করতে হয় তাহলে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। সেখানে আমাদের ঝান্ডা কাঁধে নিয়ে আমরা যে ওদের সঙ্গে টক্করটা দিয়ে রাস্তায় নামতে পেরেছি, ১৪৪ ধারাটা ভাঙতে পেরেছি, এটা আমরা জয় বলেই মনে করছি।”


Conclusion:
Last Updated : Apr 12, 2019, 8:21 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.