রায়গঞ্জ, 29 জুন : নাগর নদীতে জলস্ফীতির কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হল রায়গঞ্জের গৌরী এবং বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ইতিমধ্যেই নদীর পাড়ে বসবাসকারী 15 টি পরিবারকে উঁচু স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে বিষয়টির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
পাহাড়ে একনাগাড়ে কয়েকদিন ধরে প্রবল বর্ষণের ফলে নাগর ও কুলিক নদীতে জলস্ফীতি হয়েছে। নাগর নদীর জল বিপদসীমার নিচে থাকলেও রায়গঞ্জ ব্লকের বেশ কয়েকটি নীচু এলাকায় নদীর জল ঢুকে পড়েছে। ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে রায়গঞ্জ ব্লকের গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের দুগদুয়ার, অনন্তপুর, ছোট ভিটিয়ার, গোয়ালদহ, ভিটিয়ার, পাড়ারপুকুর গ্রাম। বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারজল, কামারটুলি, মাধবপুর, শাকদুয়ার, বাহিন, বিষ্ণুপুরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। নদীর জলে গৌরী এলাকার বেশ কয়েকটি রাস্তা ভেঙে গিয়েছে, ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
নদী সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী 15টি পরিবারকে ফ্লাড রিলিফ ক্যাম্পে আনা হয়েছে । রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মানস ঘোষ জানান, রায়গঞ্জ ব্লকের বেশ অঞ্চল বন্যা প্লাবিত এলাকার অন্তর্গত । নাগর নদীর জলস্ফীতির কারণে গৌরী এবং বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে বন্যা মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুর্গতদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্লাবিত দুটি এলাকার উপর কড়া নজর রাখছে ব্লক প্রশাসন।
আব্দুল সাত্তার নামে এক গ্রামবাসী জানান, নদীর জল গ্রামে ঢুকে পড়ায় বেশ কয়েকটি রাস্তা ভেঙে গিয়েছে । ফলে রায়গঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও জমিতে জল ঢুকে যাওয়ায় বীজ ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে। পাটের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও সৃষ্টি হয়েছে । নদী থেকে এলাকায় ঢুকে পড়া জলের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। আরেক গ্রামবাসী ডোমা শেখ জানান, বাড়িতে জল ঢুকে যাওয়ায় তারা ফ্লাড সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন।