সন্দেশখালি, 10 জুন : সন্দেশখালিতে BJP কর্মীদের হত্যায় জড়িতরা কোমরে বন্দুক নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে । অথচ পুলিশ BJP কর্মীদের আটকাচ্ছে । এই অভিযোগ করলেন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ।
শনিবার সন্দেশখালির ন্যাজাটে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের । তার মধ্যে একজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ও দু'জন BJP কর্মী । তা নিয়ে BJP-তৃণমূল চাপানউতোর শুরু হয়েছে । দাবি-পালটা দাবি, দোষারোপ-পালটা দোষারোপে উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে BJP নেতা মুকুল রায় । বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক । রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কেন্দ্র । কিছুটা চাপে পড়ে পালটা কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল সরকার । কেন্দ্র রাজ্যের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে , চক্রান্ত করে রাজ্যের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলের ।
এই সংক্রান্ত খবর : BJP-তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সন্দেশখালির ন্যাজাট, মৃত 4
ইতিমধ্যে গতকাল সন্দেশখালিতে যায় BJP এবং তৃণমূলের প্রতিনিধি দল । পরে মৃত BJP কর্মী-সমর্থকদের দেহ নিয়ে কলকাতায় আসার চেষ্টা করেন দিলীপ ঘোষ ও BJP নেতার । মাঝপথে তাঁদের আটকায় পুলিশ । সে প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, "এই রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই । প্রকাশ্য দিবালোকে বিরোধীদের খুন করা হচ্ছে । গুলি মেরে, পুলিশের সামনে । সেই পুলিশ আমাদের রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে রয়েছে । মৃতদেহকেও নিয়ে যেতে দিচ্ছে না । আর যারা খুন করেছে, তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে । তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে কোমরে বন্দুক গুঁজে ঘুরে বেড়াচ্ছে ।"
এই সংক্রান্ত আরও খবর : দেহ আনা গেল না কলকাতায়, সন্দেশখালিতেই সৎকার
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কী বলবেন ? সে প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, "পুলিশের কোনও ভূমিকাই নেই । তারা তৃণমূলের ক্যাডারের মতো কাজ করছে । " গতকাল মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । এনিয়ে দিলীপবাবু বলেন, "আমি তো শুনলাম ওখানে 144 ধারা জারি রয়েছে । উনি ওখানে গেলেন কী ভাবে ? তাঁর জন্য 144 ধারা নয় ? আইন নয় ? আইন BJP-র জন্য ? আমরা মৃতদেহ নিয়ে সম্মানিত করলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে ? আর তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন বন্দুক নিয়ে, গুন্ডাদের সঙ্গে নিয়ে ।"
এই সংক্রান্ত আরও খবর : তপ্ত সন্দেশখালি, কেন্দ্র-রাজ্যে ফের চাপানউতোর !