দিল্লি, 15 সেপ্টেম্বর : ভারত-চিন সীমান্তের পরিস্থতি নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নকে ইচ্ছাকৃতভাবে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে । আজ সংসদের বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে এভাবেই কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধি । পাশাপাশি, সংসদে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত না থাকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি ।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে টুইটারে রাহুল গান্ধি লেখেন, “প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র মোদি দেশকে ভুল বার্তা দিচ্ছেন । আমাদের দেশ সবসময় সেনার পাশে রয়েছে, আগামী দিনেও থাকবে । কিন্তু প্রধানমন্ত্রী, আপনি কখন চিনের বিরুদ্ধে কথা বলবেন ? কখন আপনি আমাদের মাটিকে চিনের দখলমুক্ত করবেন ?”
আজ সাংসদরা আজ লোকসভা থেকে ওয়াক আউট করেন এবং ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে কথা না হওয়ার কারণে সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখান । সরকার কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে চাইছে না বলেও আজ অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরি বলেন, “1962-র যুদ্ধের সময়ে অটল বিহারী বাজপেয়ী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য বলেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে । তিনি সংসদে দু'দিন ধরে আলোচনা করেছিলেন ।"
আরও পড়ুন : সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে যা প্রয়োজন সব করা হবে : প্রতিরক্ষামন্ত্রী
কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ বলেন, “অধীর চৌধুরি সেনার পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন সংসদে । কিন্তু আমাদের কথা শোনা হয়নি । তাই আমরা ওয়াক আউট করেছি । দুর্ভাগ্যের বিষয়, সরকার ভাবে শুধু তারাই সেনার কথা চিন্তা করে ।”
প্রসঙ্গত, সীমান্তে কী চলছে, তা স্পষ্টভাবে সংসদে জানানোর জন্য বারবার চাপ দেওয়া হচ্ছিল কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলির তরফে । তবে সরকারের থেকে পরিস্থিতির সংবেদনশীলতা বিচার করে এ-বিষয়ে আলোচনা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । আর এর পরই প্রতিবাদে লোকসভা থেকে ওয়াক আউট করেন কংগ্রেসের সাংসদরা ।
প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় আজ । কংগ্রেসে নেতা রণদীপ সিং সূরযেওয়ালা প্রশ্ন তোলেন, "প্রধানমন্ত্রী কেন আজ উপস্থিত নেই ? তবে কি তিনি সরকারের ব্যর্থতা সংক্রান্ত প্রশ্নগুলি থেকে দূরে পালাতে চাইছেন ?"