মালদা, 22 জুন : জনপ্রতিনিধির পর এবার সরকারি আধিকারিক । রতুয়ার মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে প্রায় ১ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে এক সরকারি আধিকারিককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ । তাঁর নাম প্রমোদকুমার সরকার । আজ তাঁকে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক 7 দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন । ধৃত সরকারি কর্মীর অভিযোগ, শুধু তিনিই নন, এই কাণ্ডে পঞ্চায়েতের আরও অনেকে জড়িত রয়েছেন ।
2017 সালে মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৎকালীন প্রধান সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে প্রায় 1 কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে । এই অভিযোগ পেয়ে রতুয়া ১ ব্লকের তৎকালীন BDO অর্জুন পাল তদন্তের নির্দেশ দেন । ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর তিনি তৎকালীন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুকেশ যাদব সহ কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয় । পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সুকেশ যাদব কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন । চলতি মাসের 18 তারিখ পুলিশ মহানন্দটোলার শ্যামগোপটোলা গ্রামের বাড়ি থেকে সুকেশবাবুকে গ্রেপ্তার করে । এরপর গতকাল রাতে মালদা শহরের অরবিন্দ পার্ক থেকে রতুয়া থানার পুলিশ ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৎকালীন এগজ়িকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রমোদকুমার সরকারকে গ্রেপ্তার করে । প্রমোদবাবু বর্তমানে মানিকচক ব্লকের চৌকি মীরদাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এগজ়িকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত । 10 দিনের হেপাজত চেয়ে আজ প্রমোদবাবুকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক 7 দিনের হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে ।
রতুয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে রতুয়া 1 ব্লকের তৎকালীন BDO অর্জুন পাল যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, তাতে সুকেশ যাদবের সঙ্গে প্রমোদবাবুরও নাম ছিল । তারই ভিত্তিতে গতকাল রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । ধৃত প্রমোদবাবু জানান, "BDO এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন । আমি অবশ্য সেই অভিযোগের কোনও কপি পাইনি । গতকাল রাতে পুলিশ বাড়ি থেকে আমাকে গ্রেপ্তার করে । তবে এই ঘটনায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের আরও অনেকে জড়িত । তাঁদের মধ্যে আমার সহকর্মীরাও রয়েছে ।"