ETV Bharat / briefs

ছেলে-বউমার অত্যাচারে অতিষ্ঠ, অভিযোগ জানাতে মহকুমাশাসকের দপ্তরে বৃদ্ধ দম্পতি

সম্পত্তি হাতাতে ছেলে ও বউমা মারধর করত বলে অভিযোগ । এবিষয়ে হবিবপুর থানায় একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও কোনও লাভ হয়নি । এমন কী পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি । বাধ্য হয়েই তাঁরা আজ মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন ।

মহাবীরচন্দ্র মণ্ডল ও রাধারানি মণ্ডলের
author img

By

Published : May 18, 2019, 12:48 PM IST

Updated : May 18, 2019, 2:18 PM IST

মালদা, 18 মে : ছেলে-বউমার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হলেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা । হবিবপুরের উপনির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় আজ মহকুমাশাসক (সদর) পার্থ চক্রবর্তী দপ্তরে ছিলেন না । তাঁর অবর্তমানে দপ্তরের এক আধিকারিকের কাছে তাঁরা অভিযোগপত্র জমা দেন ।

হবিবপুরের দক্ষিণ চাঁদমারীর গৌড়ামারী এলাকায় বাড়ি মহাবীরচন্দ্র মণ্ডল (87) ও রাধারানি মণ্ডলের (75) । তাঁদের দুই ছেলে, পাঁচ মেয়ে । সকলেই বিবাহিত । বড় ছেলে সুধাংশু মণ্ডল চাষের কাজ করে । ছোটো ছেলে গৌতম মণ্ডল চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়র । সীতা মণ্ডলের সঙ্গে সুধাংশুর বিয়ে হয় । বিয়ের পরেই মহাবীরবাবু ছেলেকে সম্পত্তির ভাগ দিয়ে দেন । কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হয়নি সুধাংশু । অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রী মিলে মহাবীরবাবু ও তাঁর স্ত্রীয়ের উপর অত্যাচার শুরু করে । ছেলে-বউমার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তাঁরা চেন্নাইয়ে ছোটো ছেলের কাছে চলে যান । ১৭ বছর সেখানে ছিলেন । কিন্তু চেন্নাইয়ের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে উঠতে না পেরে ফের হবিবপুরে ফিরে আসেন । ছোটো ছেলে তাঁদের আলাদা বাড়ি করে দেন । সেই বাড়িতেই স্ত্রীকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন মহাবীরবাবু । কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই বড় ছেলে ও বউমা ফের অত্যাচার শুরু করে । সম্পত্তি হাতাতে মারধরও করা হত বলে অভিযোগ । এবিষয়ে হবিবপুর থানায় একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও কোনও লাভ হয়নি । এমন কী পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েও ফল মেলেনি । বাধ্য হয়েই তাঁরা আজ মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

মহাবীরবাবু বলেন, "নিজের বাড়িতেও ভয়ে ভয়ে থাকতে হচ্ছে । কখন লাঠিপেটা করবে, কখন ঢিল ছুঁড়ে মারবে । বহুবার থানাতে অভিযোগ জানিয়েছি । লাভের লাভ হয়নি । শুধুমাত্র শান্তিতে বসবাস করতে চাই ।" রাধারানি বলেন, "বিয়ের পরেই বড় ছেলে ও বউমাকে সম্পত্তি ভাগ করে দিয়েছি । তা সত্ত্বেও ওরা আমাদের জমি থেকে গাছ কেটে নিচ্ছে । বাকি সম্পত্তি হাতাতে প্রতিনিয়ত গালিগালাজ করছে, মারধর করছে । বাড়িতে থাকতে ভয় পাচ্ছি । পুলিশে অভিযোগ করেও ফল মেলেনি । বাধ্য হয়ে আজ মহকুমাশাসকের কাছে এসেছি ।"

বিষয়টি নিয়ে সুধাংশু ও তার স্ত্রী মুখ খুলতে রাজি হয়নি ।

মালদা, 18 মে : ছেলে-বউমার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হলেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা । হবিবপুরের উপনির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় আজ মহকুমাশাসক (সদর) পার্থ চক্রবর্তী দপ্তরে ছিলেন না । তাঁর অবর্তমানে দপ্তরের এক আধিকারিকের কাছে তাঁরা অভিযোগপত্র জমা দেন ।

হবিবপুরের দক্ষিণ চাঁদমারীর গৌড়ামারী এলাকায় বাড়ি মহাবীরচন্দ্র মণ্ডল (87) ও রাধারানি মণ্ডলের (75) । তাঁদের দুই ছেলে, পাঁচ মেয়ে । সকলেই বিবাহিত । বড় ছেলে সুধাংশু মণ্ডল চাষের কাজ করে । ছোটো ছেলে গৌতম মণ্ডল চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়র । সীতা মণ্ডলের সঙ্গে সুধাংশুর বিয়ে হয় । বিয়ের পরেই মহাবীরবাবু ছেলেকে সম্পত্তির ভাগ দিয়ে দেন । কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হয়নি সুধাংশু । অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রী মিলে মহাবীরবাবু ও তাঁর স্ত্রীয়ের উপর অত্যাচার শুরু করে । ছেলে-বউমার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তাঁরা চেন্নাইয়ে ছোটো ছেলের কাছে চলে যান । ১৭ বছর সেখানে ছিলেন । কিন্তু চেন্নাইয়ের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে উঠতে না পেরে ফের হবিবপুরে ফিরে আসেন । ছোটো ছেলে তাঁদের আলাদা বাড়ি করে দেন । সেই বাড়িতেই স্ত্রীকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন মহাবীরবাবু । কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই বড় ছেলে ও বউমা ফের অত্যাচার শুরু করে । সম্পত্তি হাতাতে মারধরও করা হত বলে অভিযোগ । এবিষয়ে হবিবপুর থানায় একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও কোনও লাভ হয়নি । এমন কী পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েও ফল মেলেনি । বাধ্য হয়েই তাঁরা আজ মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

মহাবীরবাবু বলেন, "নিজের বাড়িতেও ভয়ে ভয়ে থাকতে হচ্ছে । কখন লাঠিপেটা করবে, কখন ঢিল ছুঁড়ে মারবে । বহুবার থানাতে অভিযোগ জানিয়েছি । লাভের লাভ হয়নি । শুধুমাত্র শান্তিতে বসবাস করতে চাই ।" রাধারানি বলেন, "বিয়ের পরেই বড় ছেলে ও বউমাকে সম্পত্তি ভাগ করে দিয়েছি । তা সত্ত্বেও ওরা আমাদের জমি থেকে গাছ কেটে নিচ্ছে । বাকি সম্পত্তি হাতাতে প্রতিনিয়ত গালিগালাজ করছে, মারধর করছে । বাড়িতে থাকতে ভয় পাচ্ছি । পুলিশে অভিযোগ করেও ফল মেলেনি । বাধ্য হয়ে আজ মহকুমাশাসকের কাছে এসেছি ।"

বিষয়টি নিয়ে সুধাংশু ও তার স্ত্রী মুখ খুলতে রাজি হয়নি ।

Intro:মালদা, ১৭ মেঃ “নিজের বাড়িতেও ভয়ে ভয়ে থাকতেও হচ্ছে। কখন লাঠিপেটা করবে, কখন ঢিল ছুঁড়ে মারবে। বহুবার থানাতে অভিযোগ জানিয়েছি কিন্তু কোনও ফল হয়নি। শুধুমাত্র শান্তিতে বসবাস করতে চাই।” অভিযোগপত্র হাতে নিয়ে মহকুমাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে এসে জানালেন ৮৭ বছরের বৃদ্ধ।Body:হবিবপুরের দক্ষিণ চাঁদমারী এলাকার গৌড়ামারী এলাকায় বসবাস করেন মহাবীরচন্দ্র মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী রাধারানী মণ্ডল (৭৫)। তাঁদের দুই ছেলে ও পাঁচ মেয়ে। সকলেই বিবাহিত। বড় ছেলে সুধাংশু মণ্ডল কৃষিকার করে। ছোটো ছেলে গৌতম মণ্ডল চেন্নাইয়ে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ার। সুধাংশু স্থানীয় মেয়ে সীতা মণ্ডলকে বিয়ে করে। বিয়ের পরেই মহাবীরবাবু ছেলেকে সম্পত্তির ভাগ দেন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হয়নি সুধাংশু। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রী মিলে মহাবীরবাবু ও রাধারানীদেবীর ওপর অত্যাচার শুরু করে। ছেলে-বৌমার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মহাবীরবাবু স্ত্রীকে নিয়ে চেন্নাইয়ে ছোটো ছেলের কাছে চলে যান। ১৭ বছর সেখানে থাকলেও ভাষার সমস্যায় সেই পরিবেশে মানিয়ে উঠতে পারেননি তাঁরা। বাধ্য হয়ে তাঁরা ফের হবিবপুরে ফিরে আসেন। ছোটো ছেলে গৌতম তাঁদের আলাদা বাড়ি করে দেন। সেই বাড়িতেই স্ত্রীকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন মহাবীরবাবু। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই ফের অত্যাচার শুরু হয় বড়োছেলে ও বৌমার। সম্পত্তি হাতাতে মহাবীরবাবু ও রাধারানীদেবীকে মারধরও করে তারা বলে অভিযোগ। এনিয়ে একাধিকবার হবিবপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন মহাবীরবাবু। তাতে সমস্যা সমাধান হওয়ার বদলে আরও বেড়ে যায়। চলতি মাসের ৮ তারিখে পুলিশ সুপারের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু তাতেও ফল মেলেনি। বাধ্য হয়েই আজ মহকুমারশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
হবিবপুর উপনির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় আজ দপ্তরে ছিলেন না মহকুমাশাসক (সদর) পার্থ চক্রবর্তী। তাঁর অবর্তমানে দপ্তরের এক আধিকারিকের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেন মহাবীরবাবু।
মহকুমাশাসকের দপ্তরের সামনে মহাবীরবাবু জানান, “বিগত ১৭বছর ধরে চেন্নাইয়ে ছোটো ছেলের কাছে ছিলাম। কিন্তু ভাষার সমস্যায় ফের এখানে ফিরে আসি। বাড়ি ফিরতেই বড়ো ছেলে ও বৌমা সম্পত্তির লোভে অত্যাচার শুরু করে। মেয়েদের সঙ্গে দেখা করতে দেয় না, মারধর করে। নিজের বাড়িতেও ভয়ে ভয়ে থাকতে হচ্ছে। কখন মারধর করবে, কখন ইট ছুঁড়বে, কখন মেরে ফেলবে কে জানে। আমরা শুধু নয়, গ্রামবাসীরাও ছেলে বৌমাকে দেখে ভয় পাচ্ছে। বহুবার থানার অভিযোগ জানিয়েছি, কিন্তু কোনও ফল মেলেনি। আমরা স্বামী-স্ত্রী শুধু শান্তিতে বসবাস করতে চাই।”
Conclusion:একই বক্তব্য রাধারানীদেবীর। তিনি বলেন, “বিয়ের পরপরই বড়ো ছেলে ও বৌমাকে সম্পত্তি ভাগ করে দিয়েছি। তা সত্ত্বেও ওরা আমাদের জমি থেকে গাছ কেটে নিচ্ছে। বাকি সম্পত্তি হাতাতে প্রতিনিয়ত গালিগালাজ করছে, মারধর করছে। বাড়িতে থাকতে ভয় পাচ্ছি। পুলিশের অভিযোগ করেও ফল মেলেনি। বাধ্য হয়ে আজ মহকুমাশাসকের কাছে এসেছি। আমরা শান্তিতে বসবাস করতে চাই।”
Last Updated : May 18, 2019, 2:18 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.