পিথোরাগড়, 21 জুন : কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধুরার উপর কাঠমান্ডু যে নিজেদের অধিকার দাবি করছে, তার সমর্থনে ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত নেপালি রেডিয়ো চ্যানেলগুলিতে প্রোপাগান্ডা প্রচার চলছে বলে দাবি ভারতীয় সীমান্তের গ্রামবাসীদের।
সম্প্রতি নেপালি পার্লামেন্ট একটি নতুন রাজনৈতিক ম্যাপ গ্রহণ করেছে । যেখানে এই সমস্ত এলাকাগুলিকে তাদের দেশের অংশ বলে দাবি করা হয়েছে। ভারতের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হয়েছে।
পিথোরাগড়ের ধরচুলা মহাকুমার দান্তু গ্রামের বাসিন্দা সালু দাতাল নামক এক মহিলা জানান, "কিছু নেপালি রেডিয়ো চ্যানেলগুলি নেপালি গানের মাঝে ভারত বিরোধী ভাষণ পরিবেশন করছে। যেহেতু সীমান্তে দুই পারের বাসিন্দারাই নেপালি গান শোনেন, তাই তারাও নেপালি নেতাদের দেওয়া ভারত বিরোধী ভাষণগুলি শুনতে পাচ্ছেন। মূলত নয়া নেপাল ও কালাপানি রেডিয়ো গানের মাঝে ভারত বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে। এছাড়াও মল্লিকার্জুন রেডিয়ো এবং অন্নপূর্ণা. অনলাইন নামে একটি ওয়েবসাইট কালাপানিকে নেপালের অংশ বলে দাবি করছে। "
রেডিয়ো স্টেশনগুলি মূলত নেপালের ধরচুলার ছাবরিগড়ে অবস্থিত। স্টেশনগুলির রেঞ্জ তিন কিলোমিটার হওয়ায় ভারতীয় সীমান্তের ধরচুলা, বালুয়াকোট, জাউলজিবি এবং কালিকা থেকেও সমস্ত অনুষ্ঠান শোনা যায়। ধরচুলার রাং সম্প্রদায়ের প্রধান কৃষ্ণা গারবিয়াল বলেন, "রেডিয়ো স্টেশনগুলি নেপালের অংশ হিসেবে কালাপানি, লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরার আবহাওয়া রিপোর্টও সম্প্রচার শুরু করেছে। "
যদিও জেলা আধিকারিক ও পুলিশরা জানান, নেপাল তাদের রেডিয়ো চ্যানেলগুলির মাধ্যমে ভারত বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে, এমন কোনও তথ্য নেই। পিথোরাগড়ের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট প্রীতি প্রিয়দর্শিনী বলেন, " এই বিষয়ে আমাদের গোয়েন্দাদের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। " ধরচুলার সার্কেল অফিসার ভি কে আচার্যও এই বিষয়ে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, "নেপালের তরফ থেকে ভারত বিরোধী কোনও প্রচার চলছে, এমন কোনও তথ্য দেয়নি আমাদের গোয়েন্দা শাখা। "
ভ্যাস উপত্যকার এক নেতা অশোক নবিয়াল বলেন, সীমান্তে সক্রিয় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পরিস্থিতি সম্পর্কে নজর রাখা দরকার।