জলপাইগুড়ি, 8 জুলাই : অবশেষে প্রায় এক বছর পর জলপাইগুড়ির তৃণমূলের জেলা কমিটির ঘোষণা করা হল। তিন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে জেলার 14 টি সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি ও 9 জনের কোর কমিটির নাম ঘোষণা করলেন জেলা সভাপতি কিষাণ কল্যাণী ।
লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর জলপাইগুড়ি জেলায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি বদল করা হয়। সৌরভ চক্রবর্তীকে সরিয়ে জেলা সভাপতি করা হয় কিষাণ কল্যাণীকে। কিন্তু এক বছর হয়ে গেলেও জেলার ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা যায়নি। আজ তৃণমূলের জলপাইগুড়ির পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব জলপাইগুড়িতে আসেন। তাঁদের উপস্থিতিতে জলপাইগুড়ি জেলার ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেন জেলা সভাপতি কিষাণ কল্যাণী।
2019 সালের 6 অগাস্ট তৃণমূলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যাণী দায়িত্ব নেন। এরপর জেলার কমিটি তৈরিকে কেন্দ্র করে বার বার গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠে। আজ সমাজ পাড়ার জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম দেব-সহ জেলার সব বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন রাজ্যের পূর্ত মন্ত্রী তথা জেলার দলের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস।
জেলার সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যাণী জানান, জলপাইগুড়ি তৃণমূলের সদর ব্লক সভাপতি হয়েছেন তরুণ বসু বিশ্বাস, কার্যকরী সভাপতি নুরজাহান বেগম ।জলপাইগুড়ি টাউন তৃণমূলের চেয়ারম্যান সোমনাথ পাল, সভাপতি ননী সরকার, কার্যকারী সভাপতি পল্লব দাস । মাল টাউন সভাপতি স্বপন সাহা । মাল রুরাল ব্লক সভাপতি তলাম ঘোষ ৷ ময়নাগুড়ি ব্লক একে দলের চেয়ারম্যান সুভাষ বসু, সভাপতি মনোজ রায়, কার্যকারী সভাপতি গোবিন্দ পাল। ময়নাগুড়ি ব্লক দুই-এর সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত। নাগরাকাটায় দলের সভাপতি মনোজ মুন্ডা, কার্যকারী সভাপতি অসিতাভ বসু । ধুপগুড়ি টাউন ব্লক সভাপতি অনিল চক্রবর্তী, কার্যকরী সভাপতি দেবদুলাল ঘোষ। মেটলি ব্লক সভাপতি আশিস কুন্ডু। বানারহাট ব্লক সভাপতি নারায়ণ দত্ত, কার্যকরী সভাপতি সুজিত ছেত্রী ও সাগর গুরুং। ধুপগুড়ি রুরাল ব্লক সভাপতি ধজেন্দ্রনাথ রায়। রাজগঞ্জ ব্লকের চেয়ারম্যান মুসারফ হুসেন, সভাপতি লক্ষী মোহন রায়। সদর দুই ব্লক সভাপতি প্রসূন দেব দাস।