ETV Bharat / briefs

বাবাই আমার অনুপ্রেরণা, বলছেন রিয়ান পরাগ

রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ইডেনে অভিষেক হল অসমের এই ক্রিকেটারের । ইডেনের মত ঐতিহাসিক মাঠে IPL ম্যাচ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই রোমাঞ্চিত তিনি ।

ফোটো সৌজন্যে @IPL
author img

By

Published : Apr 26, 2019, 6:56 AM IST

কলকাতা, 26 এপ্রিল : অসম ক্রিকেটের নতুন সম্ভাবনার নাম রিয়ান পরাগ । তিনি IPL-এ রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে এই মরশুমে খেলছেন । অসম থেকে উঠে আসা প্রথম ক্রিকেটার যিনি IPL খেলছেন । বয়স মাত্র ১৭ । IPL-র মঞ্চে অসমের এই কিশোর অন্যতম সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার । বয়সের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রিয়ান পরাগের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলার প্রয়াস রায় বর্মণ । রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ইডেনে অভিষেক হল রিয়ানের। ইডেনের মত ঐতিহাসিক মাঠে IPL ম্যাচ খেলা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই রোমাঞ্চিত তিনি ।

বাবার হাতেই তাঁর ক্রিকেটের হাতেখড়ি । তাই বাবাকেই আদর্শ মানেন রিয়ান । মাত্র সতেরো বছর বয়েসেই ব্যাট হাতে তার পরিণতবোধ চমকে দিয়েছিল ক্রিকেট সমালোচকদের । নিজের পারফরম্যান্সে আস্থাশীল পরাগ ডাক পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন । নিলামে তার নাম শেষে ডাকা হয়েছিল । সেজন্য নার্ভাস থাকলেও আশা হারাননি । রাজস্থান রয়্যালস সাজঘরে স্টিভ স্মিথের কাছ থেকে নিয়মিত পরামর্শ পান তিনি । অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিয়ানকে শান্ত থেকে নিজের স্বাভাবিক খেলার পরামর্শ দিয়েছেন । দলে তারকার ভিড় থাকলেও রিয়ান কখনও অসহায় বোধ করেননি । বেন স্টোক, জোস বাটলার, স্টিভ স্মিথ সাজঘরে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখেন । তাঁরা যে কোনও সময় যে কোনও পরামর্শ দিতে তৈরি । তাই রিয়ান বয়সে ছোট হলেও তারকাদের ভিড়ে হারিয়ে যান না । IPL-এ তাঁর রাজ্য অসম থেকে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন । তবে তিনি এখানেই থামতে চান না । ভারতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাই তাঁর পাখির চোখ । বাবা পরাগ দাসকে দেখেই ক্রিকেট খেলার ইচ্ছে হয়েছিল । জাতীয় দলের জার্সি যে একমাত্র লক্ষ্য তা বাবাকে বলেছেন । প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪৩ টি ম্যাচ খেলা বাবা পরাগের দাসই অনুপ্রেরণা রিয়ানের কাছে । জীবনের প্রথম কোচ নবাব আলির কাছেও কৃতজ্ঞ ১৭ বছরের এই ক্রিকেটার ।

বছরের বেশিরভাগ সময় অসমে বৃষ্টি হয় । তাই সেখানের পরিবেশ ক্রিকেট খেলার উপযুক্ত নয় । আপাতত IPL-এর সাজঘরে প্রবেশ করলেও আত্মতুষ্ট হচ্ছেন না । বরং স্বপ্নটা বড় করে নিজেকে বাড়িয়ে নিয়ে যেতে চান । একই সঙ্গে তিনি চাইছেন অসম থেকে আরও ক্রিকেটারের উত্থান । তাই রিয়ান পরাগ অসমের নতুন সম্ভাবনার নাম ।

কলকাতা, 26 এপ্রিল : অসম ক্রিকেটের নতুন সম্ভাবনার নাম রিয়ান পরাগ । তিনি IPL-এ রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে এই মরশুমে খেলছেন । অসম থেকে উঠে আসা প্রথম ক্রিকেটার যিনি IPL খেলছেন । বয়স মাত্র ১৭ । IPL-র মঞ্চে অসমের এই কিশোর অন্যতম সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার । বয়সের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রিয়ান পরাগের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলার প্রয়াস রায় বর্মণ । রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ইডেনে অভিষেক হল রিয়ানের। ইডেনের মত ঐতিহাসিক মাঠে IPL ম্যাচ খেলা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই রোমাঞ্চিত তিনি ।

বাবার হাতেই তাঁর ক্রিকেটের হাতেখড়ি । তাই বাবাকেই আদর্শ মানেন রিয়ান । মাত্র সতেরো বছর বয়েসেই ব্যাট হাতে তার পরিণতবোধ চমকে দিয়েছিল ক্রিকেট সমালোচকদের । নিজের পারফরম্যান্সে আস্থাশীল পরাগ ডাক পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন । নিলামে তার নাম শেষে ডাকা হয়েছিল । সেজন্য নার্ভাস থাকলেও আশা হারাননি । রাজস্থান রয়্যালস সাজঘরে স্টিভ স্মিথের কাছ থেকে নিয়মিত পরামর্শ পান তিনি । অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিয়ানকে শান্ত থেকে নিজের স্বাভাবিক খেলার পরামর্শ দিয়েছেন । দলে তারকার ভিড় থাকলেও রিয়ান কখনও অসহায় বোধ করেননি । বেন স্টোক, জোস বাটলার, স্টিভ স্মিথ সাজঘরে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখেন । তাঁরা যে কোনও সময় যে কোনও পরামর্শ দিতে তৈরি । তাই রিয়ান বয়সে ছোট হলেও তারকাদের ভিড়ে হারিয়ে যান না । IPL-এ তাঁর রাজ্য অসম থেকে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন । তবে তিনি এখানেই থামতে চান না । ভারতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাই তাঁর পাখির চোখ । বাবা পরাগ দাসকে দেখেই ক্রিকেট খেলার ইচ্ছে হয়েছিল । জাতীয় দলের জার্সি যে একমাত্র লক্ষ্য তা বাবাকে বলেছেন । প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪৩ টি ম্যাচ খেলা বাবা পরাগের দাসই অনুপ্রেরণা রিয়ানের কাছে । জীবনের প্রথম কোচ নবাব আলির কাছেও কৃতজ্ঞ ১৭ বছরের এই ক্রিকেটার ।

বছরের বেশিরভাগ সময় অসমে বৃষ্টি হয় । তাই সেখানের পরিবেশ ক্রিকেট খেলার উপযুক্ত নয় । আপাতত IPL-এর সাজঘরে প্রবেশ করলেও আত্মতুষ্ট হচ্ছেন না । বরং স্বপ্নটা বড় করে নিজেকে বাড়িয়ে নিয়ে যেতে চান । একই সঙ্গে তিনি চাইছেন অসম থেকে আরও ক্রিকেটারের উত্থান । তাই রিয়ান পরাগ অসমের নতুন সম্ভাবনার নাম ।

Intro:মাঝরাতে ওর হুড়মুড়িয়ে সাইকেল চালানো দেখে আর কেউ সচকিত হয়না। সকলেই জানে জিন্না সাইকেল চালিয়ে ট্রেন ধরতে ছুটছে। বসিরহাটের বিবিপুরের বাড়ি থেকে কাকড়া মির্জা নগর স্টেশন সতেরো কিলোমিটার দূরে। প্রথম ট্রেন হাসনাবাদ শিয়ালদহ লোকাল ধরতে না পারলে সঠিক সময়ে পৌঁছনো যাবে না যে। আর সময়ে না পৌছতে পারলে প্র্যাকটিসে হয়ত নামা হবে, এক ই সঙ্গে স্যারের বকা শুনতে হবে। বছর আঠারো র ছেলেটা খেলায় ফাকি দিতে চায় না। ক্রিকেট কে আকড়ে জীবন পেতে চায় ও। তাই সমস্ত কষ্ট অপমান সহ্য করে আজ আইপিএলে নেট বোলারের সুযোগ জুটেছে। জিন্না মন্ডল বাংলা র ক্রিকেটের সম্ভাবনা ময় জোরে বোলার।


Body:ক্ষুধার রাজ্যে জিন্না মন্ডলের পৃথিবী সত্যিই গদ্যময়। দুবেলা দুমুঠো অন্নের জন্যে ওর লড়াই আইপিএলে র প্রিজমে দেখলে সাদাকালো সিনেমা মনে হবে। যা হয়ত কোন চিত্রনাট্যকার লিখতে পারলে ধন্য মনে করতেন। বসিরহাটের বিবিপুরের ভাগচাষীর ছেলে জিন্না ইডেনে নেট বোলার।ইতিমধ্যে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ডেভিড মিলারের উইকেট ভেঙে ছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের পীযুষ চাওলাকেও আউট করেছেন সম্বরন ব‍্যানার্জীর ক্রিকেট আকাডেমির এই শিক্ষার্থী পেসার। কলকাতা পঞ্জাব ছাড়াও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বল করে নজর কেড়েছেন পাচ ফুট দশ ইঞ্চি লম্বা র ছিপছিপে ছেলেটি। সম্বরন তাকে ডাকেন জোরে বোলার বলে।
নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে জিন্না র বাবা দিনমজুর। পেট চালাতে রাত জেগে মাছ ধরতে হয় তাকে। বাবাকে সাহায্য করতে মাঠে বিলে জলা জমিতে বিষাক্ত সাপের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে মাছ ধরে জিন্না।মা জমিতে ঘাস কাটেন। বাড়িতে হাস মুরগি ছাগল আছে। তা প্রতিপালন করেই মন্ডল পরিবারের গ্রাসাচ্ছদনের লড়াই।
গদ্যময় পৃথিবীতে বাস করেও জিন্নার চোখে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন। রাস্তায় পড়ে থাকা ইটের ঢেলা,ডাবের মুচি,লেবু দিয়ে জিন্নার বোলিংয়ের হাতে খড়ি। সেখান থেকে টেনিস বলে হাত পাকিয়ে পাড়ার মাঠে খেলা শুরু। গরিব ঘরের ছেলে, লিকলিকে চেহরা দেখে সুযোগ দিতে চাইত না কেউ। কিন্তু ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। দাদাদের ফাইফরমাশ খেটে জল বয়ে মন জুগিয়ে পাড়ার দলে জায়গা পেয়েছিল। এভাবেই টেনিস বলের টুর্নামেন্টে ভালো খেলে এলাকার এক ক্রিকেট প্রেমীর নজরে পড়ে জিন্না। তারই হাত ধরে হিন্দুস্তান পার্কের সম্বরন ব্যানার্জি র ক্রিকেট আকাডেমি তে। কবছর কলকাতায় প্র্যাকটিস করছে- এই প্রশ্নে জিন্নার সহজ সরল উত্তর,"এবছর আম পাকার সময় এলে দুবছর হবি।"
শনি রবিবার আকাডেমি তে প্র‍্যাকটিস। সপ্তাহের বাকি দিন গুলোতে ফজর নামাজের পরে কিছুক্ষণ শরীরচর্চা। তারপর প্রতিবেশীদের আমবাগান, ধানক্ষেত কিংবা স্কুলের মাঠে বল ব্যাট নিয়ে অনুশীলন। বিবিপুরের স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে ছে জিন্না। স্কুলের হেডমাস্টার মশাই ও গেমটিচার নানাভাবে সাহায্য করছেন।গতবছর ন্যাশনাল স্কুল ক্রিকেট ট্রায়ালে ডাক পেলেও সময় মত নথি জমা দিতে না পারায় সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। ইতিমধ্যে উত্তর 24 পরগনা জেলা লিগে সুযোগ পেয়েছে। পান্তাভাত খেয়ে প্র্যাকটিসের কথা শুনে সম্বরন ব্যানার্জি টিফিনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আকাডেমি র অন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবক রা জিন্নার প্রতি সহানুভূতিশীল। ইতিমধ্যে আকাডেমি থেকে একমাত্র জিন্নাই নেট বোলার হিসেবে ডাক পেয়েছে।
আইপিএলে র বড় মঞ্চে নেট বোলার হওয়ার সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে নিজেকে পরিশালিত করতে চায় জিন্না। বলের গতি বাড়ানোর কারিকুরি আয়ত্ত করতে চায় সে। ডেল স্টেইনের বল করা কাছ থেকে দেখে মুগ্ধ। আপাতত ক্লাব ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়ার আশায় দিন গুনছে বছর আঠারো র পেসার। প্রাথমিক ভাবে বাংলা দলে জায়গা করে নেওয়া পাখির র চোখ। তারপর জাতীয় দলের স্বপ্ন।চাষের মাঠ থেকে মিলার পীযুষ চাওলার উইকেট। আইপিএলে র রঙিন ক্রিকেট চোখে নেশা ধরিয়ে ছে। সেই নেশাতেই গদ্য ময় জীবন থেকে ক্রিকেটের রাজপথে ছুটতে চায় দিনমজুরের ছেলে জিন্না মন্ডল।


Conclusion:

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.