কুমারগঞ্জ, 23 জুন : পণের দাবিতে এক যুবতিকে খুনের অভিযোগ উঠল শওহরসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মৃতার নাম লাভলি বিবি (28)। ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাটের কুমারগঞ্জ ব্লকের সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সুবর্ণশহিদ এলাকায়। ঘটনায় মৃতার পরিবারের তরফে কুমারগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পলাতক অভিযুক্তরা।
দশ বছর আগে লাভলি বিবির সঙ্গে কুমারগঞ্জ ব্লকের সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সুবর্ণশহিদ এলাকার সুজাউর সরকারের বিয়ে হয়েছিল। তাদের একটি আট বছরের পুত্রসন্তান রয়েছে। লাভলি বিবির শওহর সুজাউর ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করে । তবে লকডাউনের আগে সে কুমারগঞ্জে ফিরে এসেছিল। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, মাঝেমধ্যে পণসহ বিভিন্ন বিষয়ে শওহর, শাশুড়ি ও দেওর মিলে লাভলিকে মারধর করত। শনিবার রাতেও বচসা হয় শওহর-বিবির মধ্যে। সেই সময়ই অভিযুক্তরা লাভলি বিবিকে খুন করে মৃতদেহটি আত্রেয়ী নদীতে ফেলতে যায় বলে অভিযোগ । বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে পড়লে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে যায়।
শনিবার রাতে লাভলি বিবি মারা গেলেও রবিবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর পান পরিবারের লোকেরা। খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে এসেও তাঁর মৃতদেহ দেখতে পাননি তাঁরা । তারপর স্থানীয়দের মুখে সমস্ত ঘটনা শুনে বাড়ি থেকে প্রায় 2 কিলোমিটার দূরে আত্রেয়ী নদী সংলগ্ন এলাকায় একটি ভ্যান থেকে মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এই বিষয়ে মৃতের দাদা মুন্না সরকার বলেন, "মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন কারণে বোনের উপর অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন । আমাদের অনুমান, বোনকে ওরা বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। মৃতদেহ বাড়িতে আনার পর শরীরে অনেকগুলি ক্ষতচিহ্ন দেখতে পাওয়া গিয়েছে । সম্ভবত কোনও ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল । মৃত্যুর পরেও শ্বশুরবাড়ির তরফে আমাদের কিছু জানানো হয়নি । "
কুমারগঞ্জ থানার OC টাসি থিরিং শেরপা জানান, এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ হাতে পাইনি । অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।