কলকাতা, 15 জুন : তৈরি ছিল ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্স । বার্তা ছিল জখম জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই খবর পেয়ে হাজির ছিলেন বেসরকারি হাসপাতালের উচ্চপদস্থ কর্তারা । চলে আসেন শীর্ষ পুলিশ কর্তারাও। রাস্তা ফাঁকা রাখতে শুরু হয়ে যায় যান-নিয়ন্ত্রণ । কিন্তু, কোথায় কী ! এলেন না মুখ্যমন্ত্রী । কালীঘাটের নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা নবান্নে যান তিনি । সূত্রের খবর, আন্দোলনকারীরা বৈঠকের আহ্বান প্রত্যাখান করায় বেঁকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী ।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে কয়েকদিন ধরে সরকারি হাসপাতালে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা । দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । তাতে কাজ হয়নি । উলটে বাড়ে ক্ষোভের মাত্রা । আন্দোলনে সামিল হন চিকিৎসকরা । গণইস্তফা দিতে থাকেন তাঁরা । জুনিয়র ডাক্তাররা দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী যেন হাসপাতালে পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে যান । অন্যদিকে, পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে দেখে কঠোর অবস্থান বদলে ফেলেন মমতা । গতকাল সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীদের নবান্নে ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী । গতকাল সেই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি আন্দোলনকারীরা ।
আজ সকালে আরও নমনীয় হন মুখ্যমন্ত্রী । আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে তিনি পরিবহকে দেখতে যাবেন বলে খবর ছড়ায় । ইতিমধ্যে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে NRS-এ যান IMA সভাপতি তথা সাংসদ শান্তনু সেন । সেখানে তাঁকে কার্যত রোষের মুখে পড়তে হয় । এরপরও মুখ্যমন্ত্রী ভেবেছিলেন পরিবহকে দেখতে যাবেন ।
পরে দুপুরের দিকে নিজেদের মধ্যে মিটিংয়ের পর মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান প্রত্যাখান করেন আন্দোলনকারীরা । দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীকে NRS-এ এসে কথা বলতে হবে । সূত্রের খবর, এতেই বেঁকে বসেন মমতা । রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন তিনি । আর তাই বিকেলে পরিবহকে দেখতে যাননি । তবে, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও স্বাস্থ্যসচিব রাজীব সিনহা ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সে পরিবহকে দেখতে যাবেন ।