ETV Bharat / briefs

প্রাথমিক আপত্তির পর সিদ্ধান্ত বদল, ভরতি জট কাটল যাদবপুরে

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ভরতি নীতি নিয়ে জট কাটল । সূত্রের খবর, গতকাল অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৫০ শতাংশ ও স্কুলের শেষ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৫০ শতাংশের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রী ভরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ। আর্টস ফ্যাকাল্টির বাকি বিভাগগুলি আগেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
author img

By

Published : May 22, 2019, 4:58 AM IST

Updated : May 22, 2019, 7:14 AM IST

কলকাতা, 22 মে: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ভরতি নীতি নিয়ে তৈরি জট কাটল । সূত্রের খবর, গতকাল অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৫০ শতাংশ ও স্কুলের শেষ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৫০ শতাংশের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রী ভরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ। আর্টস ফ্যাকাল্টির বাকি বিভাগগুলি আগেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল । তাই কলা বিভাগে ভরতির জট কাটল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ।

চলতি বছরের এপ্রিলে অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠক হয়েছিল । সেই বৈঠকে ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের সিদ্ধান্ত ছিল শুধুমাত্র প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ভরতি নেওয়া হবে । তবে গতকালের বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে তারা ।

গতবছর আর্টস ফ্যাকাল্টির ছয়টি বিভাগে ভরতির পদ্ধতি নিয়ে জটিলতা শুরু হয় । ভরতির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করেও প্রথমে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । তারপরে এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে প্রবেশিকা পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে কলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ আন্দোলন ও অনশন শুরু করে। শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের চাপে ভরতির ক্ষেত্রে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের 50 শতাংশ ও উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমতুল্য পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের 50 শতাংশের ভিত্তিতে ওই ছয়টি বিভাগে ভরতির সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে প্রবেশিকা পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ উঠে । অভিযোগের তদন্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল ।

এবছর ভরতির নিয়মনীতি ঠিক করার জন্য এপ্রিলে আর্টস ফ্যাকাল্টির অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠক হয়। যেখানে অন্য বিভাগগুলি গতবছরের নিয়ম মেনে ভরতির সিদ্ধান্তে মত দিলেও ভিন্ন অবস্থান নেয় ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ। শুধুমাত্র প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই তারা ভরতির পক্ষে মত দেয় । এরপর উপাচার্য সুরঞ্জন দাস আর্টস ফ্যাকাল্টির ডিন এবং ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের শিক্ষকদের ডেকে কথা বলেন। তারপর গতকালের বৈঠকে নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল করে ওই দুই বিভাগ । অ্যাডমিশন কমিটির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য দুটি বিভাগই তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে । ২৮ মে এগজ়িকিউটিভ কমিটির বৈঠকে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কলকাতা, 22 মে: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ভরতি নীতি নিয়ে তৈরি জট কাটল । সূত্রের খবর, গতকাল অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৫০ শতাংশ ও স্কুলের শেষ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৫০ শতাংশের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রী ভরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ। আর্টস ফ্যাকাল্টির বাকি বিভাগগুলি আগেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল । তাই কলা বিভাগে ভরতির জট কাটল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ।

চলতি বছরের এপ্রিলে অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠক হয়েছিল । সেই বৈঠকে ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের সিদ্ধান্ত ছিল শুধুমাত্র প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ভরতি নেওয়া হবে । তবে গতকালের বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে তারা ।

গতবছর আর্টস ফ্যাকাল্টির ছয়টি বিভাগে ভরতির পদ্ধতি নিয়ে জটিলতা শুরু হয় । ভরতির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করেও প্রথমে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । তারপরে এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে প্রবেশিকা পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে কলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ আন্দোলন ও অনশন শুরু করে। শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের চাপে ভরতির ক্ষেত্রে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের 50 শতাংশ ও উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমতুল্য পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের 50 শতাংশের ভিত্তিতে ওই ছয়টি বিভাগে ভরতির সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে প্রবেশিকা পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ উঠে । অভিযোগের তদন্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল ।

এবছর ভরতির নিয়মনীতি ঠিক করার জন্য এপ্রিলে আর্টস ফ্যাকাল্টির অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠক হয়। যেখানে অন্য বিভাগগুলি গতবছরের নিয়ম মেনে ভরতির সিদ্ধান্তে মত দিলেও ভিন্ন অবস্থান নেয় ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ। শুধুমাত্র প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই তারা ভরতির পক্ষে মত দেয় । এরপর উপাচার্য সুরঞ্জন দাস আর্টস ফ্যাকাল্টির ডিন এবং ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের শিক্ষকদের ডেকে কথা বলেন। তারপর গতকালের বৈঠকে নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল করে ওই দুই বিভাগ । অ্যাডমিশন কমিটির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য দুটি বিভাগই তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে । ২৮ মে এগজ়িকিউটিভ কমিটির বৈঠকে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Intro:কলকাতা, ২১ মে: গত বছরের মতো এই বছরও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ভর্তি নীতি নিয়ে তৈরি হয়েছিল জট। সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত আজকে অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকে প্রবেশিকা ৫০ শতাংশ ও স্কুলের শেষ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৫০ শতাংশের ভিত্তিতে পড়ুয়া ভর্তির সিদ্ধান্ত নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ। এই বছর এপ্রিল মাসে হওয়া অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকে এই দুটি বিভাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ১০০ শতাংশ প্রবেশিকা পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে পড়ুয়া ভর্তি নেওয়ার। যা নিয়ে গত বছরের মতো এ বছরও ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে জট বেঁধেছিল। আজ এই দুটি বিভাগ তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় কাটল সেই জট।Body:গতবছর আর্টস ফ্যাকাল্টির ছয়টি বিভাগের প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে । প্রবেশিকা পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করেও প্রথমে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । তারপরে এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে প্রবেশিকা পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ যাদবপুরের ছাত্ররা আন্দোলন ও অনশন করে। শেষ পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলনের চাপে 50 শতাংশ প্রবেশিকা পরীক্ষা ও 50 শতাংশ উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমতুল্য পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে ওই ছয়টি বিভাগে ভরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়। তারপরে ইতিহাস বিভাগের মেধাতালিকায় গন্ডগোল দেখা দেয়। অভিযোগ উঠে ইংরেজি বিভাগের মেধাতালিকা নিয়েও। প্রবেশিকায় অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গঠন করেছিল একটি তদন্ত কমিটি। সেই তদন্ত কমিটি সুপারিশ করেছিল, মেধাতালিকা তৈরি করতে 50 শতাংশ প্রবেশিকা পরীক্ষা থেকে নেওয়া হোক, বাকি 50 শতাংশ নেওয়া হোক উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমতুল্য পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর থেকে। এই বছর ভরতির নিয়মনীতি ঠিক করার জন্য এপ্রিল মাসে আর্টসের অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠক হয়। যেখানে আর্টস ফ্যাকাল্টির অন্যান্য বিভাগগুলো গতবছরের নিয়ম মেনে ভরতি করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু, তাদের থেকে ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করে ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ। তারা সিদ্ধান্ত নেয়, তারা গতবছরের আগে যে নিয়মে ভরতি করতেন, সেই নিয়মেই ভরতি করবেন। অর্থাৎ, 100 শতাংশ প্রবেশিকা পরীক্ষার ভিত্তিতেই ছাত্র ভরতি করবে। তারপরেই জানা গেছিল, উপাচার্য সুরঞ্জন দাস আর্টসের ডিন এবং ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্যের শিক্ষকদের ডেকে কথা বলেন। সেই আলোচনায় তিনি 100 শতাংশ প্রবেশিকা পরীক্ষার ভিত্তিতে ভরতি না করে, প্রবেশিকা ও উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমতুল্য পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ভরতির পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে জানা গেছিল।

তারপর থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহলে জল্পনা চলছিল যে, অ্যাডমিশন কমিটির সিদ্ধান্ত EC থেকে আবার অ্যাডমিশন কমিটিতেই পাঠানো হতে পারে। গত ২২ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজ়িকিউটভ কমিটির বৈঠকে সেটাই করা হয়। গত বছর এনকোয়ারি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অর্থাৎ, প্রবেশিকা ও উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমতুল্য পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৫০:৫০ অনুপাতে ভর্তি নেওয়ার জন্য বিবেচনা করার জন্য দু'টি বিভাগের সিদ্ধান্ত ফেরত পাঠানো হয় অ্যাডমিশন কমিটিতে। আজ সেই আর্টস ফ্যাকাল্টির অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠক ছিল। অ্যাডমিশন কমিটির এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, বৈঠকে প্রাথমিকভাবে ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য দুটি বিভাগই ৫০:৫০ অনুপাতে ভর্তি নিতে রাজি হয়েছে। এরপর আগামী ২৮ মে এগজ়িকিউটিভ কমিটির বৈঠকে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি জট কাটল বলেই মনে করা হচ্ছে
Conclusion:
Last Updated : May 22, 2019, 7:14 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.