সালানপুর, 21 জুন : মেয়ে ও স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে "ভালো লাগছে না" । বলল অভিযুক্ত । গতকাল সালানপুরের উত্তরামপুর জিতপুর পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রাম থেকে এক মহিলা ও তাঁর মেয়ের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয় । তাঁদের নাম পানমতি হেমব্রম ও রাঙমণি হেমব্রম । এরপরই পানমতির স্বামী হপনা হেমব্রমকে আটক করে পুলিশ । পুলিশের জেরায় স্ত্রী ও মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় সে । আজ তাকে আসানসোল আদালতে তোলা হয় ।
গতকাল সকালে সালানপুরের রামপুর গ্রামে ফাঁকা মাঠে রাঙমণির অর্ধনগ্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা । ঘটনার কথা তাঁরা রাঙামণির মা পানমতিকে জানাতে যান । সেখানে গিয়ে তাঁরা পানমতিরও ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পান । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে সালানপুর থানার পুলিশ । ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ পানবতির স্বামী হপনার নাম জানতে পারে ।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : মাঠের ধারে যুবতির ক্ষতবিক্ষত দেহ, বাড়ির উঠোনে পড়ে মা
পুলিশ সূত্রে খবর , বহুদিন সম্পর্ক ছিল না পানমতি ও হপনার । মহুলডাঙায় একটি মুড়ি ফ্যাক্টরিতে কাজ করত হপনা । কিন্তু, সম্প্রতি ফের পানমতির বাড়িতে আসা-যাওয়া শুরু করে সে । তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হপনাকে আটক করে পুলিশ । জেরায় হপনা জানায়, স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিন অশান্তির হত তার । তাই সে আলাদা থাকত । মাঝেমধ্যে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তারা হপনার সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করত । এমন কী তারা হপনাকে মারধরও করত বলেও অভিযোগ । গতকাল সকালে পানমতির বাড়ি গেছিল হপনা । ফের গতকাল তাদের সঙ্গে অশান্তি শুরু হয় হপনার । এরপরই কুড়ুল দিয়ে প্রথমে স্ত্রীকে কোপায় সে । মেয়ে পালাতে গেলে দূরে গিয়ে তার সঙ্গেও ধস্তাধস্তি শুরু হয় হপনার । এরপর তাকেও কুপিয়ে খুন করে সে । এরপর বাড়িতে কলসিতে হাত ধুয়ে পালায় হপনা । শুধু তাই নয়, নিজের রক্তমাখা কাপড় জামা দ্রুত ধুয়ে ঝাড়খণ্ডে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও করেছিল সে ।
আজ আসানসোল আদালতে তোলার সময় হপনা বলে, " তেমন কোন কারণ ছিল না । আমাদের ঝগড়া হয়েছিল । তাই স্ত্রী ও বিটিকে কুড়ুল দিয়ে খুন করেছি । এখন আর ভালো লাগছে না।"