ETV Bharat / briefs

"ভালো লাগছে না", বলল স্ত্রী-মেয়েকে খুনে অভিযুক্ত - feeling not good

" তেমন কোনও কারণ ছিল না । আমাদের ঝগড়া হয়েছিল । তাই স্ত্রী ও বিটিকে কুড়ুল দিয়ে খুন করেছি । এখন আর ভালো লাগছে না।" আজ আসানসোল আদালতে তোলার সময় বলল হপনা । গতকাল মেয়ে ও স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে সে ।

হপনা
author img

By

Published : Jun 21, 2019, 7:54 PM IST

Updated : Jun 21, 2019, 8:00 PM IST

সালানপুর, 21 জুন : মেয়ে ও স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে "ভালো লাগছে না" । বলল অভিযুক্ত । গতকাল সালানপুরের উত্তরামপুর জিতপুর পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রাম থেকে এক মহিলা ও তাঁর মেয়ের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয় । তাঁদের নাম পানমতি হেমব্রম ও রাঙমণি হেমব্রম । এরপরই পানমতির স্বামী হপনা হেমব্রমকে আটক করে পুলিশ । পুলিশের জেরায় স্ত্রী ও মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় সে । আজ তাকে আসানসোল আদালতে তোলা হয় ।

daughter
হপনা হেমব্রম

গতকাল সকালে সালানপুরের রামপুর গ্রামে ফাঁকা মাঠে রাঙমণির অর্ধনগ্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা । ঘটনার কথা তাঁরা রাঙামণির মা পানমতিকে জানাতে যান । সেখানে গিয়ে তাঁরা পানমতিরও ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পান । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে সালানপুর থানার পুলিশ । ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ পানবতির স্বামী হপনার নাম জানতে পারে ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : মাঠের ধারে যুবতির ক্ষতবিক্ষত দেহ, বাড়ির উঠোনে পড়ে মা

পুলিশ সূত্রে খবর , বহুদিন সম্পর্ক ছিল না পানমতি ও হপনার । মহুলডাঙায় একটি মুড়ি ফ্যাক্টরিতে কাজ করত হপনা । কিন্তু, সম্প্রতি ফের পানমতির বাড়িতে আসা-যাওয়া শুরু করে সে । তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হপনাকে আটক করে পুলিশ । জেরায় হপনা জানায়, স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিন অশান্তির হত তার । তাই সে আলাদা থাকত । মাঝেমধ্যে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তারা হপনার সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করত । এমন কী তারা হপনাকে মারধরও করত বলেও অভিযোগ । গতকাল সকালে পানমতির বাড়ি গেছিল হপনা । ফের গতকাল তাদের সঙ্গে অশান্তি শুরু হয় হপনার । এরপরই কুড়ুল দিয়ে প্রথমে স্ত্রীকে কোপায় সে । মেয়ে পালাতে গেলে দূরে গিয়ে তার সঙ্গেও ধস্তাধস্তি শুরু হয় হপনার । এরপর তাকেও কুপিয়ে খুন করে সে । এরপর বাড়িতে কলসিতে হাত ধুয়ে পালায় হপনা । শুধু তাই নয়, নিজের রক্তমাখা কাপড় জামা দ্রুত ধুয়ে ঝাড়খণ্ডে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও করেছিল সে ।

ভিডিয়োয় শুনুন হপনার বক্তব্য

আজ আসানসোল আদালতে তোলার সময় হপনা বলে, " তেমন কোন কারণ ছিল না । আমাদের ঝগড়া হয়েছিল । তাই স্ত্রী ও বিটিকে কুড়ুল দিয়ে খুন করেছি । এখন আর ভালো লাগছে না।"

সালানপুর, 21 জুন : মেয়ে ও স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে "ভালো লাগছে না" । বলল অভিযুক্ত । গতকাল সালানপুরের উত্তরামপুর জিতপুর পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রাম থেকে এক মহিলা ও তাঁর মেয়ের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয় । তাঁদের নাম পানমতি হেমব্রম ও রাঙমণি হেমব্রম । এরপরই পানমতির স্বামী হপনা হেমব্রমকে আটক করে পুলিশ । পুলিশের জেরায় স্ত্রী ও মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় সে । আজ তাকে আসানসোল আদালতে তোলা হয় ।

daughter
হপনা হেমব্রম

গতকাল সকালে সালানপুরের রামপুর গ্রামে ফাঁকা মাঠে রাঙমণির অর্ধনগ্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা । ঘটনার কথা তাঁরা রাঙামণির মা পানমতিকে জানাতে যান । সেখানে গিয়ে তাঁরা পানমতিরও ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পান । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে সালানপুর থানার পুলিশ । ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ পানবতির স্বামী হপনার নাম জানতে পারে ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : মাঠের ধারে যুবতির ক্ষতবিক্ষত দেহ, বাড়ির উঠোনে পড়ে মা

পুলিশ সূত্রে খবর , বহুদিন সম্পর্ক ছিল না পানমতি ও হপনার । মহুলডাঙায় একটি মুড়ি ফ্যাক্টরিতে কাজ করত হপনা । কিন্তু, সম্প্রতি ফের পানমতির বাড়িতে আসা-যাওয়া শুরু করে সে । তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হপনাকে আটক করে পুলিশ । জেরায় হপনা জানায়, স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিন অশান্তির হত তার । তাই সে আলাদা থাকত । মাঝেমধ্যে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তারা হপনার সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করত । এমন কী তারা হপনাকে মারধরও করত বলেও অভিযোগ । গতকাল সকালে পানমতির বাড়ি গেছিল হপনা । ফের গতকাল তাদের সঙ্গে অশান্তি শুরু হয় হপনার । এরপরই কুড়ুল দিয়ে প্রথমে স্ত্রীকে কোপায় সে । মেয়ে পালাতে গেলে দূরে গিয়ে তার সঙ্গেও ধস্তাধস্তি শুরু হয় হপনার । এরপর তাকেও কুপিয়ে খুন করে সে । এরপর বাড়িতে কলসিতে হাত ধুয়ে পালায় হপনা । শুধু তাই নয়, নিজের রক্তমাখা কাপড় জামা দ্রুত ধুয়ে ঝাড়খণ্ডে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও করেছিল সে ।

ভিডিয়োয় শুনুন হপনার বক্তব্য

আজ আসানসোল আদালতে তোলার সময় হপনা বলে, " তেমন কোন কারণ ছিল না । আমাদের ঝগড়া হয়েছিল । তাই স্ত্রী ও বিটিকে কুড়ুল দিয়ে খুন করেছি । এখন আর ভালো লাগছে না।"

Intro:পুলিশি জেরায় নিজের স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করার কথা স্বীকার করল হপনা সোরেন। গতকাল সালানপুর থানার উত্তরামপুর জিতপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রামপুর গ্রামে পানবতী হেমব্রম ও তার মেয়ে রাঙমনি হেমব্রমের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছিল বাড়ির উঠোনে ও পাশের মাঠে। ঘটনার পরেই পানবতীর স্বামী হপনা হেমব্রমকে আটক করে সালানপুর থানার পুলিশ। পুলিশি জেরায় হপনা স্বীকার করে নিজের স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করার কথা।Body:গতকাল সকালে সালানপুরের রামপুর গ্রামে ফাঁকা মাঠে দেখা যায় যুবতী রাঙমনির অর্ধনগ্ন দেহ পড়ে আছে। প্রতিবেশীরা উত্সুক হয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে আছে রাঙমনির মা পানমতীরও দেহ। পুলিশ আসে, মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করতে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এরপরেই তদন্তে নামে সালানপুর থানার পুলিশ।সালানপুর থানার রুপনারায়নপুর ফাঁড়ির IC সিকেন্দার আলম তদন্ত চালাতে গিয়ে দেখেন বাড়ির মধ্যে কলসীতে রক্তের দাগ। তিনি নিশ্চিত হন, খুনী হাত ধুয়েছিল কলসীতে। এরপর খোঁজ নিয়ে জানেন পানবতীর স্বামী হপনা সোরেন মহুলডাঙা এলাকায় থাকে। বহুদিন পানবতীর সাথে সম্পর্ক নেই। সম্প্রতি পানমতীর বাড়ি আসা-যাওয়া শুরু করেছিল হপনা। এরপরেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হপনাকে আটক করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় গতরাতে হপনা স্বীকার করে নিজের স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করার ঘটনা। শুধু তাই নয় নিজের রক্তমাখা কাপড় জামা দ্রুত ধুয়ে সে ঝাড়খন্ডে পালিয়ে যাওয়ার মতলব এঁটেছিল। পুলিশ দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে আটক না করলে গা ঢাকা দিত হপনা।
বহুবছর হল হপনা সোরেন স্ত্রী ও মেয়েকে ছেড়ে মহুলডাঙায় একাই থাকত। একটি মুড়ি ফ্যাক্টরিতে কাজ করত সে। মহুলডাঙা থেকে দেড় কিলোমিটার দুরে রামপুর গ্রামের প্রান্তে থাকত পানমতী ও রাঙমনি। পানমতির বাড়িটা কার্যত নির্জন স্থানেই ছিল। গ্রামের লোকেরা জানিয়েছে ইদানিং হপনা ফের আসা যাওয়া শুরু করেছিল পানমতীর কাছে।
পুলিশের কাছে হপনা জানায়, অশান্তির কারণেই আলাদা থাকছিল সে। কিন্তু মাঝেমধ্যে গেলে স্ত্রী ও মেয়ে ঝগড়াঝাটি করত। এমনকি হপনাকে মারধরও করত। গতকাল সকালে গিয়েছিল হপনা। অশান্তি বাঁধলে মাথার ঠিক রাখতে পারেনি। কুড়ুল দিয়ে প্রথমে স্ত্রীকে কোপায়। এরপর মেয়ে পালাতে গেলে দূরে গিয়ে তারসাথে ধস্তাধস্তি করে তাকেও কোপায়। এরপর বাড়িতে কলসীতে হাত ধুয়ে পালায় হপনা।
আজ আসানসোল কোর্টে তোলার সময় হপনা জানায়, “তেমন কোন কারণ ছিল না। ঝগড়া হয়েছিল। তাই স্ত্রী ও মেয়েকে মেরেছি কুড়ুল দিয়ে। এখন আর ভালো লাগছে না।”
Conclusion:
Last Updated : Jun 21, 2019, 8:00 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.