ETV Bharat / briefs

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু, গুজবের জেরে ভাঙচুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে - health

মালদায় আজ এক অনুষ্ঠান বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ করার সময় এক ব্যক্তি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন । তাঁর নাম নারায়ণচন্দ্র পাল (35) । এরপর তাঁকে মৌলপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । পরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুর করা হয়।

ভাঙচুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে
author img

By

Published : May 1, 2019, 11:33 PM IST

Updated : May 1, 2019, 11:48 PM IST

মালদা, 1 মে : গুজবের জেরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুর করা হল । মালদা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুরের ঘটনা । মালদা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ।

মালদায় আজ এক অনুষ্ঠান বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ করার সময় এক ব্যক্তি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন । তাঁর নাম নারায়ণচন্দ্র পাল (35) । এরপর তাঁকে মৌলপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । এরপর পরিবারের লোকজন নারায়ণবাবুর মৃতদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান ৷ বাড়িতে ফেরানোর পর মৃতকে বাঁচাতে শুরু হয় বিভিন্ন কুসংস্কার । পরিবারের সদস্যরা নারায়ণবাবুর মৃতদেহ মাসাজ করতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি, মাসাজ করার সময় নারায়ণবাবুর শরীর নড়ে ওঠে ৷ এবার বাড়ির লোকজন তাঁকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ তবে সেখানেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷

এরপর স্থানীয় বাসিন্দা ও নারায়ণবাবুর পরিবারের সদস্যরা মৌলপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চড়াও হয় ৷ তাঁদের অভিযোগ, দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণবাবুকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁর যথাযথ চিকিৎসা হয়নি ৷ উত্তেজিত জনতা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুর করে ৷ মালদা থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

পুরাতন মালদা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌভিক দাস বলেন, "নারায়ণচন্দ্র পালকে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয় ৷ ECG সহ অন্যান্য পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ কিছুক্ষণ পর তাঁর বাড়ির লোকজন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে ভাঙচুর শুরু করে ৷ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আলমারি ও কিছু ওষুধপত্র নষ্ট করা হয়েছে ৷ পরিবারের অভিযোগ, নারায়ণবাবু জীবিত থাকলেও তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ কিন্তু এই অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই ৷ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট রোগীর ক্ষেত্রে মৃত্যুর পরেও পেট কেঁপে ওঠা, হাত-পা নড়া এই ধরণের লক্ষণ দেখা যায় ৷ দু'জন চিকিৎসক সমস্তরকম পরীক্ষা করেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছেন ৷"

মালদা, 1 মে : গুজবের জেরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুর করা হল । মালদা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুরের ঘটনা । মালদা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ।

মালদায় আজ এক অনুষ্ঠান বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ করার সময় এক ব্যক্তি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন । তাঁর নাম নারায়ণচন্দ্র পাল (35) । এরপর তাঁকে মৌলপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । এরপর পরিবারের লোকজন নারায়ণবাবুর মৃতদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান ৷ বাড়িতে ফেরানোর পর মৃতকে বাঁচাতে শুরু হয় বিভিন্ন কুসংস্কার । পরিবারের সদস্যরা নারায়ণবাবুর মৃতদেহ মাসাজ করতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি, মাসাজ করার সময় নারায়ণবাবুর শরীর নড়ে ওঠে ৷ এবার বাড়ির লোকজন তাঁকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ তবে সেখানেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷

এরপর স্থানীয় বাসিন্দা ও নারায়ণবাবুর পরিবারের সদস্যরা মৌলপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চড়াও হয় ৷ তাঁদের অভিযোগ, দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণবাবুকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁর যথাযথ চিকিৎসা হয়নি ৷ উত্তেজিত জনতা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুর করে ৷ মালদা থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

পুরাতন মালদা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌভিক দাস বলেন, "নারায়ণচন্দ্র পালকে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয় ৷ ECG সহ অন্যান্য পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ কিছুক্ষণ পর তাঁর বাড়ির লোকজন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে ভাঙচুর শুরু করে ৷ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আলমারি ও কিছু ওষুধপত্র নষ্ট করা হয়েছে ৷ পরিবারের অভিযোগ, নারায়ণবাবু জীবিত থাকলেও তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ কিন্তু এই অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই ৷ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট রোগীর ক্ষেত্রে মৃত্যুর পরেও পেট কেঁপে ওঠা, হাত-পা নড়া এই ধরণের লক্ষণ দেখা যায় ৷ দু'জন চিকিৎসক সমস্তরকম পরীক্ষা করেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছেন ৷"

Intro:মালদা, ১ মেঃ শুধুমাত্র গুজবের জেরে ভাঙচুর হল সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র৷ আজ রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদার মৌলপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছুটে আসতে হয় মালদা থানার পুলিশকে৷ পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷Body:ঘটনার সূত্রপাত স্বাস্থ্যকেন্দ্র লাগোয়া পুরাতন মালদা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুরে৷ ওই পাড়ার বাসিন্দা নারায়ণচন্দ্র পাল (৩৫)৷ আগামীকাল নারায়ণবাবুর ছেলের অন্নপ্রাশন আছে৷ সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছেন তাঁর অনেক আত্মীয়স্বজন৷ অন্নপ্রাশন উপলক্ষ্যে তৈরি হয়েছে প্যান্ডেলও৷ আজ সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ সেই প্যান্ডেলে একটি স্ট্যান্ড ফ্যানের বিদ্যুৎ সংযোগ করছিলেন তিনি৷ সেই সময় তিনি তড়িদাহত হন৷ তিনি মাটিতে পড়ে গেলে বাড়ির লোকজন ছুটে আসে৷ ততক্ষণে নিস্তেজ হয়ে পড়েছিলেন তিনি৷ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা৷ তবুও বাড়ির লোকজন তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যান পাশেই থাকা মৌলপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে৷ দুজন চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ এরপর পরিবারের লোকজন নারায়ণবাবুর মৃতদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান৷
এরপরেই শুরু হয় কুসংস্কারের খেলা৷ নারায়ণবাবুর মৃতদেহে ম্যাসেজ করতে শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা৷ তখনই নাকি হঠাৎ তাঁর দেহ নড়ে ওঠে৷ এবার বাড়ির লোকজন তাঁকে সোজা নিয়ে যান মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে৷ তবে সেখানকার চিকিৎসকরাও নারায়ণবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷
এদিকে, নারায়ণবাবুর মৃতদেহ নড়ে ওঠার গুজব মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়৷ ক্ষিপ্ত জনতা চড়াও হয় মৌলপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে৷ তাদের অভিযোগ, দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণবাবুকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁর যথাযথ চিকিৎসা হয়নি৷ উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর করে স্বাস্থ্যকেন্দ্র৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মালদা থানার পুলিশ৷ পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷
Conclusion:ঘটনা প্রসঙ্গে পুরাতন মালদা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌভিক দাস বলেন, "আজ সন্ধে ৭টা ৪০ নাগাদ নারায়ণচন্দ্র পাল তড়িদাহত হন৷ তাঁকে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়৷ নারায়ণবাবুকে দুজন চিকিৎসক ইসিজি সহ অন্যান্য পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ নারায়ণবাবুর মৃত্যু হয়েছে জানানো হলে পরিবারের লোকজন তাঁর দেহ বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায়৷ খানিক পরে নারায়ণবাবুর মৃতদেহ নিয়ে পরিবারের লোকজন মালদা মেডিকেল কলেজে যান৷ এরপরেই ওই রোগীর বাড়ির লোকজন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে ভাঙচুর শুরু করে৷ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আলমারি ও কিছু ওষুধপত্র নষ্ট করা হয়েছে৷ তবে কোনও চিকিৎসক কিংবা নার্সদের অত্যাচারিত হওয়ার কোনও খবর পাইনি৷ ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে৷ পরিবারের লোকজন অভিযোগ তুলেছে, জীবিত অবস্থায় নারায়ণবাবুকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে৷ এই অভিযোগে কোনও সত্যতা নেই৷ তড়িদাহত রোগীর ক্ষেত্রে মৃত্যুর পরেও পেট কেঁপে ওঠা, হাত-পা নড়া এই ধরণের লক্ষণ দেখা যায়৷ দুজন চিকিৎসক সমস্তরকম পরীক্ষা করেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছেন৷"
Last Updated : May 1, 2019, 11:48 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.