মালদা, 1 মে : গুজবের জেরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুর করা হল । মালদা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুরের ঘটনা । মালদা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ।
মালদায় আজ এক অনুষ্ঠান বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ করার সময় এক ব্যক্তি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন । তাঁর নাম নারায়ণচন্দ্র পাল (35) । এরপর তাঁকে মৌলপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । এরপর পরিবারের লোকজন নারায়ণবাবুর মৃতদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান ৷ বাড়িতে ফেরানোর পর মৃতকে বাঁচাতে শুরু হয় বিভিন্ন কুসংস্কার । পরিবারের সদস্যরা নারায়ণবাবুর মৃতদেহ মাসাজ করতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি, মাসাজ করার সময় নারায়ণবাবুর শরীর নড়ে ওঠে ৷ এবার বাড়ির লোকজন তাঁকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ তবে সেখানেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷
এরপর স্থানীয় বাসিন্দা ও নারায়ণবাবুর পরিবারের সদস্যরা মৌলপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চড়াও হয় ৷ তাঁদের অভিযোগ, দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণবাবুকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁর যথাযথ চিকিৎসা হয়নি ৷ উত্তেজিত জনতা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুর করে ৷ মালদা থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷
পুরাতন মালদা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌভিক দাস বলেন, "নারায়ণচন্দ্র পালকে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয় ৷ ECG সহ অন্যান্য পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ কিছুক্ষণ পর তাঁর বাড়ির লোকজন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে ভাঙচুর শুরু করে ৷ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আলমারি ও কিছু ওষুধপত্র নষ্ট করা হয়েছে ৷ পরিবারের অভিযোগ, নারায়ণবাবু জীবিত থাকলেও তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ কিন্তু এই অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই ৷ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট রোগীর ক্ষেত্রে মৃত্যুর পরেও পেট কেঁপে ওঠা, হাত-পা নড়া এই ধরণের লক্ষণ দেখা যায় ৷ দু'জন চিকিৎসক সমস্তরকম পরীক্ষা করেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছেন ৷"