ETV Bharat / briefs

গঙ্গার তীব্র ভাঙন শুরু মানিকচকে, বিপন্ন তিন নদীবাঁধ - গঙ্গার তীব্র ভাঙন শুরু মানিকচকে

গঙ্গার ভাঙনের কবলে মানিকচক ৷ তিনটি নদীবাঁধ বিপন্ন ।

Ganga River Bank Erosion at malda
মালদার মানিকচকের কেশপুর গ্রামে গঙ্গায় ভাঙন
author img

By

Published : Sep 12, 2020, 9:59 AM IST

মালদা, 12 সেপ্টেম্বর : গঙ্গার ভাঙনের কবলে পড়ল মানিকচক ব্লকের কেশরপুর গ্রাম ৷ এর আগে কালিয়াচক-2 ব্লকের জোত কস্তুরি এবং কালিয়াচক-3 ব্লকের চিনাবাজার ও গঙ্গারামটোলা গ্রাম গঙ্গা ভাঙনের কবলে পড়ে ।

গতকাল বিকেল থেকে কেশরপুরে গঙ্গার তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে ৷ বিপন্ন হয়ে পড়েছে তিন নদীর বাঁধ ৷ পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা সেচদপ্তরের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ৷ তবে ভাঙন নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা পরিষদের সভাধিপতি ৷

2016 সালের পর এ’বারের বর্ষায় বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে গঙ্গা ৷ কয়েকদিন আগেই কালিয়াচক 3 ব্লকে বেশ কয়েকটি বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে ৷ সাধারণত জলস্তর বাড়া ও কমার সময়ই সবচেয়ে বেশি ভাঙন হয় ৷ এই মুহূর্তে জলস্তর কমতে শুরু করেছে নদীর ৷ গত সন্ধ্যায় 6 টায় জলস্তর ছিল 24.34 মিটার ৷ বিপদসীমা থেকে 35 সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে বইছে গঙ্গা ৷

তবে এখন জেলা জুড়ে বইছে পূবালি হাওয়া ৷ এই দুইয়ের সংযোগে ভাঙন আরও তীব্র আকার নিয়েছে ৷ গত বিকেল থেকে মানিকচকের ভূতনি চরের হীরানন্দপুর ও উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সংযোগস্থল কেশরপুরে গঙ্গার ভাঙন শুরু হয় ৷

এলাকাবাসীর দাবি, বিকেল থেকে সন্ধের মধ্যে 50 থেকে 60 মিটার এলাকা নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে ৷ তবে ওই এলাকায় বসতি না থাকায় কোনও বাড়ির ক্ষতি হয়নি ৷ এই খবর লেখা পর্যন্ত ভাঙন জারি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা ৷

কেশরপুর গ্রামের কাছে গঙ্গা থেকে বেরিয়েছে কোশি নদী ৷ কয়েক কিলোমিটার গিয়ে এই নদী ফুলহরের সঙ্গে মিশেছে ৷ এই জায়গায় তৈরি নদীবাঁধ গঙ্গা, কোশি ও ফুলহরের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে এলাকার রক্ষাকবচ ৷ আজ গঙ্গার ভাঙনে এই মুহূর্তে নদীবাঁধ থেকে মাত্র 10মিটার দূরে রয়েছে নদী ৷

কোনওভাবে এই বাঁধ ভেঙে গেলে গোটা ভূতনি চর বিপন্ন হয়ে পড়বে ৷ বিপন্ন হবে 3লাখেরও বেশি মানুষ ৷ জেলা সেচদপ্তরের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণবকুমার সামন্ত জানিয়েছেন, কেশরপুরে গঙ্গার ভাঙন শুরু হয়েছে ৷ প্রায় 30 মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন হচ্ছে ৷ বর্তমানে নদীবাঁধ থেকে গঙ্গার দূরত্ব দাঁড়িয়েছে মাত্র 15মিটারে ৷ আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি ৷ এই মুহূর্তে নদীর জল কমছে ৷ সম্ভবত সেকারণেই ভাঙনের তীব্রতা এতটা বেশি ৷

তবে এদিনের ভাঙন নিয়ে উদ্বিগ্ন ওই এলাকার বাসিন্দা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল ৷ তিনি বলেন, “ভাঙনের খবর পেয়েছি ৷ বিষয়টি নিয়ে সেচদপ্তরের সঙ্গে কথা হয়েছে ৷ আগামীকাল আমি পরিস্থিতি দেখতে যাব ৷ ভূতনি চরকে বাঁচানোর যা করতে হয়, তা করা হবে ৷”

মালদা, 12 সেপ্টেম্বর : গঙ্গার ভাঙনের কবলে পড়ল মানিকচক ব্লকের কেশরপুর গ্রাম ৷ এর আগে কালিয়াচক-2 ব্লকের জোত কস্তুরি এবং কালিয়াচক-3 ব্লকের চিনাবাজার ও গঙ্গারামটোলা গ্রাম গঙ্গা ভাঙনের কবলে পড়ে ।

গতকাল বিকেল থেকে কেশরপুরে গঙ্গার তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে ৷ বিপন্ন হয়ে পড়েছে তিন নদীর বাঁধ ৷ পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা সেচদপ্তরের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ৷ তবে ভাঙন নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা পরিষদের সভাধিপতি ৷

2016 সালের পর এ’বারের বর্ষায় বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে গঙ্গা ৷ কয়েকদিন আগেই কালিয়াচক 3 ব্লকে বেশ কয়েকটি বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে ৷ সাধারণত জলস্তর বাড়া ও কমার সময়ই সবচেয়ে বেশি ভাঙন হয় ৷ এই মুহূর্তে জলস্তর কমতে শুরু করেছে নদীর ৷ গত সন্ধ্যায় 6 টায় জলস্তর ছিল 24.34 মিটার ৷ বিপদসীমা থেকে 35 সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে বইছে গঙ্গা ৷

তবে এখন জেলা জুড়ে বইছে পূবালি হাওয়া ৷ এই দুইয়ের সংযোগে ভাঙন আরও তীব্র আকার নিয়েছে ৷ গত বিকেল থেকে মানিকচকের ভূতনি চরের হীরানন্দপুর ও উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সংযোগস্থল কেশরপুরে গঙ্গার ভাঙন শুরু হয় ৷

এলাকাবাসীর দাবি, বিকেল থেকে সন্ধের মধ্যে 50 থেকে 60 মিটার এলাকা নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে ৷ তবে ওই এলাকায় বসতি না থাকায় কোনও বাড়ির ক্ষতি হয়নি ৷ এই খবর লেখা পর্যন্ত ভাঙন জারি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা ৷

কেশরপুর গ্রামের কাছে গঙ্গা থেকে বেরিয়েছে কোশি নদী ৷ কয়েক কিলোমিটার গিয়ে এই নদী ফুলহরের সঙ্গে মিশেছে ৷ এই জায়গায় তৈরি নদীবাঁধ গঙ্গা, কোশি ও ফুলহরের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে এলাকার রক্ষাকবচ ৷ আজ গঙ্গার ভাঙনে এই মুহূর্তে নদীবাঁধ থেকে মাত্র 10মিটার দূরে রয়েছে নদী ৷

কোনওভাবে এই বাঁধ ভেঙে গেলে গোটা ভূতনি চর বিপন্ন হয়ে পড়বে ৷ বিপন্ন হবে 3লাখেরও বেশি মানুষ ৷ জেলা সেচদপ্তরের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণবকুমার সামন্ত জানিয়েছেন, কেশরপুরে গঙ্গার ভাঙন শুরু হয়েছে ৷ প্রায় 30 মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন হচ্ছে ৷ বর্তমানে নদীবাঁধ থেকে গঙ্গার দূরত্ব দাঁড়িয়েছে মাত্র 15মিটারে ৷ আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি ৷ এই মুহূর্তে নদীর জল কমছে ৷ সম্ভবত সেকারণেই ভাঙনের তীব্রতা এতটা বেশি ৷

তবে এদিনের ভাঙন নিয়ে উদ্বিগ্ন ওই এলাকার বাসিন্দা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল ৷ তিনি বলেন, “ভাঙনের খবর পেয়েছি ৷ বিষয়টি নিয়ে সেচদপ্তরের সঙ্গে কথা হয়েছে ৷ আগামীকাল আমি পরিস্থিতি দেখতে যাব ৷ ভূতনি চরকে বাঁচানোর যা করতে হয়, তা করা হবে ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.