রামপুরহাট, 22 অগাস্ট : পেটে যন্ত্রণা ৷ পরিবারের সদস্যরা ভরতি করেছিল হাসপাতালে ৷ কিন্তু অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে নাবালকের ৷ বীরভূমের রামপুরহাট সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনা ৷
মৃত নাবালকের নাম দেব মাল (10) ৷ বাড়ি বীরভূমের নলহাটি থানার গোঁসাইপুর গ্রামে ৷ গতরাতে হঠাৎই পেটে যন্ত্রণা শুরু হয় দেবের ৷ প্রথমে দেবের বাবা নাগর মাল পেট ব্যথা কমার ওষুধ দেন ৷ কিন্তু সেই ওষুধে ব্যথা কমেনি ৷ পরে ব্যথার সঙ্গে শুরু হয় শ্বাসকষ্টও ৷ তখনই পরিবার আশঙ্কা করে যে হয়ত তাকে সাপে কামড়েছে ৷ কিন্তু ছোট বাচ্চা তাই হয়ত বুঝতে পারেনি ৷ সেই সময় স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে ৷ তবে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তিনি জানিয়ে দেন সাপে কামড়ায়নি দেবকে ৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ৷
এরপর দেবের বাবা তাকে লোহাপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় ৷ কিন্তু সেখানে চিকিৎসক তাকে দেখে সাপে কামড়েছে বলে জানান ৷ পরিবারের অভিযোগ, বার বার চিকিৎসকে বলা হয় যে পেটে ব্যথা হচ্ছিল ৷ সাপে কাটেনি ৷ কিন্তু সে কথায় কান দেননি চিকিৎসক ৷ সাপে কামড়ানোর প্রতিষেধক হিসেবে যে ইনজেকশন দেওয়া হয় সেটাই দেন দেবকে ৷ প্রায় 10 টার মত ইনজেকশন দেওয়া হয় ৷ এবং রামপুরহাট সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয় ৷
আজ ভোর রাতে তাকে নিয়ে আসা হয় রামপুরহাট হাসপাতালে ৷ অভিযোগ, সেখানে লোহাপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে দেওয়া কাগজপত্র না দেখেই চিকিৎসা শুরু করে দেন চিকিৎসকরা ৷ পরিবারের সদস্যদের কথা না শুনে, কোনও পরীক্ষা না করেই সাপে কেটেছে বলেই দাবি করেন চিকিৎসকরা ৷ সেখানেও বেশ কতকগুলি ইনজেকশন দেওয়া হয় ৷ এরপরই মারা যায় দেব ৷
রামপুরহাট সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপারের কাছে চিকিৎসায় গাফিলতির লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন নাগর মাল ৷ ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা হয় ৷ কিন্তু কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি ৷