ETV Bharat / briefs

লকডাউনের জের, কলকাতা পৌরনিগমের কোষাগার ফাঁকা - Kolkata Municipal Corporation

গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষে কর আদায়ে কলকাতা পৌরনিগমের ঘাটতি প্রায় 250 কোটি টাকা । কীভাবে এই বিপুল অঙ্কের ঘাটতি পূরণ হবে তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন প্রশাসক মন্ডলের সদস্যরা।

Image
the treasurer of the kolkata Municipal Corporation
author img

By

Published : Jun 26, 2020, 1:23 AM IST


কলকাতা, 25 জুন : কোরোনা ভাইরাসসংক্রমণের জেরে অর্থ সংকটে কলকাতা পৌরনিগম। কোরোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শহরজুড়েদীর্ঘদিন লকডাউন। তাতেই তৈরি হয়েছে অর্থসংকট। দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি কর আদায়বন্ধ থাকায় কলকাতা পৌরনিগমের কোষাগার প্রায় ফাঁকা । তাই কোষাগারের হাল ফেরাতে আয়বৃদ্ধি করতে চায় কলকাতা পৌরনিগম । আগেই সম্পত্তি কর জমা দেওয়ার তারিখ বৃদ্ধি করে31 শে মার্চ পর্যন্ত করা হয়। পরে সেই সময়সীমাআরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। দুই আড়াই মাস ধরে চলতে থাকা লকডাউন বন্ধ হয়ে যায় রাজস্বআদায়।


গত বছর এপ্রিল, মে, ও জুন মাস (2019 -20) অর্থবর্ষে পৌরনিগমের কর আদায়ের অর্থের পরিমাণছিল 300 কোটি টাকা। এ বছর সেখানে মাত্র 50 কোটি টাকার কর আদায় হয়েছে । ঘাটতি অর্থেরপরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় 250কোটি টাকা । 2019-20 সালে 900 কোটি টাকার সম্পত্তি কর আদায় করেছিলকলকাতা পৌরনিগম । 2018 -19 সালে সম্পত্তিকর থেকে পৌরনিগমের আয় হয়েছিল 695 কোটি । এইবছরের প্রথম তিন মাসে এখনও পর্যন্ত মাত্র 50 কোটি টাকা আদায় হয়েছে ।


ইতিমধ্যে কলকাতাপৌরনিগম যাদের দীর্ঘদিনের কর বকেয়া রয়েছে তাদের একটি তালিকা তৈরি করেছে। কিন্তুএকদিকে কোরোনা পরিস্থিতি তার সঙ্গেই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির পরিমাণ সামলাতে হিমশিমখাচ্ছে পৌরপ্রশাসন। তাই অনাদায়ী কর আদায় করতে নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পৌরনিগম।শহরে গড়ে ওঠা আবাসন গুলিতে গিয়ে ক্যাম্প করে অনাদায়ী কর সংগ্রহ করার চেষ্টা করাহচ্ছিল, লকডাউন এর জন্য সেটাও বন্ধ হয়ে যায়। গতবছরের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষে ঘাটতি প্রায় 250 কোটি টাকা । কীভাবে এই বিপুল অঙ্কের ঘাটতি পূরণহবে তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন প্রশাসক মন্ডলী।

বর্তমানে 8 লাখ 40 হাজারের কাছাকাছি সম্পত্তি করদাতা রয়েছেন কলকাতাশহরের। প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ জানিয়েছেন বড় অঙ্কের বকেয়া কর সম্পত্তিরমালিকের সংখ্যা বেশি। তিনি জানিয়েছেন লকডাউন চলতে থাকার ফলে ট্রেজারি বাপৌরনিগমের অন্যান্য ইউনিটগুলিতে কর জমা বন্ধ ছিল, ফলে সমস্যা তৈরি হয়েছে । লকডাউন এর সময় সাধারণমানুষের রোজগার বন্ধ থাকায় আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছে। অনলাইনে কর ব্যবস্থা চালুথাকলেও সাধারণ মানুষের হাতে যথেষ্ট টাকা না থাকায় কর জামা পড়েনি । সরকার কখনইচায় না সাধারণ মানুষকে সমস্যায় মধ্যে ফেলতে। তাই কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হয়নি।

তবে কোষাগারের হলফেরাতে ফের উদ্যোগী কলকাতা পৌরনিগম। একদিকে কর আদায়ের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।ছাড়ের ব্যবস্থাও চালু করা হয়েছে। প্রবীণ নাগরিক বা আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছেনতাদের জন্য ছাড়ের ব্যবস্থা পরিকল্পনা করছে কলকাতা পৌরনিগম।

লকডাউনের জের, কলকাতা পৌরনিগমের কোষাগার ফাঁকা


কলকাতা, 25 জুন : কোরোনা ভাইরাসসংক্রমণের জেরে অর্থ সংকটে কলকাতা পৌরনিগম। কোরোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শহরজুড়েদীর্ঘদিন লকডাউন। তাতেই তৈরি হয়েছে অর্থসংকট। দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি কর আদায়বন্ধ থাকায় কলকাতা পৌরনিগমের কোষাগার প্রায় ফাঁকা । তাই কোষাগারের হাল ফেরাতে আয়বৃদ্ধি করতে চায় কলকাতা পৌরনিগম । আগেই সম্পত্তি কর জমা দেওয়ার তারিখ বৃদ্ধি করে31 শে মার্চ পর্যন্ত করা হয়। পরে সেই সময়সীমাআরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। দুই আড়াই মাস ধরে চলতে থাকা লকডাউন বন্ধ হয়ে যায় রাজস্বআদায়।


গত বছর এপ্রিল, মে, ও জুন মাস (2019 -20) অর্থবর্ষে পৌরনিগমের কর আদায়ের অর্থের পরিমাণছিল 300 কোটি টাকা। এ বছর সেখানে মাত্র 50 কোটি টাকার কর আদায় হয়েছে । ঘাটতি অর্থেরপরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় 250কোটি টাকা । 2019-20 সালে 900 কোটি টাকার সম্পত্তি কর আদায় করেছিলকলকাতা পৌরনিগম । 2018 -19 সালে সম্পত্তিকর থেকে পৌরনিগমের আয় হয়েছিল 695 কোটি । এইবছরের প্রথম তিন মাসে এখনও পর্যন্ত মাত্র 50 কোটি টাকা আদায় হয়েছে ।


ইতিমধ্যে কলকাতাপৌরনিগম যাদের দীর্ঘদিনের কর বকেয়া রয়েছে তাদের একটি তালিকা তৈরি করেছে। কিন্তুএকদিকে কোরোনা পরিস্থিতি তার সঙ্গেই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির পরিমাণ সামলাতে হিমশিমখাচ্ছে পৌরপ্রশাসন। তাই অনাদায়ী কর আদায় করতে নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পৌরনিগম।শহরে গড়ে ওঠা আবাসন গুলিতে গিয়ে ক্যাম্প করে অনাদায়ী কর সংগ্রহ করার চেষ্টা করাহচ্ছিল, লকডাউন এর জন্য সেটাও বন্ধ হয়ে যায়। গতবছরের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষে ঘাটতি প্রায় 250 কোটি টাকা । কীভাবে এই বিপুল অঙ্কের ঘাটতি পূরণহবে তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন প্রশাসক মন্ডলী।

বর্তমানে 8 লাখ 40 হাজারের কাছাকাছি সম্পত্তি করদাতা রয়েছেন কলকাতাশহরের। প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ জানিয়েছেন বড় অঙ্কের বকেয়া কর সম্পত্তিরমালিকের সংখ্যা বেশি। তিনি জানিয়েছেন লকডাউন চলতে থাকার ফলে ট্রেজারি বাপৌরনিগমের অন্যান্য ইউনিটগুলিতে কর জমা বন্ধ ছিল, ফলে সমস্যা তৈরি হয়েছে । লকডাউন এর সময় সাধারণমানুষের রোজগার বন্ধ থাকায় আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছে। অনলাইনে কর ব্যবস্থা চালুথাকলেও সাধারণ মানুষের হাতে যথেষ্ট টাকা না থাকায় কর জামা পড়েনি । সরকার কখনইচায় না সাধারণ মানুষকে সমস্যায় মধ্যে ফেলতে। তাই কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হয়নি।

তবে কোষাগারের হলফেরাতে ফের উদ্যোগী কলকাতা পৌরনিগম। একদিকে কর আদায়ের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।ছাড়ের ব্যবস্থাও চালু করা হয়েছে। প্রবীণ নাগরিক বা আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছেনতাদের জন্য ছাড়ের ব্যবস্থা পরিকল্পনা করছে কলকাতা পৌরনিগম।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.