কোচবিহার, ১১ এপ্রিল : কোচবিহারের তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল সকালেই। দলের কর্মীদের বুথ দখল করার পরামর্শ দিয়েছেন ওই নেতা। পরামর্শ ছিল ছাপ্পা ভোটের। ঘটনার একটি অডিয়ো ক্লিপ চলে আসে বাইরে। সেখানেই তৈরি হয় বিতর্ক। BJP-র তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয় নির্বাচন কমিশনে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার কোচবিহারে জেলা নির্বাচন আধিকারিকের রিপোর্ট তলব করল কমিশন। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে কমিশনের তরফে।
আজ সকালে দলীয় কর্মীদের নিয়ে মিটিং করেন খোকন মিঞা। অডিয়ো বার্তায় শোনা যায়, কর্মীদের সরাসরি ছাপ্পা ভোট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ, এই নির্দেশ দিয়েছেন খোকন মিঞা। নির্দেশে শোনা যাচ্ছে "এই কাজটা কিন্তু 100 শতাংশ করতে হবে। অন্য কোনও দলকে একটাও ভোট দেওয়া যাবে না। যদি কেউ মনে করে কিছু ভোট হাতচিহ্নে দেব, কিছু ভোট BJP-কে দেব, কিছু ভোট তৃণমূলে দেব, এসব করলে কিন্তু ভোটের পর চিহ্নিতকরণ করা হবে। 100 টি বুথের মধ্যে 40 টি বুথে আসবে প্যারা মিলিটারি। প্রত্যেকটা দলের লোক বুঝে গেছে যে প্রত্যেকটা বুথে কেন প্যারা মিলিটারি নেই। আমার হোদলপুরে একটাও প্যারা মিলিটারি থাকবে না। বাকি জায়গায় আমার কন্ট্রোল থাকবে। অফিসার যাঁরা আসবেন, তাঁরা কিন্তু আমাদের কর্মচারী। কোথায় কোথায় কী করতে হবে তা চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিয়েছি। ওই বুথগুলির জন্য আমরা লোকজন তৈরি করে রেখেছি। প্রিজ়াইডিং অফিসার যখন আসবেন, 5-6 জন তাঁকে সেটিং করবে। বুথে ঢুকে ছাপ্পা ভোট দিয়ে দেবেন। ভোট যেভাবেই হোক তৃণমূলে পড়তে হবে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।"
খোকন মিঞাকে এপ্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "এটা একটা ভিত্তিহীন অভিযোগ। BJP হেরে যাবে বলে মিথ্যা কথা বলছে। মানুষ এই মিথ্যা কথাকে মেনে নেবে না।" BJP-র কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা বলেন, "বিষয়টি শুনেছি। কমিশনে আমাদের যেতেই হবে। কোচবিহারে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট হতে পারে না, এটাই তার উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। আমরা প্রতিটি কেন্দ্রেই কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই। তৃণমূল পঞ্চায়েত নির্বাচন এভাবেই করেছে। এই নির্বাচনও ওই দিকেই যাচ্ছে।"
অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু বলেন, "আমরা এই বিষয়ে কোচবিহারের নির্বাচন আধিকারিকের রিপোর্ট তলব করেছি।" রিপোর্ট আসার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।