কলকাতা, 6 জুন : ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে বিনিয়োগকারী সংস্থার চুক্তি বিচ্ছেদ শেষ হয়েও হল না। ফলে ইস্টবেঙ্গলের ISL খেলার সম্ভাবনা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। AFC ক্লাব লাইসেন্সিং নিয়েও জটিলতা অব্যাহত। ক্লাব কর্তারা বলছেন জটিলতা মিটিয়ে ফেলার জন্য আইনি পর্যায়ে কথা চলছে। কিন্তু সমস্যা কোথায়? কেনইবা বিনিয়োগ সংস্থা স্পোর্টিং রাইটস সংক্রান্ত কাগজ ফেরানোর ব্যাপারে গড়িমসি করছে?
ইস্টবেঙ্গলের কার্যকরী কমিটির এক কর্তা বলছেন ফুটবলাদের অনেকের সঙ্গেই একাধিক বছরের চুক্তি করা হয়েছিল । কিন্তু এখন বিনিয়োগ সংস্থার সঙ্গে ক্লাবের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে । এই অবস্থায় একাধিক বছরের চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারদের ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে । কারণ ওইসব ফুটবলখরদের দায়ভার বহন করার বিষয়টি রয়েছে । চুক্তি ছেদ করার অর্থ সেই সব ফুটবলারদের ভবিষ্যতের ওপর প্রশ্ন চিহ্ন পড়ে যাওয়া। তাছাড়া বিনিয়োগ সংস্থা যে পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে চুক্তি করেছিল তা ক্লাবের পক্ষে মানা সম্ভব না হতে পারে। সেই বিষয়ে সমঝোতার পথ খোঁজার জন্য রফাসুত্র বের করা জরুরি।
ইতিমধ্যে ফুটবল দলের একমাসের বেতন না দেওয়ার কথা জানিয়ে বিনিয়োগ সংস্থা জোরপূর্বক চুক্তি ছেদ করেছে। যা নিয়ে ফুটবলাররা অসন্তুষ্ট । তবে সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া ছাড়া অন্যপথ ছিল না । বিনিয়োগকারী সংস্থা ইস্টবেঙ্গলের ক্রিকেট দলের দায়িত্ব নিয়েছিল । কিন্তু লাল-হলুদ ক্রিকেটারদেরও একাধিক মাসের বেতন বাকি। সেই বকেয়া বেতনের দায় কোনপথে মিটবে তার রফাসূত্র বের করার চেষ্টা আলোচনার মধ্যে দিয়ে হচ্ছে।
এছাড়া ক্লাবের অন্যান্য প্রশাসনিক বিষয়ে খরচ করেছে বিনিয়োগ সংস্থা। সেই আর্থিক ব্যয় কীভাবে ফেরানো যাবে তানিয়েও আলোচনা চলছে। এই সমস্যাগুলো মিটিয়ে ফেলার কাজ 31মের আগে শুরু হয়েছিল। কিন্তু লকডাউন শুরু হওয়ায় যাবতীয় কাজ স্তব্ধ হয়ে যায়। এখন আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় বন্ধ হয়ে থাকা কাজ ফের শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে চলতি মাসের শেষে যাবতীয় সমস্যার সমাধান হবে । তারপরেই ক্লাব কর্তারা তাদের নতুন স্পনসরের ব্যাপারে একটা ইঙ্গিত দিতে পারেন।
আপাতত নতুন স্পনসর কিংবা বিনিয়োগ কারী সংস্থার বিষয়ে একাধিক নাম ভাসলেও তার কোনও বাস্তব ছবি মেলেনি। তাই ইস্টবেঙ্গল নতুন মরশুমে ISL খেলবে কিনা তা সময় বলবে। তবে সদ্য প্রাক্তন বিনিয়োগ সংস্থার কাছ থেকে স্পোর্টিং রাইটসের কাগজ ক্লাবের হাতে আসা সময়ের অপেক্ষা বলা যেতে পারে।