ETV Bharat / briefs

খারাপ ছিল CCTV, জানালেন বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যক্ষ

author img

By

Published : May 16, 2019, 11:50 PM IST

বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যক্ষ জানান, ঘটনার দিন CCTV খারাপ ছিল

ভাঙা মূর্তি

কলকাতা, 16 মে : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস ও BJP-র মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে উঠেছে । ঘটনার পর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় কয়েকটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে । সেগুলি হাতিয়ার করে তৃণমূলের দাবি, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে BJP-র লোকজন । অপরদিকে BJP-র পালটা দাবি, ভোটের আগে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে নিজেরা মূর্তি ভেঙে BJP-র ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে তৃণমূল । কলেজের CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে দাবি তুলেছে তারা । যদিও বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম কুণ্ডু জানিয়েছেন, বিদ্যাসাগরের মূর্তির পিছনে যে CCTV ছিল, তা খারাপ থাকায় কোনও ফুটেজ পাওয়া যায়নি ।

আজ ETV ভারতের তরফে বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যক্ষকে ফোনে ধরা হয় । তিনি বলেন, "রুমটিতে একটি CCTV বসানো রয়েছে । কিন্তু, কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য CCTV কয়েকদিনের জন্য বন্ধ ছিল । এই ঘটনাটি যে ঘটবে, তা যদি আগে থেকে জানতাম তাহলে আমরা ঠিক করে নিতাম‌ । " বিষয়টি নিয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের এক ছাত্র বলেন, "তিন-চার মাস আগে ডে ও ইভনিং বিভাগের মধ্যে কিছু একটি বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল । তখনই বোধহয় CCTV ভেঙে দেওয়া হয়েছিল । আমি নিশ্চিত নই। তবে, আমার মনে হয় তখনই ক্যামেরা ভেঙে গেছিল । "

BJP-র তরফে একাধিকবার CCTV ফুটেজের দাবি করা হলেও তা নিয়ে মুখ খোলেনি রাজ্য সরকার । আর কলেজের অধ্যক্ষের এই বক্তব্যের পর ব্যাকফুটে থাকা BJP কিছুটা অক্সিজেন পেল বলে অভিমত সংশ্লিষ্ট মহলের ।

কলকাতা, 16 মে : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস ও BJP-র মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে উঠেছে । ঘটনার পর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় কয়েকটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে । সেগুলি হাতিয়ার করে তৃণমূলের দাবি, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে BJP-র লোকজন । অপরদিকে BJP-র পালটা দাবি, ভোটের আগে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে নিজেরা মূর্তি ভেঙে BJP-র ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে তৃণমূল । কলেজের CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে দাবি তুলেছে তারা । যদিও বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম কুণ্ডু জানিয়েছেন, বিদ্যাসাগরের মূর্তির পিছনে যে CCTV ছিল, তা খারাপ থাকায় কোনও ফুটেজ পাওয়া যায়নি ।

আজ ETV ভারতের তরফে বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যক্ষকে ফোনে ধরা হয় । তিনি বলেন, "রুমটিতে একটি CCTV বসানো রয়েছে । কিন্তু, কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য CCTV কয়েকদিনের জন্য বন্ধ ছিল । এই ঘটনাটি যে ঘটবে, তা যদি আগে থেকে জানতাম তাহলে আমরা ঠিক করে নিতাম‌ । " বিষয়টি নিয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের এক ছাত্র বলেন, "তিন-চার মাস আগে ডে ও ইভনিং বিভাগের মধ্যে কিছু একটি বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল । তখনই বোধহয় CCTV ভেঙে দেওয়া হয়েছিল । আমি নিশ্চিত নই। তবে, আমার মনে হয় তখনই ক্যামেরা ভেঙে গেছিল । "

BJP-র তরফে একাধিকবার CCTV ফুটেজের দাবি করা হলেও তা নিয়ে মুখ খোলেনি রাজ্য সরকার । আর কলেজের অধ্যক্ষের এই বক্তব্যের পর ব্যাকফুটে থাকা BJP কিছুটা অক্সিজেন পেল বলে অভিমত সংশ্লিষ্ট মহলের ।

Intro:কলকাতা, 16 মে: বিদ‍্যাসাগরের মুর্তি ভাঙার ঘটনায় অমিত শাহের মিছিল আয়োজকদের বিরুদ্ধে FIR করেছে বিদ‍্যাসাগর কলেজ কর্তৃপক্ষ। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে CCTV ফুটেজের দাবি জানিয়েছে RSS-এর ছাত্র সংগঠন ABVP। অথচ, বিদ‍্যাসাগরের মুর্তি যে ঘরে ছিল সেই ঘরে একটি CCTV ক‍্যামেরা থাকলেও তা কিছুদিন ধরে কাজ করছিল না বলে দাবি কলেজের অধ‍্যক্ষ গৌতম কুণ্ডুর। পাশাপাশি, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের এক ছাত্র জানান, প্রায় তিন মাস আগে ডে কলেজের সঙ্গে মর্ণিং কলেজের একটি ঝামেলা হয়। ইউনিয়ন রুমে ভাঙচুর হয়। তখনই ওই CCTV ক‍্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়েছিল বলে মনে করছেন ওই ছাত্র।

CCTV ফুটেজের বিষয়ে বিদ‍্যাসাগর কলেজের অধ‍্যক্ষ বলেন, "রুমটাতে একটা CCTV ক‍্যামেরা বসানো আছে। কিন্তু, কিছু টেকনিক্যাল অসুবিধার জন‍্য আমরা CCTV টা কিছুদিনের জন্য বন্ধ ছিল। এখন এই যে ঘটনাটা ঘটবে যদি আগে থেকে জানতাম তাহলে আমরা ঠিক করে নিতাম‌।" নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ‍্যাসাগর কলেজের এক ছাত্র বলেন, "তিন চার মাস আগে ডে এবং ইভনিংয়ের কিছু একটা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। ওখানেই বোধহয় ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। আমি সিওর নই। তবে, আমার মনে হয় ওখানেই ভেঙে দিয়েছিল।"


Body:অন‍্যদিকে, এদিন কলেজের ভিতরে থাকা বিদ‍্যাসাগরের মুর্তি ভাঙার প্রতিবাদ জানাতে পথে নামেন বিদ‍্যাসাগর কলেজের অধ‍্যক্ষ থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী সকলেই। বিদ‍্যাসাগর কলেজের সামনে থেকে কলেজ স্কোয়ার পর্যন্ত মৌন মিছিল করেন তাঁরা। কোনও রাজনৈতিক পতাকা নয়, মিছিলের সামনে একটি সাদা কাপড়ে লেখা ছিল, 'বর্ণপরিচয়ের স্রষ্টার উপর আঘাত এর প্রতিবাদ'। আজ বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকের শুরুতেই নিন্দা ভাষণ পাঠ করেন তিনি। তারপর এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয় সিন্ডিকেট বৈঠকে। নিন্দা জানিয়ে সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, " আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি যে বিদ্যাসাগর কলেজে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা ধিক্কার জানাবার জন্য। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট 14 মে বিদ‍্যাসাগর কলেজ ক‍্যাম্পাসে ইশ্বরচন্দ্র বিদ‍্যাসাগরের মুর্তি ভাঙার ঘটনায় তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। বিদ‍্যাসাগর কলেজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাফিলিয়েটেড কলেজ।"

ধিক্কার জানানোর পরই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট শুরু হয়। তারপরেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সংগঠন CUEA আসে মিছিল করে। সিন্ডিকেট রুমের বাইরে স্লোগান দিতে থাকে তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকটি গেট আটকে রাখা চলবে না। কারণ, ওরা 14 মে দীর্ঘক্ষণ গেট বন্ধ থাকায় তাঁরা আটকা পরে যায় বলে আজ এই দাবি জানান তাঁরা। এ বিষয়ে উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সেদিন গেটটা বন্ধ না করলে কী হতে পারতো আপনারা তো জানেন। এদিকে ঠিক সময়ে বন্ধ না করে দেওয়া যেত তাহলে বিদ্যাসাগর কলেজে যেটা হয়েছে সেটা এখানেই হত। এবং ঢুকেই দেখুন কী? আমার লাইব্রেরি। তার নিচটা কী? আশুতোষ মিউজিয়াম। অত অত স্কাল্পচার। মানে ক্ষতিটা কত পরিমান হত? আজকে অনায্য দাবী করলেই তো হবে না। এটা মাথায় রাখতে হবে যে গেটগুলো কেন তৈরি হয়েছে। তাহলে আমরা তো বাজারের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করলেই সুন্দর ব্যাপার। ক্ষতিটা কী হত। অনেকেই যায়। এই স্টেট ব্যাংক থেকে পথটাকে অনেকেই মনে করে করিডর। ওখান দিয়ে ঢুকে এখান দিয়ে বেরিয়ে গেল। তার বাড়ি হয়তো কলুটোলায়। এটা জাস্ট একটা পথ। সেই হিসেবে চলে গেল। কিন্তু, এটা তো ভাবতে হবে যে, এটা একটা এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন। আমার কোনও একটা স্বার্থে আঘাত লাগছে বলে, কোনও একটা অসুবিধা হচ্ছে বলে। প্রটেকশন সবার আগে প্রায়োরিটি হওয়া উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢুকে মিউজিয়াম, লাইব্রেরি। লাইব্রেরিতে কত কোটি কোটি টাকার দুর্মূল্য জিনিস আছে। সেখানে ওই যেটা যদি কিছু হয় বন্ধ না করা যেত সেখানে একটা ঘটনা ঘটত। বিশ্ববিদ্যালয়ে টোটাল রেনোভেশন হচ্ছে। এখানে একটা আলকাতরা ছড়িয়ে দিয়ে গেলেও লস। বিশ্ববিদ্যালয় একটা শিক্ষার প্রাঙ্গণ। সেখান এই কথাগুলো বলার কোন মানেই হয় না। যখন করেছিল তখন আমি হাজরাতে ছিলাম। কিন্তু, সবাইকে তো অন্যদিকের গেট থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। দরকার মতো খোলা হবে, বন্ধ করা হবে।"

বিদ্যাসাগর কলেজ কর্তৃপক্ষ কী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল? সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ওনারা যে চিঠিটা দিয়েছিলেন সেটা পড়ে শুনিয়েছি। ওনারা একটা প্রতিবাদ পত্র পাঠিয়েছেন উপাচার্যকে। সেটা পড়ে শুনিয়েছি। আমরা সিন্ডিকেটের আজকে সবাইকে বললাম, ওনারা যে সাহায্য চাইবেন আমাদের কাছে, যেহেতু ওনারা অ্যাফিলিয়েটেড টু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, আমরা সেই সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি।"


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.