শিলিগুড়ি, 25 জানুয়ারি : উত্তরবঙ্গে ইন্দো-বাংলাদেশের কাঁটাতারহীন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকারী ও পাচার রুখতে এবার 'অ্যান্টি কাট ও অ্যান্টি ক্লাইম্ব' ফেন্সিং লাগানোর উদ্যোগ নিল বিএসএফ (Indo Bangladesh Fencing Upgrade) । ইতিমধ্যে ওই বিশেষ ফেন্সিং লাগানোর কাজ শুরু করেছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) । মঙ্গলবার দায়িত্ব গ্রহণ করেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি অজয় সিং। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি মুরারিপ্রসাদ সিং এবং ডিআইজি সঞ্জয় পান্তও ।
বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে 936.41 কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রায় 100 কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে কাঁটাতারহীন । ওই কাঁটাতারহীন সীমান্তের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন নদী, খাল । আবার কোথাও রয়েছে চাষের জমি । কাঁটা তার না থাকার সুযোগ নিয়ে ওইসব সীমান্ত দিয়ে বেড়ে চলছে অনুপ্রবেশ ও পাচার । ওই কাঁটাতারহীন 100 কিলোমিটার সীমান্ত দিয়ে যাতে কোনওরকমভাবে পাচার এবং অনুপ্রবেশকারী ভারতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিএসএফ । চলতি আর্থিক বছরে সীমান্তের এই এলাকাগুলিতে 'অ্যান্টি কাট ও অ্যান্টি ক্লাইম্ব' ফেন্সিং লাগানোর জন্য প্রায় 18 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । ওই বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব কাঁটাতারহীন সীমান্তে ওই ধরনের ফেন্সিং লাগানো হবে ।
অত্যাধুনিক ওই ফেন্সিং লাগালে অনুপ্রবেশের পাশাপাশি ওই সীমান্ত দিয়ে পাচার অনেকটাই কমবে বলে জানিয়েছেন বিএসএফের আইজি অজয় সিং। এছাড়াও 2001 সাল থেকে লাগানো পুরানো কাঁটাতার পরিবর্তনের উদ্যোগও নিয়েছে বিএসএফ । এছাড়া জানা গিয়েছে, 2021 সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বিএসএফ ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তে 5 হাজার 694টি গবাদিপশু, 70 হাজার বোতল ফেনসিডিল, প্রায় সাড়ে 400 কেজি গাঁজা, প্রায় 6 হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট, 37 কেজি রুপো এবং প্রায় 10 কোটি টাকার সাপের বিষ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে ।
আইজি অজয় সিং বলেন, "ইন্দো-বাংলাদেশ প্রায় 100 কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতার না থাকায় সেসব জায়গায় বিশেষ নজরদারি চালাতে হত । তবে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার 18 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে যাতে কাঁটাতারহীন সীমান্তে 'অ্যান্টি কাট ও অ্যান্টি ক্লাইম্ব' ফেন্সিং লাগানো যায় । পাশাপাশি পুরানো কাঁটাতার বা ফেন্সিং দ্রুত পরিবর্তনের কাজ চলছে ।"
এছাড়াও তিনি জানান, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেটের মতো অত্যাধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করে সম্প্রতি পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে । সেজন্য তথ্যপ্রযুক্তিগতভাবে বিএসএফকেও আরও উন্নত করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন : 3 বছর আগে খোয়া যাওয়া ফোনও ফেরত, 280টি মোবাইল উদ্ধারে নজির বারাসত পুলিশের