কলকাতা, 10 জুলাই : কলকাতায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা । যার জেরে গতকাল থেকে শহরের কনটেইনমেন্ট জ়োনগুলিতে লাগু হয়েছে লকডাউন । বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব দোকান, বাজার। কন্টেইনমেন্ট এলাকাগুলো থেকে বাসিন্দাদের বাইরে বেরোনো বন্ধ । তাই মুশকিল আসনে এবার এগিয়ে এল রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তর। পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীনে থাকা কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন কলকাতায় চালু করল বেশ কয়েকটি গাড়ি। যেগুলি আসলে চলমান বাজার।
কলকাতায় এই মুহূর্তে কনটেইনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা 25 । সেখানে সম্পূর্ণভাবে লকডাউন করা হয়েছে । তার বাইরেও যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে রীতিমতো আতঙ্কিত শহরবাসী। জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হতে চাইছেন না কেউ। আবার বাজার করতে গিয়ে মানা যাচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। ফলে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে সংক্রমণের। সেই সূত্রে পঞ্চায়েত দপ্তরের এই চলমান বাজারের ভাবনা। এখন থেকে গোটা লকডাউন পর্বে কলকাতার উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিমে সক্রিয় থাকবে এই বাজার ।
পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এই বিপদের মাধ্যমে শহরের প্রবীণ নাগরিকরা হোম ডেলিভারির সুবিধা পাবেন। এই সুবিধা দেওয়ার জন্য সিনিয়র WBCS অফিসার সৌমজিৎ দাসকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁর মোবাইল নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করলে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে বলা হয়েছে, এই বাজার থেকে চাল, ডাল, মাছ, মাংস থেকে সবজি- সবই কিনতে পারবে শহরবাসী। এমনকী অন্য বাজারের থেকেও কমদামে মিলবে সামগ্রী।
এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ETV ভারতকে বলেন, “মানুষের কষ্ট দূর করতেই এই ভাবনা। আমরা কলকাতাবাসীকে কম দামে বাড়ির দরজায় চাল, ডালসহ মুদি দোকানের সব সামগ্রী, সবজি, মাছ, মাংস পৌঁছে দিতে চাই। প্রবীণ নাগরিকদের সংক্রমণ হলে সমস্যা হচ্ছে । কারণ বার্ধক্যজনিত নানা অসুস্থতায় তাঁরা ভোগেন। প্রবীণদের কথা মাথায় রেখে চালু করা হচ্ছে হোম ডেলিভারি। আজ থেকে এই গাড়িগুলো রাস্তায় নামলেও আগামীকাল থেকে শহরের সবক'টি প্রান্তেই পরিষেবা দেবে এই চলমান বাজার।"