কলকাতা, 11 জুন: জুন মাসের শুরু থেকেই প্রায় প্রতিদিন কলকাতার কোনও না কোনও বেসরকারি স্কুলে অভিভাবকরা ফি মকুবের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এবার আর একা নয়। 85টি বেসরকারি স্কুলের অভিভাবকরা একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখালেন। ইউনাইটেড গার্জিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে আজ ধর্মতলা মেট্রো চ্যানেলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তাঁদের দাবি, COVID-19-এর এই সময়ে টিউশন ফি ছাড়া অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় ফি মকুব করতে হবে। এই দাবিতে আজ বিক্ষোভের পাশাপাশি রাজভবনে গিয়ে ডেপুটেশন জমা করেন অভিভাবকরা।
আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে তোলা দাবি নিয়ে ইউনাইটেড গার্জিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, "আমাদের দাবি রাজ্য সরকারের কাছে, এই পর্বে বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল নানাভাবে প্রচুর টাকা ফি নিচ্ছে। অথচ, সারা দেশের মতো আমাদের রাজ্যের অভিভাবকরাও চরম আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছেন। গত কয়েক বছরে বেসরকারি স্কুলগুলো 150 শতাংশের মতো ফি বৃদ্ধি করেছে। আমাদের দাবি, এই বছর এই লকডাউন, কোরোনা পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র আমরা টিউশন ফি দিতে চাই স্কুলগুলোকে। আমরা অনলাইনে শত শত অভিভাবকের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। তাঁর কাছে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার সময় চেয়েছি। কিন্তু, এখনও তিনি সময় করে উঠতে পারেননি। অন্য রাজ্য সরকার তিন মাসের ফি মকুব করে দিয়েছে। অথচ, আমাদের রাজ্য সরকার শুধু প্রাইভেট স্কুলগুলোর কাছে আবেদন করছে যাতে তাঁরা ফি না বাড়ায়। শুধু ফি না বাড়ানো নয়, আমরা শুধুমাত্র টিউশন ফি দিতে চাই। এই দাবিতে আজ বহু বেসরকারি স্কুলের অভিভাবকরা রাস্তায় নেমেছি। যদি মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তো ভালো। না হলে আমরা আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব।"
তবে, বহু বেসরকারি স্কুল টিউশন ফি নামেই সব ধরনের ফি নিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে টিউশন ফি-র ক্ষেত্রে 50 শতাংশ ছাড় দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে ইউনাইটেড গার্জিয়ানস অ্যাসোসিয়েশন। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিয়ালদহের এক নামী বেসরকারি স্কুলের অভিভাবক বলেন, "বিভিন্ন খাতে বহু স্কুল টাকা নেয়। কিন্তু, বহু স্কুল বিভিন্ন খাতে টাকা নেয় না। তাঁরা সিঙ্গল হেডে টাকা নেয়। ফলে আমরা যদি বলি শুধু টিউশন ফি দেব, তাহলে তার মধ্যেই পুরো টাকাটা পড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আমাদের দাবি, আমরা যারা টিউশন ফি হেডেই পুরো টাকাটা দিই তাতে ন্যূনতম 50 শতাংশ ছাড় চাই। আমরা কখনও স্কুলের কাছে কিছু চাইনি। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের নিজেদের খাদ্যাভাব দেখা দিতে শুরু করেছে। আমরা যদি বাড়িতে খাবারটুকু না পাই তাহলে ফি কী করে দেব?"
এই দাবিতে একদিকে অভিভাবকদের যৌথ মঞ্চ বিক্ষোভ ও রাজভবনে ডেপুটেশন জমা দেয়। অন্যদিকে, আজই রুবির কাছে VIP বাজারের একটি বেসরকারি স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভের পর অভিভাবকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আলোচনায় কিছুটা ফি মকুব করা হবে বলে জানানো হয় অভিভাবকদের। ফি মকুবের পর যে সেশন ফি, টিউশন ফি ও ডেভলপমেন্ট ফি বাবদ যে পরিমাণ টাকা হচ্ছে তা ইনস্টলমেন্ট বা একসঙ্গে দেওয়ার অপশন দেওয়া হয়। আর তারপরও যদি কোনও অভিভাবক ফি না দিতে চান তাহলে এই বছরের জন্য পড়ুয়াকে বাড়িতেই রেখে দেওয়ার পরামর্শ দেয় কর্তৃপক্ষ। যদিও, কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব মানেননি অভিভাবকরা। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, ডেভেলপমেন্ট ফি ও বার্ষিক ফি তাঁরা দেবেন না। তাঁরা শুধুমাত্র টিউশন ফি দেবেন।
বেসরকারি স্কুলের ফি মুকুবের দাবিতে ধর্মতলায় বিক্ষোভ অভিভাবকদের - Agitation at dharmotala
85টি বেসরকারি স্কুলের ফি মুকুবের দাবিতে অভিভাবকরা একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখালেন। ইউনাইটেড গার্জিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে আজ ধর্মতলা মেট্রো চ্যানেলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
কলকাতা, 11 জুন: জুন মাসের শুরু থেকেই প্রায় প্রতিদিন কলকাতার কোনও না কোনও বেসরকারি স্কুলে অভিভাবকরা ফি মকুবের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এবার আর একা নয়। 85টি বেসরকারি স্কুলের অভিভাবকরা একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখালেন। ইউনাইটেড গার্জিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে আজ ধর্মতলা মেট্রো চ্যানেলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তাঁদের দাবি, COVID-19-এর এই সময়ে টিউশন ফি ছাড়া অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় ফি মকুব করতে হবে। এই দাবিতে আজ বিক্ষোভের পাশাপাশি রাজভবনে গিয়ে ডেপুটেশন জমা করেন অভিভাবকরা।
আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে তোলা দাবি নিয়ে ইউনাইটেড গার্জিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, "আমাদের দাবি রাজ্য সরকারের কাছে, এই পর্বে বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল নানাভাবে প্রচুর টাকা ফি নিচ্ছে। অথচ, সারা দেশের মতো আমাদের রাজ্যের অভিভাবকরাও চরম আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছেন। গত কয়েক বছরে বেসরকারি স্কুলগুলো 150 শতাংশের মতো ফি বৃদ্ধি করেছে। আমাদের দাবি, এই বছর এই লকডাউন, কোরোনা পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র আমরা টিউশন ফি দিতে চাই স্কুলগুলোকে। আমরা অনলাইনে শত শত অভিভাবকের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। তাঁর কাছে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার সময় চেয়েছি। কিন্তু, এখনও তিনি সময় করে উঠতে পারেননি। অন্য রাজ্য সরকার তিন মাসের ফি মকুব করে দিয়েছে। অথচ, আমাদের রাজ্য সরকার শুধু প্রাইভেট স্কুলগুলোর কাছে আবেদন করছে যাতে তাঁরা ফি না বাড়ায়। শুধু ফি না বাড়ানো নয়, আমরা শুধুমাত্র টিউশন ফি দিতে চাই। এই দাবিতে আজ বহু বেসরকারি স্কুলের অভিভাবকরা রাস্তায় নেমেছি। যদি মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তো ভালো। না হলে আমরা আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব।"
তবে, বহু বেসরকারি স্কুল টিউশন ফি নামেই সব ধরনের ফি নিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে টিউশন ফি-র ক্ষেত্রে 50 শতাংশ ছাড় দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে ইউনাইটেড গার্জিয়ানস অ্যাসোসিয়েশন। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিয়ালদহের এক নামী বেসরকারি স্কুলের অভিভাবক বলেন, "বিভিন্ন খাতে বহু স্কুল টাকা নেয়। কিন্তু, বহু স্কুল বিভিন্ন খাতে টাকা নেয় না। তাঁরা সিঙ্গল হেডে টাকা নেয়। ফলে আমরা যদি বলি শুধু টিউশন ফি দেব, তাহলে তার মধ্যেই পুরো টাকাটা পড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আমাদের দাবি, আমরা যারা টিউশন ফি হেডেই পুরো টাকাটা দিই তাতে ন্যূনতম 50 শতাংশ ছাড় চাই। আমরা কখনও স্কুলের কাছে কিছু চাইনি। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের নিজেদের খাদ্যাভাব দেখা দিতে শুরু করেছে। আমরা যদি বাড়িতে খাবারটুকু না পাই তাহলে ফি কী করে দেব?"
এই দাবিতে একদিকে অভিভাবকদের যৌথ মঞ্চ বিক্ষোভ ও রাজভবনে ডেপুটেশন জমা দেয়। অন্যদিকে, আজই রুবির কাছে VIP বাজারের একটি বেসরকারি স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভের পর অভিভাবকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আলোচনায় কিছুটা ফি মকুব করা হবে বলে জানানো হয় অভিভাবকদের। ফি মকুবের পর যে সেশন ফি, টিউশন ফি ও ডেভলপমেন্ট ফি বাবদ যে পরিমাণ টাকা হচ্ছে তা ইনস্টলমেন্ট বা একসঙ্গে দেওয়ার অপশন দেওয়া হয়। আর তারপরও যদি কোনও অভিভাবক ফি না দিতে চান তাহলে এই বছরের জন্য পড়ুয়াকে বাড়িতেই রেখে দেওয়ার পরামর্শ দেয় কর্তৃপক্ষ। যদিও, কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব মানেননি অভিভাবকরা। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, ডেভেলপমেন্ট ফি ও বার্ষিক ফি তাঁরা দেবেন না। তাঁরা শুধুমাত্র টিউশন ফি দেবেন।