কলকাতা, 27 জুন : হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল নব্য জামাত জঙ্গিরা । সেখান থেকেই চালানো হচ্ছিল অপারেশন । এমনকী হাওড়ায় তারা মডিউল তৈরির চেষ্টা চলছিল বলে STF-এর কাছে খবর । তাদের টার্গেটে ছিল ধুলাগড় এলাকার কয়েকজন যুবক । উলুবেড়িয়ার 58 গেটের কাছে একটি মসজিদেও তাদের নিত্য যাতায়াত ছিল ।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : তৈরি হচ্ছিল হামলার ব্লু প্রিন্ট, কলকাতাতেই লুকিয়ে 'বড়' IS নেতা !
ধৃতদের জেরা করে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স জানতে পেরেছে, ধৃতদের মধ্যে মহম্মদ জিয়াউর রহমান ওরফে মহসিন, মামুনুর রশিদ, মহম্মদ শাহিন আলম ওরফে আলামিন মাঝেমধ্যেই আসত কলকাতায় । তারা হকারের ছদ্মবেশে উলুবেড়িয়া থাকত । কলকাতার নাখোদা মসজিদ চত্বরে ও ক্যানিং স্ট্রিট এলাকায় বেশ কয়েকটি খেলনার দোকান থেকে খেলনা নিয়ে গিয়ে ফেরি করত । অবশ্য জিয়াউর বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে যাতায়াত বেশি করত । তার কাজ ছিল মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমের যুবকদের “দাওয়াত" দেওয়া । সেভাবেই রবিউলকে দলে টানতে সক্ষম হয়েছিল সে । পুলিশ জানতে পেরেছে, কয়েকদিন আগেই ওই তিনজন মুর্শিদাবাদ সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢোকে। তারপর কলকাতা হয়ে চলে যায় বাগনান ।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : কাজ আছে বলে ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিল, বলছেন ধৃত রবিউলের বাবা
তদন্তকারী সূত্রে খবর, বাগনানে কয়েকদিন বাড়িভাড়া নিয়ে ছিল এই দু’জন । পরে বাগনান থেকে উলুবেড়িয়ার 58 গেটের কাছে বাড়ি ভাড়া নেয় । সেখানেই লায়েকপাড়ায় একটি বাড়িতে তারা থাকছিল ইদানিং । তদন্তকারীরা জেনেছেন, সিরাজুল মল্লিকের কাছে এই ভাড়া নিয়েছিল মামুনুর ও আলামিন । সেখানে মাঝেমধ্যে আসত জিয়াউর । তদন্তকারীদের সিরাজুল জানিয়েছে, 2400 টাকায় তিনটে ঘর ভাড়া নিয়েছিল তারা । বাড়ি ভাড়া নেওয়ার জন্য তারা আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ব্যবহার করেছিল । পুলিশ আগেই জেনেছে এই জঙ্গি দলটি তৈরি করেছিল জাল আধার কার্ড । সেই কার্ড দেখিয়েই মোবাইলের সিম তুলেছিল তারা ।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : কলকাতায় গ্রেপ্তার IS অনুপ্রাণিত 4 নব্য JMB জঙ্গি