জব্বলপুর (মধ্যপ্রদেশ), 10 এপ্রিল: খুনের পর প্রমাণ লোপাটে দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলা কি অপরাধীদের নতুন মোডাস অপারেন্ডি ! দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়াকার খুন ও তার পর একের এক একই ধরনের খুনের ঘটনা সামনে আসার পর এই প্রশ্নই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে ৷ এই প্রশ্নকে আরও জোরালো করেছে সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের একটি খুনে ঘটনা ৷ যেখানে এক যুবককে খুনের পর দেহ করাতকলে 10 টুকরো করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ মূল অভিযুক্তের সহযোগীকে গ্রেফতারের পর এই বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে বলে পুলিশের দাবি ৷
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম অনুপম শর্মা (31)৷ তিনি জব্বলপুরের ধন্বন্তরী নগর জাসুজা সিটি এক নম্বর ফেজের বাসিন্দা ছিলেন ৷ তিনি শেয়ারের ব্যবসা করতেন ৷ গত 16 ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন ৷ পরিবারের দাবি, সেদিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর অনুপম আর ফেরেননি ৷ পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি পরও তাঁকে খুঁজে পাননি ৷ তার পর তাঁরা সঞ্জীবনী নগর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন ৷ গত 26 ফেব্রুয়ারি পুলিশ অনুপমের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করে ৷
তদন্তে নামার বেশ কিছুদিন পর রাজস্থান থেকে এক সন্দেহভাজনকে ধরে পুলিশ ৷ পুলিশের দাবি, তাকে জেরা করতেই মিলে ভয়ঙ্কর তথ্য ৷ ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানান যে সেদিন টনি বর্মা নামে অনুপমের এক বন্ধু তাঁকে ডেকেছিল ৷ তার পর দু’জনের মধ্যে বচসা হয় ৷ শেষে অনুপমকে হত্যা করে টনি ৷ এর পর প্রমাণ লোপাটে করাতকলে অনুপমের দেহ 10 টুকরো করা হয় ৷ তার একাধিক বস্তায় ভরে ধন্বন্তরী নগর এলাকার 90 কোয়ার্টারের রেলপথের পাশের নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয় ৷
ওই ব্যক্তির বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে ৷ আপাতত 8টি টুকরো খুঁজে পাওয়া গিয়েছে ৷ পুলিশ বাকি টুকরোগুলি খুঁজছে ৷ পাশাপাশি এই আটটি টুকরোই অনুপমের দেহের কি না, তা জানতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে পুলিশের তরফে ৷ এদিকে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত টনি কয়েকদিন আগেই আত্মহত্যা করেছেন ৷
পুলিশ সেটাও খতিয়ে দেখছে ৷ কী কারণে টনি আত্মহত্যা করল, সেটা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷ পাশাপাশি টনি ও অনুপমের বন্ধু এবং পরিবার-পরিজনদের থেকে খুনের কারণ জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা ৷ কিন্তু যেহেতু মূল অভিযুক্তই আত্মঘাতী হয়েছেন, তাই খুনের কারণ জানতে বেগ পেতে হবে বলেই মনে করছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: চিটফান্ড মামলায় কলকাতায় রায়গড় পুলিশের হাতে গ্রেফতার দুই