মুজফফপুর, 10 জানুয়ারি: বিহারের মুজফফরপুরে হোটেল রুমে চলল গুলি ৷ রবিবার রাতে গুলিতে প্রেমিকার চোয়াল ঝাঁঝরা করে দেয় তাঁর প্রেমিক ৷ দু'জনেই স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বিহারের মুজফফরপুরের একটি হোটেলে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। হোটেলের ঘরেই ওই তরুণীকে গুলি করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক। বর্তমানে প্রেমিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷
ঘটনাক্রমে জানা যায়, রবিবার রাতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ওই তরুণী কোনওক্রমে হোটেলের নীচের তলায় নেমে আসে ৷ হোটেলের কর্মীরা তাঁকে ওই অবস্থায় দেখে তড়িঘড়ি পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে ভরতি করেন ৷ তবে আশঙ্কাজনক ওই তরুণী এখনও হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ৷ ওই হোটেলকর্মীরা তরুণীকে ভরতি করার পর স্থানীয় মিঠনপুরা থানায় খবর দেন ৷ আরও জানা যায়, ওই হোটেলটি মুজফফপুরের হরিসভা চকে ৷
অভিযুক্ত ওই যুবক পিস্তল রেখেই ওই হোটেল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে হোটেলকর্মীরা ৷ হোটেল রুমে বিছানার আশপাশ থেকে আরও কার্তুজ উদ্ধার হয় ৷ তরুণী বর্তমানে বাইরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওই তরুণী মালিঘাটের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। গুলি চলার ঘটনার খবর পেয়ে মিঠনপুরা থানার অফিসার রাকেশ কুমার তাঁর দল নিয়ে হোটেলে পৌঁছন। বিছানার আশপাশে পিস্তল ছাড়াও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে।
এদিকে মুজফফরপুর এএসপি অবধেশ কুমার দীক্ষিতও ঘটনাস্থলে পৌঁছন ৷ হোটেলের রেজিস্টারও চেক করেন ৷ তদন্ত চলাকালীন এএসপি অবধেশ কুমার দীক্ষিত জানান, ঘরটি বিস্তারিতভাবে তল্লাশি করা হয়েছে। রেজিস্টারও চেক করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, দু'জনেই স্বামী-স্ত্রী হিসেবে রুম বুক করেছিলেন। মেয়েটির নাম-ঠিকানা উল্লেখ করা নেই তাতে ৷ এটা হোটেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ৷ হোটেলে রুম বুক করার জন্য যথাযথ রেজিস্টার রাখা দরকার ৷ কিন্তু তা উপেক্ষা করা হয়েছে। তাই হোটেলের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, সিসিটিভি পরীক্ষা করা হয়েছে। পলাতক যুবকের খোঁজ চলছে ৷ মেয়েটির পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। হোটেলের কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, হোটেলে রুম নেওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকে দু'জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর তরুণীকে গুলি করে যুবক। শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে ৷
আরও পড়ুন: