গোরক্ষপুর (উত্তরপ্রদেশ), 11 এপ্রিল: সব জায়গায় এখন প্রতিযোগিতা ৷ সেই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকারই লড়াই করছে সকলে ৷ আর ব্যবসার ক্ষেত্রে তা আরও বেশি করে দেখা দেয় ৷ এক্ষেত্রেও নতুন চিন্তা-ভাবনার মাধ্যমে টিকে থাকাটা খুব জরুরি ৷ তাই নিজের ব্যবসা বাঁচাতে অভিনব পথ অবলম্বন করলেন উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের যুবক সোনু রাওয়াত ৷ কম খরচে নুডলস বেচতে শুরু করলেন তিনি বেকারদের ৷ 10 টাকার বিনিময়েই পাওয়া যাচ্ছে তাঁর দোকানে নুডলস ৷
এক তরুণ ব্যবসায়ী সোনু ৷ গোরক্ষপুরের মেডিক্যাল কলেজ রোডে তাঁর ঠেলা লাগান তিনি ৷ ব্যবসাই তাঁর বাঁচার সম্বল ৷ কিন্তু এখন বাজারে প্রচুর প্রতিদ্বন্দ্বী ৷ অনেকেই নুডলসের দোকান দিচ্ছে ৷ অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে কীভাবে বেশি বেচাকেনা করা যায় তাই কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল সোনুকে ৷ এরপরেই তিনি বার করলেন পথ ৷ পরিকল্পনা করলেন তাঁর খাবারের দোকানে আরও গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে সোনু কম টাকায় নুডলস বিক্রি করবেন ৷
কিন্তু এই অফার কেবল বেকারদের জন্য প্রযোজ্য ৷ যাদের হাতে হয়ত সেভাবে বেশি টাকা থাকে না, কিন্তু খাওয়াটা জরুরি ৷ তাই তিনি বেকারদের 10 টাকা করে নুডলস বেচতে শুরু করলেন ৷ তবে কর্মরতদের ক্ষেত্রে সেই নুডলস 15 টাকা ৷ কিন্তু দামের তারতম্য থাকলেও মানের সঙ্গে কোনও আপস করেন না সোনু ৷ এমনটাই জানাচ্ছে তাঁর গ্রাহকরা ৷ আর এতেই মাত করেছেন তিনি ৷ বেজায় খুশি তাঁর গ্রাহকেরা সোনুর দোকানের নুডলস খেয়ে ৷
কর্মরত এবং বেকার গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ফাস্ট ফুড আইটেমের পৃথক দামের তালিকা তৈরি করেছেন সোনু ৷ তা উল্লেখ করেছেন তাঁর ঠেলায় ৷ সংবাদমাধ্যমকে সোনু বলেন, "এই ব্যবসায় অনেক প্রতিযোগিতা রয়েছে । এমনকী এই এলাকায় বেশ কিছু নতুন ফাস্ট-ফুডের দোকান খোলা হয়েছে । বেঁচে থাকার জন্য আমাদের আরও গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে হবে এবং গ্রাহকরা এখানে ভালো মানের খাবার খেতে চান । ফেল সস্তায় ভালো খাবার তাদের খাওয়াতে হবে ।"
তবে শুধু নুডলস নয়, সোনুর দোকানে বেকাররা 10 টাকায় পাস্তাও পাবেন ৷ রবীন্দ্র চৌধুরি নামে এক গ্রাহক বলেন, "আমি মেডিক্যাল কলেজে যাওয়ার পথে দেখলাম যে এই দোকানে 15 টাকায় নুডলস বিক্রি করছে চাকরিজীবীদের জন্য ৷ যা খুবই যুক্তিসঙ্গত । তারা এই হারে যে স্বাদ ও গুণমান দিচ্ছে তাও প্রশংসনীয় । আমি জানি না তারা কীভাবে এই অফার থেকে উপকৃত হবে ৷ কিন্তু আমি মনে করি তারা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে সফল হবে ।"
আরও পড়ুন: সংসার ছেড়ে প্রেমিককে বিয়ে, সন্তানদের কান্নাতেও মন গলল না মায়ের