গিরিডি, 29 জানুয়ারি: বিবিসি'র তথ্যচিত্র নিয়ে সরব হলেন যোগগুরু রামদেব । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশে দাঁড়িয়ে যোগগুরু মনে করেন, "দেশে গৃহষুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করতেই ভারত বিরোধী শক্তি এই ধরনের ষড়যন্ত্র করছে ।" গিরিডির একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে একথাই বলেছেন যোগগুরু । গত কয়েকদিন ধরেই গুজরাত দাঙ্গার সময় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র নিয়ে তুমুল বিতর্ক হচ্ছে । ইতিমধ্যেই ভারতে এই ছবির প্রদর্শন বন্ধ হয়েছে। টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্ম থেকেও তথ্যচিত্রটি সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মোদি সরকার (Modi govt already banned the screening of the documentary) ।
এরপরেও কয়েকটি মাধ্যম থেকে তথ্যচিত্রটি সংগ্রহ করে দেখানোর ব্যবস্থা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় । আর সেই প্রদর্শন ঘিরেও তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক । জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্যচিত্র দেখানোর ব্যবস্থা করেছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুমোদন মেলেনি। নির্দেশ অমান্য করেই তথ্যচিত্র দেখানোর ব্যবস্থা হয়েছে । সেক্ষেত্রে তথ্যচিত্র শুরু হওয়ার পর মাঝপথে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে । সেটিও নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ।
মোদি সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী শিবিরও। বিতর্ক শুরুর সময় তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইটারে তথ্যচিত্রের লিঙ্ক শেয়ার করেন । সঙ্গে লেখেন, "কোনও ধরনের সেন্সরশিপকে মেনে নেব বলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের জনপ্রতিনিধি হইনি।" এরপর শুক্রবার আবারও এই নিয়ে সরব হন মহুয়া। তবে বিরোধীরা যাই বলুন, গেরুয়া শিবির বিবিসির দাবি খারিজ করে দিয়েছে। এবার সেই সুরই ধ্বনিত হল রামদেবের গলায়। গিরিডির অনুষ্ঠান থেকে তিনি বলেন, " ভারত পরাধীনতার চিহ্ন মিটিয়ে সনাতন গৌরবকে সঙ্গী করে এগিয়ে যাচ্ছে । এটা ভারত বিরোধী শক্তিদের ভালো লাগছে না বলে তারা ষড়যন্ত্র করেই চলেছে । বিবিসির এই তথ্যচিত্র শুধু প্রধানমন্ত্রীকে নয়, গোটা দেশকে বদনাম করতেই তৈরি । তার থেকেও বড় কথা, এভাবে সাম্প্রদায়িক এবং জাতিগত হিংসা তৈরি করে ওই সমস্ত শক্তি দেশে গৃহযুদ্ধ বাঁধাতে চায়, আগুন লাগাতে চায় । দেশের সকলের এই তথ্যচিত্রের প্রতিবাদে সরব হওয়া উচিত । "
আরও পড়ুন: বিবিসির তথ্যচিত্র প্রদর্শন নিয়ে উত্তপ্ত জেএনইউ, পুলিশের দ্বারস্থ দু’পক্ষ