বেঙ্গালুরু, 26 মার্চ : একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার মহিলা সাংবাদিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বেঙ্গালুরু থেকে (Woman Working With International News Agency Found Dead in Bengaluru) ৷ শ্রুতি নারায়ণ নামে বছর 35’র ওই সাংবাদিকের দেহ উদ্ধার হয় বেঙ্গালুরুর সিদ্দাপুরের হোয়াইটফিল্ডের কাছে তাঁর ফ্ল্যাটে ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা বলে মনে করছেন ৷ ঘটনাস্থল থেকে একটি চিঠি উদ্ধার হয়েছে ৷ যেখানে তিনি তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন ৷ আর সেই কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর (Journalist Shruti Narayanan Alleged Against Her Husband for Torture in Suicide Notes) ৷ এই ঘটনায় মৃত সাংবাদিকের পরিবার অন্তর্ঘাতের অভিযোগ এনে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে শ্রুতির ভাই তাঁর ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত দেহের সঙ্গে তিনটি চিঠিও দেখতে পান (Shruti Narayanan Journalist from Kerala Found Hanging) ৷ একটি পুলিশের জন্য, একটি তাঁর ইঞ্জিনিয়ার স্বামী অনীশ করোথ এবং তৃতীয়টি কাসারাগোদে থাকা তাঁর বাবা-মা’র জন্য লিখেছিলেন শ্রুতি ৷ তাঁকে ফোনে না পেয়ে এবং অফিসে না যাওয়ায় শ্রুতির ভাই নীশান্ত ফ্ল্যাটে তাঁর খোঁজ করতে যান ৷ তখনই তিনি ফ্ল্যাটের ভিতরে শ্রুতিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন এবং পুলিশে খবর দেন ৷
আরও পড়ুন : Student Killed Herself : গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী একাদশ শ্রেণির ছাত্রী
জানা গিয়েছে, শ্রুতি তাঁর স্বামীকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে, ‘‘তিনি যদি আবারও বিয়ে করার চিন্তাভাবনা করেনও, তবু তাঁর এই অত্যাচার কেউ সহ্য করবে না ৷ একমাত্র অন্ধ ও বধির কোনও মহিলাকে বিয়ে করলে তিনি শুনতে এবং দেখতে পাবেন না যে, তিনি কী ধরনের অত্যাচার এবং অশালীন ভাষা প্রয়োগ করেন ৷’’
পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রুতি তাঁর বাবা-মাকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ‘‘আমি যদি বেঁচে থাকি ৷ তবে, তাঁদের জন্য প্রত্যেকটা দিন দুঃখের হবে ৷ আর যদি তিনি মারা যান তবে, তাঁদের দুঃখ কয়েকদিনের জন্য স্থায়ী হবে ৷’’ শ্রুতির পরিবারের সন্দেহ তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে ৷ আর তাই এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে শ্রুতির বাবা, মা এবং ভাই ৷ পুলিশের তরফে পাওয়া খবর অনুযায়ী, 2017 সালে অনীশের সঙ্গে শ্রুতির বিয়ে হয়েছিল ৷ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷