শাহজাহানপুর (উত্তরপ্রদেশ), 8 অক্টোবর: 2016 সালে এনআরআই সুখজিৎ সিংকে খুন করে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক ৷ সাতবছর পর সেই খুনের মামলায় দোষী মহিলাকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিল উত্তরপ্রদেশের একটি আদালত ৷ তার প্রেমিককে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ৷
জানা গিয়েছে, সুখজিৎকে তাঁর স্ত্রী রমনদীপ কউর প্রেমিকের সাহায্য নিয়ে খুন করেছিল ৷ প্রেমিকের নাম গুরুপ্রীত ওরফে বিট্টু ৷ তারা দু'জনেই দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্কে রয়েছে । রমনদীপ এবং বিট্টু উভয়কেই চলতি বছরের 5 অক্টোবর অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক পঙ্কজ কুমার শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ দোষী সাব্যস্ত করে এবং শনিবার ওই মামলার রায় ঘোষণা করা হয় । এই মামলার শুনানির সময় সুখজিতের বছর ছ'য়েকের ছেলের সাক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । ছেলেটি তার চোখের সামনে বাবাকে খুন হতে দেখেছিল এবং সে আদালতে গোটা ঘটনাটি জানিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
1 সেপ্টেম্বর 2016 সালে বান্দা থানা এলাকার বসন্তপুর গ্রামে একটি খামার বাড়িতে সুখজিৎ সিংয়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল । ঘটনায় তাঁকে গলা কেটে হত্যা করা হয় এবং পাশাপাশি দুটি পোষ্য কুকুরকেও বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হয় । তদন্তের সময় পুলিশ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী'কে সন্দেহ করে ৷ রমনদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই অবশেষে তাকে এবং বিট্টুকে গ্রেফতার করা হয় ।
আরও পড়ুন: প্রথম স্ত্রী ও দুই মেয়েকে গুলি করে আত্মঘাতী হেড কনস্টেবল
সুখজিৎ ও রমনদীপ ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, ইংল্যান্ডে বিট্টুর সঙ্গে রমনদীপের সম্পর্ক ছিল । দু'জনেই সুখজিৎকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে ৷ অজুহাতে প্রথমে তারা তাঁকে ভারতে নিয়ে আসা হয় এবং পরে খুন করা হয় । এই মামলার রায়ের পরে সুখজিতের মা আনশ কউর আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ৷ তাঁর ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যাকারীদের শাস্তি হওয়ায় তিনি স্বস্তিবোধ করছেন । তিনি বলেন, "অপরাধীদের শাস্তি হওয়ায় আমরা অনেক শান্তি পেয়েছি । আমাদের সবসময় বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা ছিল ।"