থানে, 4 এপ্রিল: অনলাইনে 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম'-এর প্রস্তাব এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে মোটা টাকা মুনাফার টোপ ! আর সেই টোপে পা দিয়েই 14 লক্ষ 30 হাজার টাকা খোয়াতে হল 50 বছরের এক মহিলাকে ৷ মহারাষ্ট্রের নবি মুম্বইয়ের বাসিন্দা ওই মহিলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন মোট চারজন ৷ মহিলার দায়ের করা এফআইআরের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার সূত্রপাত হয় গতমাসে ৷ তাঁর মোবাইলে একটি হোয়াটসঅ্য়াপ মেসেজ আসে ৷ সেই মেসেজে অনলাইনে বাড়ি থেকে কাজ করার ফাঁদ পাতা হয়েছিল ৷ মহিলা সেই ফাঁদে পা দেন এবং অনলাইনে কাজও শুরু করেন ৷ প্রথম কয়েকদিন কোনও সমস্যা হয়নি ৷ মহিলা কাজ করছিলেন এবং তার বদলে নিয়মিত টাকাও পাচ্ছিলেন ৷ সেই টাকার পরিমাণ খুব একটা কম ছিল না ৷ মোটের উপর ভালোই রোজগার হচ্ছিল মহিলার ৷ এর ফলে প্রাথমিকভাবে প্রতারকদের উপর বিশ্বাস জন্মে যায় তাঁর ৷ আর তারই সুযোগ নেয় প্রতারকরা ৷
মহিলাকে বোঝানো হয়, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করলে আরও অনেক বেশি টাকা রোজগার করতে পারবেন তিনি ৷ মহিলা এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান ৷ প্রথমে তাতেও লাভবান হন তিনি ৷ মহিলার দাবি, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে প্রথমে তিনি যা বিনিয়োগ করেছিলেন, তার তুলনায় অনেক বেশি টাকা ফেরত পান ৷ এতে প্রতারকদের উপর তাঁর বিশ্বাস ও ভরসা আরও বাড়ে ৷ কিন্তু, এরপর হঠাৎই প্রতারকরা তাঁর সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ৷ তিনি যে বিপুল অর্থ ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করেছিলেন, তার প্রক্ষিতে তাঁকে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেয় প্রতারকরা ৷ এমনকী, মহিলার পাঠানো হোয়াটসঅ্য়াপ মেসেজরও আর কোনও জবাব দেয় না তারা ৷
আরও পড়ুন: আসানসোলে সাইবার প্রতারণা, বিহারে গ্রেফতার 2 অভিযুক্ত
এই ঘটনার পর স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হন মহিলা ৷ পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, মোট চারজনের সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্য়াপে কথা হয়েছিল ৷ সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য, আর্থিক লেনদেনের হিসাব প্রভৃতি পুলিশের হাতে তুলে দেন মহিলা ৷ এইসব তথ্যপ্রমাণ এবং লিখিত অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাইবার ক্রাইম বিভাগ ৷