জয়পুর, 3 ফেব্রুয়ারি: পাছে পুলিশ জরিমানা করে ! সেই ভয়েই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হলেন দুই তরুণী ৷ সম্পর্কে তাঁরা দুই বোন ৷ তাঁদের মধ্যে প্রাণ গেল একজনের (Woman Died by Accident) ৷ রাজস্থানের মান সরোবর থানা এলাকার এই দুর্ঘটনায় পালটা পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মৃতের পরিজনেরা ৷ ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ৷
কী ঘটেছিল ?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় প্রাণ খোয়ানো ওই তরুণীর নাম নীলম চৌধুরী ৷ বয়স 28 বছর ৷ ঝুনঝুনুর বাসিন্দা নীলম তাঁর বোন অনিলার বাড়িতে এসেছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ৷ নীলমের দেড় বছরের একটি ছোট্ট মেয়ে রয়েছে ৷ সে অসুস্থ ৷ এই খবর পেয়ে বোনের সঙ্গেই বাড়ি ফিরছিলেন নীলম ৷
আরও পড়ুন: দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, কনৌজে প্রাণ গেল 3 জনের
দুই বোন সওয়ার ছিলেন স্কুটারে ৷ স্কুটার চালাচ্ছিলেন অনিলা ৷ নীলম বসেছিলেন পিছনের আসনে ৷ পুলিশের দাবি, নীলমের মাথায় হেলমেট ছিল না ৷ এই কারণে তাঁদের থামার নির্দেশ দেন কর্তব্যরত দুই ট্রাফিক পুলিশকর্মী ৷ আর তাতেই ভয় পেয়ে যান অনিলা ৷ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সটান ধাক্কা মারেন একটি লরিতে ৷ নীলম, অনিলা দুই বোনই রাস্তায় পড়ে যান ৷ নীলম ঢুকে যান লরির নীচে ৷ লরির পিছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে যান তিনি ৷ ওই অবস্থায় প্রায় 200 ফুট তাঁকে টেনে নিয়ে যান লরিচালক ৷ এরপর লরি থামান তিনি !
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনই দুই বোনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ সেখানে চিকিৎসকরা নীলমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ এই ঘটনার পর রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নীলমের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়রা ৷ তাঁদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক দুই পুলিশের জন্যই নীলমের মৃত্যু হয়েছে ৷ পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ান স্থানীয় কংগ্রেস নেতা পুষ্পেন্দ্র ভরদ্বাজও ৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জয়পুরের জেলাশাসক ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ৷ তাঁরা নীলমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ তাঁদের আশ্বাস দেন, ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হবে ৷ যদি ওই দুই পুলিশকর্মী দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে ৷ একইসঙ্গে, যে লরির চাকায় নীলম পিষ্ট হন, সেটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ আটক করা হয় লরিচালককেও ৷