শ্রীনগর, 9 নভেম্বর: এসেছে শরৎ, হিমের পরশ/লেগেছে হাওয়ার 'পরে...৷ শরতের পরশে আরও মোহময়ী হয়ে উঠেছে ভূস্বর্গ ৷ কাশ্মীর উপত্যকায় বিশাল গাছ থেকে চিনারের পাতা ভূমিতে খসে পড়া শুরু করেছে ৷ আর তার সেই সোনালি আভা গায়ে মেখে নিতে ডাল লেকের তীরে মুঘল উদ্যানে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা ৷ উপত্যকার অনন্য সৌন্দর্যকে তুলে ধরে কাশ্মীরের শরৎ ৷ আর এই সময়টায় বিশেষ করে লাল ও সোনালি রঙে ঢেকে থাকা মুঘল গার্ডেন্সের রূপের শোভা আরও বৃদ্ধি পায় ৷
চিনার গাছের ঝরে পড়া সোনালি পাতাগুলি পর্যটকদের কাশ্মীরে টেনে নিয়ে যায় ৷ সে যেন শুকনো পাতার নুপূর পায়ের নাচ ৷ তার অমোঘ আকর্ষণ ও আশ্চর্য মনোমুগ্ধকর দৃশ্য প্রলুব্ধ করে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষজনকে । বসন্ত ছাড়াও কাশ্মীরে শরৎকালও বেশ মনোরম । সারাদিনে হালকা ঠান্ডা এবং রোদ, শীতল সকাল এবং ঠান্ডা সন্ধ্যা ৷ আর তার পাশাপাশি সোনালি চিনার পাতার চাদরে ঢাকা চারপাশের মনোরম দৃশ্য ৷
চিনার গাছে পরিপূর্ণ হওয়ায় এই মরসুমে পর্যটকদের প্রথম পছন্দ মুঘল গার্ডেন্স । সেখানকার সোনালি চিনারের পাতা যেন প্রকৃত স্বর্গ করে তোলে কাশ্মীরকে ৷ যার আভায় ডুব দেন পর্যটকরা ৷ এই সুন্দর পাতার উপর হাঁটার মর্মর ধ্বনি যেন আত্মাকে প্রশান্তি দেয় । শরৎ উপভোগ করতে উপত্যকায় আসা পর্যটকরা বলেছেন যে, প্রস্ফুটিত জাফরান ফুল, কাশ্মীরের আপেল বাগান এবং চিনারের হলুদ পাতা চাক্ষুস করা তাঁদের জন্য যেন স্বপ্নপূরণ ।
প্রথমবারের মতো কাশ্মীরে আসা এক মহিলা পর্যটক বলেন যে, উপত্যকায় শরতের ঋতু দেশের অন্যান্য অংশের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা । তাঁর কথায়, "চিনার পাতাগুলি এতই মনোমুগ্ধকর যে আমি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সেগুলি দিয়ে একটি ফটো ফ্রেম তৈরি করব ৷"
কাশ্মীর তার অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত, এটি তার পরিবর্তনশীল ঋতুগুলির জন্যও পরিচিত ৷ তবে শরতের জাদুকরী স্পর্শে ভূস্বর্গ হয়ে ওঠে শিল্পীর হাতে আঁকা মনোরম ছবি ৷
আরও পড়ুন: এই নিয়ে তৃতীয়বার 9 ছানার জন্ম দিল 'চাটনি', ভুরিভোজে আপ্যায়ন 400 অতিথিকে