ETV Bharat / bharat

African Swine Flu: নিপার পরে কোঝিকোড়ে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুর আতঙ্ক, মৃত্যু বন্য শূকরের - কোঝিকোড়ে

কোঝিকোড়ে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুতে মৃত্যু বন্য শূকরের ৷ নিপার পর এই ভাইরাসের জেরে জেলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ৷ তবে সতর্কতা অবলম্বন করছে স্বাস্থ দফতর ৷

African Swine Flu
আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 4, 2023, 7:23 PM IST

কোঝিকোড়ে(কেরল), 4 অক্টোবর: কেরলের কোঝিকোড়ে নিপার পর এবার আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুর আতঙ্ক ৷ জেলার মারুথনকারায় একটি বন্য শূকরকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে ৷ শূকরটি আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুতে সংক্রমিত হয়েছিল ৷ এর ফলেই সেটির মৃত্যু হয়েছে বলে পরীক্ষায় ধরা পড়েছে। ভোপালের একটি ভাইরোলজি ল্যাবে পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কোঝিকোড়ে এই প্রথম আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুর খবর পাওয়া গেল। এই ফ্লুতে সরাসরি মানুষ সংক্রমিত হয় না। ভাইরাসের এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে আসলে সংক্রমিত হয়ে শূকরের মৃত্যু হয় ।

স্বাস্থ্য বিভাগ এই ফ্লু নিয়ে সতর্ক রয়েছে ৷ বর্তমানে ওই এলাকায় কোনও শূকরকে খামারে রাখা হয়নি। কেরলের স্বাস্থ্য দফতর বলেছে যে, কাছাকাছি এলাকার খামার মালিকদের এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার জন্য সচেতনতার পাঠ দেওয়া হবে । জেলার সমস্ত শূকর খামার মালিকদের এই অনুষ্ঠানে ডাকা হবে এবং একটি বিস্তারিত ক্লাস নেওয়া হবে 6 অক্টোবর জেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালের হলে ৷ আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু আসফারভিরিডে ভাইরাসের জন্য হয় ৷

1907 সালে কেনিয়াতে প্রথম এই রোগটি পাওয়া যায় । ব্রিটিশ উপনিবেশে গৃহপালিত শূকরগুলি আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুতে সংক্রমিত হয় । এর জেরে পাঁচ দশক ধরে আফ্রিকা মহাদেশে সীমাবদ্ধ থাকা এই রোগটি 1957 সালে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে । 1957 সালে আফ্রিকা থেকে আমদানি করা শূকরের মাংসের মাধ্যমে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে এই রোগটি প্রথম ছড়িয়ে পড়ে । এরপর রোগটি ছড়িয়ে পড়ে স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি ও মাল্টায়। এরপর আমেরিকায় আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুর খোঁজ পাওয়া যায় ।

ইউরোপের মাল্টায় 1978 সালে এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটলে রোগ নির্মূল করার জন্য পুরো দেশের সব শূকরকে মেরে ফেলা হয় । 1960 এবং 1990 এর দশকে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের সোয়াইন শিল্পের ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়েছিল ৷ এই রোগটি প্রথম এশিয়ার মূল ভূখণ্ডে অগস্ট 2018 সালে চিনের পূর্বাঞ্চলীয় লিয়াওনিং প্রদেশের শূকর খামারগুলিতে সনাক্ত করা হয়েছিল ৷ তারপর এই রোগটি হংকং, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, পূর্ব তিমুর, দক্ষিণ কোরিয়া, কম্বোডিয়া, মঙ্গোলিয়া, মায়ানমার এবং লাওসের মতো সমস্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে ৷

আরও পড়ুন: আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু অসমে, মৃত 13 হাজার শূকর

2020 সালে 21 মে ভারতে প্রথমবার এই রোগটি ধরা পড়ে ৷ অসম ও অরুণাচল প্রদেশে সোয়াইন ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছে । ভাইরাসটির প্রথম সংক্রমিত হয় কেরলে 21 জুলাই 2022 সালে ৷ তাভিনজাল ওয়েনাড জেলার একটি খামারে শূকরের মধ্যে রোগটি পাওয়া গিয়েছিল ৷

কোঝিকোড়ে(কেরল), 4 অক্টোবর: কেরলের কোঝিকোড়ে নিপার পর এবার আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুর আতঙ্ক ৷ জেলার মারুথনকারায় একটি বন্য শূকরকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে ৷ শূকরটি আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুতে সংক্রমিত হয়েছিল ৷ এর ফলেই সেটির মৃত্যু হয়েছে বলে পরীক্ষায় ধরা পড়েছে। ভোপালের একটি ভাইরোলজি ল্যাবে পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কোঝিকোড়ে এই প্রথম আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুর খবর পাওয়া গেল। এই ফ্লুতে সরাসরি মানুষ সংক্রমিত হয় না। ভাইরাসের এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে আসলে সংক্রমিত হয়ে শূকরের মৃত্যু হয় ।

স্বাস্থ্য বিভাগ এই ফ্লু নিয়ে সতর্ক রয়েছে ৷ বর্তমানে ওই এলাকায় কোনও শূকরকে খামারে রাখা হয়নি। কেরলের স্বাস্থ্য দফতর বলেছে যে, কাছাকাছি এলাকার খামার মালিকদের এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার জন্য সচেতনতার পাঠ দেওয়া হবে । জেলার সমস্ত শূকর খামার মালিকদের এই অনুষ্ঠানে ডাকা হবে এবং একটি বিস্তারিত ক্লাস নেওয়া হবে 6 অক্টোবর জেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালের হলে ৷ আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু আসফারভিরিডে ভাইরাসের জন্য হয় ৷

1907 সালে কেনিয়াতে প্রথম এই রোগটি পাওয়া যায় । ব্রিটিশ উপনিবেশে গৃহপালিত শূকরগুলি আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুতে সংক্রমিত হয় । এর জেরে পাঁচ দশক ধরে আফ্রিকা মহাদেশে সীমাবদ্ধ থাকা এই রোগটি 1957 সালে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে । 1957 সালে আফ্রিকা থেকে আমদানি করা শূকরের মাংসের মাধ্যমে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে এই রোগটি প্রথম ছড়িয়ে পড়ে । এরপর রোগটি ছড়িয়ে পড়ে স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি ও মাল্টায়। এরপর আমেরিকায় আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুর খোঁজ পাওয়া যায় ।

ইউরোপের মাল্টায় 1978 সালে এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটলে রোগ নির্মূল করার জন্য পুরো দেশের সব শূকরকে মেরে ফেলা হয় । 1960 এবং 1990 এর দশকে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের সোয়াইন শিল্পের ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়েছিল ৷ এই রোগটি প্রথম এশিয়ার মূল ভূখণ্ডে অগস্ট 2018 সালে চিনের পূর্বাঞ্চলীয় লিয়াওনিং প্রদেশের শূকর খামারগুলিতে সনাক্ত করা হয়েছিল ৷ তারপর এই রোগটি হংকং, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, পূর্ব তিমুর, দক্ষিণ কোরিয়া, কম্বোডিয়া, মঙ্গোলিয়া, মায়ানমার এবং লাওসের মতো সমস্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে ৷

আরও পড়ুন: আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু অসমে, মৃত 13 হাজার শূকর

2020 সালে 21 মে ভারতে প্রথমবার এই রোগটি ধরা পড়ে ৷ অসম ও অরুণাচল প্রদেশে সোয়াইন ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছে । ভাইরাসটির প্রথম সংক্রমিত হয় কেরলে 21 জুলাই 2022 সালে ৷ তাভিনজাল ওয়েনাড জেলার একটি খামারে শূকরের মধ্যে রোগটি পাওয়া গিয়েছিল ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.