ঝাঁসি, 4 জানুয়ারি: ট্রেনের মধ্যে আচমকা অসুস্থ ব্যক্তির মৃত্যু ৷ একসঙ্গে ট্রেন সফর করলেও বুঝতে পারলেন না স্ত্রী ৷ 12 ঘণ্টা পর মহিলা খেয়াল করেন, প্রয়াত হয়েছেন স্বামী ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি স্টেশনে ৷ আমেদাবাদ থেকে বেনারসগামী সবরমতি এক্সপ্রেসের স্লিপার কোচের যাত্রী ছিলেন অসুস্থ ওই ব্যক্তি ৷ স্ত্রী ও দুই সন্তান দেহ নিয়ে ঘুরতে থাকেন। রেল প্রশাসনও এই বিষয়ে অবগত ছিল না। খবর পেয়ে জিআরপি ঝাঁসি রেলস্টেশনে দেহ নামানো হয় ও ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় ৷
জানা গিয়েছে, অযোধ্যার ইনায়েত নগর থানার মাঝালাইয়ের বাসিন্দা রামকুমার (36) আমেদাবাদে মার্বেল লাগানোর কাজ করতেন। তিনি স্ত্রী প্রেমা ও 2 সন্তানকে নিয়ে সেখানেই থাকতেন। সোমবার হঠাৎ করেই রামকুমার অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ স্বাস্থ্যের অবনতি হলে চিকিৎসার জন্য স্ত্রী প্রেমা, দুই সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে সবরমতী এক্সপ্রেসে (ট্রেন নম্বর 19167) (স্লিপার কোচ নম্বর S-6 এবং সিট নম্বর 43, 44 এবং 45) অযোধ্যায় আসছিলেন। রাস্তাতেই কখন রামকুমারের মৃত্যু হয়েছে জানতে পারেননি তাঁর স্ত্রী-সন্তানরা ৷
এরপর মঙ্গলবার ঝাঁসি রেলস্টেশনে স্ত্রী প্রেমা রাজকুমারকে ওষুধ খাওয়ানোর জন্য জাগানোর চেষ্টা করেন। অনেক চেষ্টা করেও তিনি উঠলেন না। তখনই প্রেমা জানতে পারেন তাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন। স্বামীর মৃতদেহ আঁকড়ে ধরে প্রেমা ও দুই সন্তানই জোরে জোরে কাঁদতে থাকেন। ট্রেনে কান্নার শব্দ শুনে যাত্রীরা জড়ো ভিড় করেন। বিষয়টি রেলওয়ে আধিকারিকদের জানান যাত্রীরাই ৷ এরপর মঙ্গলবার রাত 8টা নাগাদ ঝাঁসি রেলস্টেশনে জিআরপির সহায়তায় দেহ নামিয়ে আনেন রেলের আধিকারিকরা। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের জন্য মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। স্বামীর আচমকা মৃত্যুতে দিশেহারা স্ত্রী ৷
আরও পড়ুন:
1. ছিনতাইবাজের ফাঁদে সরকারি দফতরের 'দুর্নীতিগ্রস্ত' আধিকারিকরা, গ্রেফতার ছিঁচকে চোর
2. ফুল ছিঁড়েছে পড়ুয়ারা, 'অপরাধে' অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর নাক কেটে নিল বাড়ির মালিক
3. পেট্রল পাম্পে নেই তেল, ঘোড়ায় চড়ে খাবার ডেলিভারি বয়ের; দেখুন ভিডিয়ো