ETV Bharat / bharat

Covid-19: কেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে কোভিড-19 আর গ্লোবাল এমার্জেন্সি নয় ? জেনে নিন

তিন বছর ধরে কোভিড -19 অতিমারীর প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বে ৷ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ তবে অবশেষে স্বস্তি বিশ্ববাসীর ৷ শুক্রবার বিশ্বব্যাপী সমস্ত সতর্কতা তুলে নিয়েছে হু ৷ কোভিড-19 আর গ্লোবাল এমার্জেন্সি নয় বলে ঘোষণা করা হয়েছে ৷ জেনে নিন কেন কোভিড-19 আর গ্লোবাল এমার্জেন্সি নয় হু-এর মাপকাঠিতে ৷

WHO on Covid 19
কোভিড 19
author img

By

Published : May 6, 2023, 3:47 PM IST

হায়দরাবাদ, 6 মে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুক্রবার ঘোষণা করেছে যে কোভিড-19 আর গ্লোবাল এমার্জেন্সি নয় ৷ ফলে এটি আর বিশ্বব্যাপী জরুরি পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচিত হবে না । জেনে নিন এই ঘোষণার পিছনের কারণগুলি ৷ কেন কোভিভ-19'কে আর গ্লোবাল এমার্জেন্সি বলা যাবে না ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার করোনা অতিমারীর প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ৷ তা বিবেচনা করে এখন সংক্রমণের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থাপনার দিকে মনোনিবেশ করা হবে ।

প্রসঙ্গত, 2019 সালের শেষের দিকে চিনের উহানে কোভিড-19 ভাইরাস প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল । 2020 সালের জানুয়ারি থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে ৷ যার ফলে কোভিড-19'কে গ্লোবাল এমার্জেন্সি হিসেবে ঘোষণা করে । বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই ছড়িয়ে পড়েছিল এই অতিমারি ৷ যার জেরে বিশ্বব্যাপী 50 লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে ৷ ফলত এই পরিস্থিতিরে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বড়সড় উদ্বেগ সৃষ্টি। বেশ কয়েকটি দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে ৷

যে কোনও রোগকে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয় ৷ প্রথমত, এটিকে একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়তে হবে ৷ দ্বিতীয়ত, এই রোগে অবশ্যই গুরুতর অসুস্থতা, হাসপাতালে ভরতি এবং মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটবে ৷ তৃতীয়ত, এটি অবশ্যই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলবে । কোভিড-19 অতিমারীর ক্ষেত্রে 2020 এবং 2021 উভয় বছরেই প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়েভে এই তিনটি শর্তই পূরণ হয়েছিল ।

কোভিড-19 সৃষ্টিকারী ভাইরাস হল SARS-CoV-2 ৷ সেটি ছিল একটি নতুন ভাইরাস এবং এটি সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে খুব কমই জ্ঞাত ছিল সেসময় । যত এই ভাইরাস মানুষকে গ্রাসে নিয়েছে ততই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৷ যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা কোভিডে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ৷ বয়স্ক এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা গিয়েছে এই কোভিডের সংক্রমণ ।

গত তিন বছরে চিকিৎসক এবং গবেষকরা কোভিড-19 সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছেন ৷ যার মধ্যে রয়েছে সংক্রমণ পদ্ধতি, ঝুঁকির কারণ, ডায়াগনস্টিকস, চিকিৎসা প্রোটোকল এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা । বিশ্বব্যাপী সরকারগুলি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছে এবং টিকা দেওয়ার ড্রাইভ চালু করেছে ৷ ভারতে 90 শতাংশেরও বেশি মানুষ তাদের দুটি প্রাথমিক টিকার ডোজ গ্রহণ করেছে ৷ তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড -19 থেকে তার জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থার তকমা প্রত্যাহার করেছে ৷

ভারতে এযাবৎ কোভিড-19 এর কারণে 4.43 কোটি আক্রান্ত এবং 5.3 লক্ষ মৃত্যু হয়েছে ৷ বিশ্বব্যাপী সংক্রমণের সংখ্যা 76.5 কোটি ছাড়িয়েছে ৷ যার ফলে 69.2 লক্ষ মৃত্যু হয়েছে । তবে এখন ভাইরাসের প্রভাব কমেছে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আর চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে না । তাই হু এর তরফে এই ঘোষণা ৷

আরও পড়ুন: কোভিড 19 আর গ্লোবাল এমার্জেন্সি নয়, ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

হায়দরাবাদ, 6 মে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুক্রবার ঘোষণা করেছে যে কোভিড-19 আর গ্লোবাল এমার্জেন্সি নয় ৷ ফলে এটি আর বিশ্বব্যাপী জরুরি পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচিত হবে না । জেনে নিন এই ঘোষণার পিছনের কারণগুলি ৷ কেন কোভিভ-19'কে আর গ্লোবাল এমার্জেন্সি বলা যাবে না ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার করোনা অতিমারীর প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ৷ তা বিবেচনা করে এখন সংক্রমণের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থাপনার দিকে মনোনিবেশ করা হবে ।

প্রসঙ্গত, 2019 সালের শেষের দিকে চিনের উহানে কোভিড-19 ভাইরাস প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল । 2020 সালের জানুয়ারি থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে ৷ যার ফলে কোভিড-19'কে গ্লোবাল এমার্জেন্সি হিসেবে ঘোষণা করে । বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই ছড়িয়ে পড়েছিল এই অতিমারি ৷ যার জেরে বিশ্বব্যাপী 50 লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে ৷ ফলত এই পরিস্থিতিরে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বড়সড় উদ্বেগ সৃষ্টি। বেশ কয়েকটি দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে ৷

যে কোনও রোগকে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয় ৷ প্রথমত, এটিকে একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়তে হবে ৷ দ্বিতীয়ত, এই রোগে অবশ্যই গুরুতর অসুস্থতা, হাসপাতালে ভরতি এবং মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটবে ৷ তৃতীয়ত, এটি অবশ্যই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলবে । কোভিড-19 অতিমারীর ক্ষেত্রে 2020 এবং 2021 উভয় বছরেই প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়েভে এই তিনটি শর্তই পূরণ হয়েছিল ।

কোভিড-19 সৃষ্টিকারী ভাইরাস হল SARS-CoV-2 ৷ সেটি ছিল একটি নতুন ভাইরাস এবং এটি সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে খুব কমই জ্ঞাত ছিল সেসময় । যত এই ভাইরাস মানুষকে গ্রাসে নিয়েছে ততই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৷ যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা কোভিডে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ৷ বয়স্ক এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা গিয়েছে এই কোভিডের সংক্রমণ ।

গত তিন বছরে চিকিৎসক এবং গবেষকরা কোভিড-19 সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছেন ৷ যার মধ্যে রয়েছে সংক্রমণ পদ্ধতি, ঝুঁকির কারণ, ডায়াগনস্টিকস, চিকিৎসা প্রোটোকল এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা । বিশ্বব্যাপী সরকারগুলি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছে এবং টিকা দেওয়ার ড্রাইভ চালু করেছে ৷ ভারতে 90 শতাংশেরও বেশি মানুষ তাদের দুটি প্রাথমিক টিকার ডোজ গ্রহণ করেছে ৷ তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড -19 থেকে তার জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থার তকমা প্রত্যাহার করেছে ৷

ভারতে এযাবৎ কোভিড-19 এর কারণে 4.43 কোটি আক্রান্ত এবং 5.3 লক্ষ মৃত্যু হয়েছে ৷ বিশ্বব্যাপী সংক্রমণের সংখ্যা 76.5 কোটি ছাড়িয়েছে ৷ যার ফলে 69.2 লক্ষ মৃত্যু হয়েছে । তবে এখন ভাইরাসের প্রভাব কমেছে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আর চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে না । তাই হু এর তরফে এই ঘোষণা ৷

আরও পড়ুন: কোভিড 19 আর গ্লোবাল এমার্জেন্সি নয়, ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.