নয়াদিল্লি, 20 ডিসেম্বর: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.1-এর সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে ৷ এ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি বিবৃতি জারি করেছে ৷ যেখানে বলা হয়েছে, জেএন.1 করোনার মূল ভ্যারিয়েন্টের থেকে আলাদা ৷ এটির সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়া নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেছে হু ৷ উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আগে জানিয়েছিল, এই নতুন রূপ করোনার মূল ভ্যারিয়েন্ট বিএ.2.86-এর একটা অংশ ৷ এবার সেই দাবি থেকে সরে এল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৷
ডব্লিউএইচও বা হু-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে,আমাদের হাতে থাকা প্রমাণের ভিত্তিতে এটুকু বলা যায়, জেএন.1-এর সংক্রমণের ফলে বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকির মাত্রা বর্তমানে কম ৷ তা সত্ত্বেও, উত্তর গোলার্ধে শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, জেএন.1 অনেক দেশেই মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে ৷ তবে, জেএন.1-এর সংক্রমণের জেরে বড় কোনও সমস্যা বা মৃত্যু এড়াতে বর্তমানে সার্স-কোভ-2 এর জন্য যে ভ্যাকসিনগুলি বাজারে রয়েছে, সেগুলিই কার্যকরী হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৷ পাশাপাশি হু প্রতিনিয়ত জেএন.1 এর সংক্রমণ ও তার থেকে ঝুঁকির পরিমাণ কতটা তার উপর নজরে রাখছে বলে জানানো হয়েছে ৷ এর জন্য প্রতিনিয়ত তথ্যের উপর নজরদারি চালাচ্ছে হু ৷
-
#COVID19 is not the only respiratory disease circulating. #Influenza, RSV and common childhood #pneumonia are on the rise.
— World Health Organization (WHO) (@WHO) December 19, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
Take measures to prevent infections and severe disease using all available tools.https://t.co/yEFkir3Bp4
">#COVID19 is not the only respiratory disease circulating. #Influenza, RSV and common childhood #pneumonia are on the rise.
— World Health Organization (WHO) (@WHO) December 19, 2023
Take measures to prevent infections and severe disease using all available tools.https://t.co/yEFkir3Bp4#COVID19 is not the only respiratory disease circulating. #Influenza, RSV and common childhood #pneumonia are on the rise.
— World Health Organization (WHO) (@WHO) December 19, 2023
Take measures to prevent infections and severe disease using all available tools.https://t.co/yEFkir3Bp4
জেএন.1-এর উপর নজরদারি
প্রথম ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, জেএন.1 মূল ভ্যারিয়েন্ট বিএ.2.86 এর একটা অংশ ৷ যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় 'ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট' বলা হচ্ছিল ৷ তবে, সেখানে এও দাবি করা হয়েছিল, জনস্বাস্থ্য এই ভ্যারিয়েন্টের ক্ষতিকর প্রভাবের সম্ভাবনা খুবই কম ৷ কিন্তু, এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ খুব দ্রুত বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করা হয়েছিল ৷ পরবর্তী সময়ে অন্যান্যা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ এবং অন্যান্য জীবাণুর সংক্রমণের হারকে বাড়িয়ে তুলতে পারে ৷ বিশেষত, যে সব দেশে এই মুহূর্তে শীতের মরশুম শুরু হচ্ছে সেখানে দাপট বেশি হওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা ৷
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযীয়, 41টি দেশে 7 হাজার 344 জনের নমুনায় করোনার জেএন.1 এর সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে ৷ যা এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহের 48তম সপ্তাহে সমগ্র বিশ্বের থেকে সংগ্রহ করা নমুনার 27.1 শতাংশ বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৷ তবে, এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহ 44-এর তুলনায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার অনেক বেশি ৷ কারণ, এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহ 44-এ জেএন.ওয়ানের সংক্রমণ সংগ্রহ করা নমুনার মাত্র 3.3 শতাংশ ছিল ৷ সেটাই মাত্র চারসপ্তাহ পরে প্রায় 23 শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে ৷