ETV Bharat / bharat

বিহার-উত্তরপ্রদেশে যাদব ভোটব্যাংকের জন্যই কি মধ্যপ্রদেশের মসনদে মোহনকে বসালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ! - বিজেপি

PM Narendra Modi's Yadav outreach: মধ্যপ্রদেশের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের যাদব ভোটব্যাংকের কথা মাথায় রেখে মোহন যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে ৷ 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য পাওয়াই এক্ষেত্রে বিজেপির প্রধান উদ্দেশ্য ৷ কিন্তু তাতে লাভ কি কিছু হবে ?

PM Narendra Modi's Yadav outreach
PM Narendra Modi's Yadav outreach
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 13, 2023, 1:12 PM IST

সাগর, 13 ডিসেম্বর: মধ্যপ্রদেশের মসনদে বসেছেন মোহন যাদব ৷ বিজেপি যখন সোমবার তাঁকে মুখ্য়মন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয়, তখন সকলেই বিস্মিত হয়েছিলেন ৷ অনেকেরই ধারণা ছিল ছত্তীশগড় ও রাজস্থানে নতুন মুখ আনার কথা ভাবলেও মধ্যপ্রদেশে সেই পথে হাঁটবে না বিজেপি ৷ বরং ওই রাজ্যে তো বটেই, সারা দেশে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় (সাড়ে 16 বছর) থাকার রেকর্ড করা শিবরাজ সিং চৌহানের উপরি ভরসা রাখবে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব ৷

ফলে শিবরাজকে সরিয়ে দেওয়া এযাবৎকালে বিজেপির জন্য সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল ৷ কারণ, শিবরাজ সিং চৌহান, যিনি মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে মামাজি হিসেবে পরিচিত, তিনি পাঁচবারের সাংসদ ৷ মধ্যপ্রদেশে চারবারের মুখ্যমন্ত্রী ৷ সব মিলিয়ে সাড়ে 16 বছর ওই পদে ছিলেন ৷ ‘বিমারু’ রাজ্য়েগুলির মধ্য়ে একসময় অন্যতম ছিল মধ্যপ্রদেশ ৷ সেই রাজ্যকে 13 লক্ষ 22 হাজার টাকার জিডিপি-তে পৌঁছে দিয়েছেন ৷

স্বাভাবিকভাবে এই সিদ্ধান্ত সকলের কাছেই বিস্ময়কর ৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনেক হিসেব কষেই মোহন যাদবের প্রতি আস্থা রেখেছেন ৷ তাছাড়া শুধু মধ্যপ্রদেশ নয়, রাজস্থান ও ছত্তীশগড়েও নতুন মুখ বেছেছেন মুখ্যমন্ত্রী পদে ৷ এই নিয়ে নির্বাচন বিশ্লেষক জগদীপ সিং বাইসের বক্তব্য, তিন রাজ্যে তিন নতুন মুখ এনে ঝুঁকি অবশ্য নিয়েছে বিজেপি ৷ কিন্তু এর নেপথ্যে বিজেপির দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ছবি স্পষ্ট হয়েছে ৷

তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসলে 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা বেশি করে মাথায় রেখেছেন ৷ উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও মধ্যপ্রদেশে যাদব ভোটব্যাংক হাতে রাখতেই মোহন যাদব শীর্ষপদে বসেছেন । বিজেপি মনে করছে, এই সিদ্ধান্তের জেরে তারা এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করছে ৷ একদিকে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি, অন্যদিকে বিহারে জেডিইউ ও আরজেডি-কে দুর্বল করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি ৷

উত্তরপ্রদেশে যাদবরা বরাবর সমাজবাদী পার্টির উপরে আস্থা রাখে ৷ সেখানে যাদব ভোট প্রায় 10 শতাংশ ৷ ওই রাজ্যের অন্তত 50টি জেলায় যাদব ভোটব্যাংক বড় ভূমিকা নেয় ৷ 2022 সালে হওয়া উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে যাদব ভোটের 85 শতাংশ অখিলেশ যাদবের দল ঘরে তুলেছে ৷ বিহারে আবার যাদব ভোটব্যাংককে উত্তরপ্রদেশের থেকেও শক্তিশালী মনে করা হয় ৷ সম্প্রতি বিহার সরকার যে জাতিগণনা করেছে, সেখানে দেখা গিয়েছে ওবিসি-দের মধ্যে যাদবদের সংখ্যাই বেশি ৷ বিহারে যাদব ভোট রয়েছে 14 শতাংশ ৷ তাই এই দুই রাজ্যে বিজেপি যাদবদের মন জিততে মরিয়া ৷ তারই প্রভাব পড়েছে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ৷

তাছাড়া বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক ইতিমধ্যে জাতিগণনার দাবি তুলেছে ৷ ওবিসি-সহ অনেকেই পিছিয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ তুলছে ৷ সেই প্রেক্ষিতে ওবিসি সম্প্রদায়ের মোহন যাদবকে মুখ্য়মন্ত্রী করে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে ওই অংশের ভোটারদের কাছেও বিশেষ বার্তা দিতে চাইছে বিজেপি ৷

কিন্তু যাদব-ওবিসি ভোটারদের কাছে টানতে গিয়ে কোনও ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল না তো বিজেপি ! উঠছে সেই প্রশ্নও ৷ কারণ, মোহন যাদবের নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই শিবরাজ-শিবিরে উচ্ছ্বাসের ছবি একেবারে উধাও ৷ অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশে বিজেপির ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত লোধি সম্প্রদায়ের ভোটাররাও ক্ষেপে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ কারণ, ওই রাজ্যে লোধিদের মুখ উমা ভারতী অনেক আগেই বিজেপিতে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছেন ৷

অন্যদিকে এবার ভোটের আগে থেকেই প্রহ্লাদ প্যাটেলের নাম শোনা যাচ্ছিল মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে ৷ দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জিতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর তাঁর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ সেই জল্পনাকে আরও বাড়িয়েছিল ৷ শেষপর্যন্ত তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি ৷ ফলে এই নিয়ে লোধি ভোটাররা বিজেপির উপর ক্ষুব্ধ হতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত ৷ উত্তরপ্রদেশেও লোধি ভোটের প্রভাব রয়েছে ৷ সেখানেও বিজেপির এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন ৷

এদিকে উজ্জয়িনীর বিধায়ক মোহন যাদবের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ময়দানে নেমে পড়েছে কংগ্রেস ৷ উজ্জয়িনী মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে তিনি বড় ধরনের দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছে রাহুল গান্ধির দল ৷ এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও নিশানা করেছে কংগ্রেস ৷ তারা প্রশ্ন তুলেছে, তাহলে রাজ্যে এটাই কি প্রধানমন্ত্রী মোদির গ্য়ারান্টি ? এই নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ ৷

আরও পড়ুন:

  1. প্রথমবার ভোটে জিতেই মরুরাজ্যের মসনদে, জেনে নিন কে এই ভজন লাল শর্মা
  2. কংগ্রেস থাকতে ভারতে ‘মানি হেইস্ট’ তৈরির প্রয়োজনই নেই, কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর
  3. 'বিজেপি কর্মীদের উপর ভরসা করে, কংগ্রেসের শিক্ষা নেওয়া উচিত', বললেন মধ্যপ্রদেশের মোহন যাদব

সাগর, 13 ডিসেম্বর: মধ্যপ্রদেশের মসনদে বসেছেন মোহন যাদব ৷ বিজেপি যখন সোমবার তাঁকে মুখ্য়মন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয়, তখন সকলেই বিস্মিত হয়েছিলেন ৷ অনেকেরই ধারণা ছিল ছত্তীশগড় ও রাজস্থানে নতুন মুখ আনার কথা ভাবলেও মধ্যপ্রদেশে সেই পথে হাঁটবে না বিজেপি ৷ বরং ওই রাজ্যে তো বটেই, সারা দেশে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় (সাড়ে 16 বছর) থাকার রেকর্ড করা শিবরাজ সিং চৌহানের উপরি ভরসা রাখবে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব ৷

ফলে শিবরাজকে সরিয়ে দেওয়া এযাবৎকালে বিজেপির জন্য সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল ৷ কারণ, শিবরাজ সিং চৌহান, যিনি মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে মামাজি হিসেবে পরিচিত, তিনি পাঁচবারের সাংসদ ৷ মধ্যপ্রদেশে চারবারের মুখ্যমন্ত্রী ৷ সব মিলিয়ে সাড়ে 16 বছর ওই পদে ছিলেন ৷ ‘বিমারু’ রাজ্য়েগুলির মধ্য়ে একসময় অন্যতম ছিল মধ্যপ্রদেশ ৷ সেই রাজ্যকে 13 লক্ষ 22 হাজার টাকার জিডিপি-তে পৌঁছে দিয়েছেন ৷

স্বাভাবিকভাবে এই সিদ্ধান্ত সকলের কাছেই বিস্ময়কর ৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনেক হিসেব কষেই মোহন যাদবের প্রতি আস্থা রেখেছেন ৷ তাছাড়া শুধু মধ্যপ্রদেশ নয়, রাজস্থান ও ছত্তীশগড়েও নতুন মুখ বেছেছেন মুখ্যমন্ত্রী পদে ৷ এই নিয়ে নির্বাচন বিশ্লেষক জগদীপ সিং বাইসের বক্তব্য, তিন রাজ্যে তিন নতুন মুখ এনে ঝুঁকি অবশ্য নিয়েছে বিজেপি ৷ কিন্তু এর নেপথ্যে বিজেপির দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ছবি স্পষ্ট হয়েছে ৷

তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসলে 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা বেশি করে মাথায় রেখেছেন ৷ উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও মধ্যপ্রদেশে যাদব ভোটব্যাংক হাতে রাখতেই মোহন যাদব শীর্ষপদে বসেছেন । বিজেপি মনে করছে, এই সিদ্ধান্তের জেরে তারা এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করছে ৷ একদিকে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি, অন্যদিকে বিহারে জেডিইউ ও আরজেডি-কে দুর্বল করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি ৷

উত্তরপ্রদেশে যাদবরা বরাবর সমাজবাদী পার্টির উপরে আস্থা রাখে ৷ সেখানে যাদব ভোট প্রায় 10 শতাংশ ৷ ওই রাজ্যের অন্তত 50টি জেলায় যাদব ভোটব্যাংক বড় ভূমিকা নেয় ৷ 2022 সালে হওয়া উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে যাদব ভোটের 85 শতাংশ অখিলেশ যাদবের দল ঘরে তুলেছে ৷ বিহারে আবার যাদব ভোটব্যাংককে উত্তরপ্রদেশের থেকেও শক্তিশালী মনে করা হয় ৷ সম্প্রতি বিহার সরকার যে জাতিগণনা করেছে, সেখানে দেখা গিয়েছে ওবিসি-দের মধ্যে যাদবদের সংখ্যাই বেশি ৷ বিহারে যাদব ভোট রয়েছে 14 শতাংশ ৷ তাই এই দুই রাজ্যে বিজেপি যাদবদের মন জিততে মরিয়া ৷ তারই প্রভাব পড়েছে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ৷

তাছাড়া বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক ইতিমধ্যে জাতিগণনার দাবি তুলেছে ৷ ওবিসি-সহ অনেকেই পিছিয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ তুলছে ৷ সেই প্রেক্ষিতে ওবিসি সম্প্রদায়ের মোহন যাদবকে মুখ্য়মন্ত্রী করে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে ওই অংশের ভোটারদের কাছেও বিশেষ বার্তা দিতে চাইছে বিজেপি ৷

কিন্তু যাদব-ওবিসি ভোটারদের কাছে টানতে গিয়ে কোনও ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল না তো বিজেপি ! উঠছে সেই প্রশ্নও ৷ কারণ, মোহন যাদবের নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই শিবরাজ-শিবিরে উচ্ছ্বাসের ছবি একেবারে উধাও ৷ অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশে বিজেপির ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত লোধি সম্প্রদায়ের ভোটাররাও ক্ষেপে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ কারণ, ওই রাজ্যে লোধিদের মুখ উমা ভারতী অনেক আগেই বিজেপিতে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছেন ৷

অন্যদিকে এবার ভোটের আগে থেকেই প্রহ্লাদ প্যাটেলের নাম শোনা যাচ্ছিল মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে ৷ দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জিতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর তাঁর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ সেই জল্পনাকে আরও বাড়িয়েছিল ৷ শেষপর্যন্ত তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি ৷ ফলে এই নিয়ে লোধি ভোটাররা বিজেপির উপর ক্ষুব্ধ হতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত ৷ উত্তরপ্রদেশেও লোধি ভোটের প্রভাব রয়েছে ৷ সেখানেও বিজেপির এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন ৷

এদিকে উজ্জয়িনীর বিধায়ক মোহন যাদবের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ময়দানে নেমে পড়েছে কংগ্রেস ৷ উজ্জয়িনী মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে তিনি বড় ধরনের দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছে রাহুল গান্ধির দল ৷ এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও নিশানা করেছে কংগ্রেস ৷ তারা প্রশ্ন তুলেছে, তাহলে রাজ্যে এটাই কি প্রধানমন্ত্রী মোদির গ্য়ারান্টি ? এই নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ ৷

আরও পড়ুন:

  1. প্রথমবার ভোটে জিতেই মরুরাজ্যের মসনদে, জেনে নিন কে এই ভজন লাল শর্মা
  2. কংগ্রেস থাকতে ভারতে ‘মানি হেইস্ট’ তৈরির প্রয়োজনই নেই, কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর
  3. 'বিজেপি কর্মীদের উপর ভরসা করে, কংগ্রেসের শিক্ষা নেওয়া উচিত', বললেন মধ্যপ্রদেশের মোহন যাদব
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.