ETV Bharat / bharat

Chandrababu Naidu Arrested: অন্ধ্রপ্রদেশের 371 কোটির স্কিল ডেভলপমেন্ট দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার চন্দ্রবাবু নাইডু

371 Cr Skill Development Case in Andhra Pradesh: 2015 সালে অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন সরকার যুবসমাজকে স্কিল ডেভলপমেন্টের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করে ৷ সেই স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে 371 কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ৷

Chandrababu Naidu Arrested ETV BHARAT
Chandrababu Naidu Arrested
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 9, 2023, 2:22 PM IST

হায়দরাবাদ, 9 সেপ্টেম্বর: টিডিপি শাসিত অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের আমলে স্কিল ডেভলপমেন্ট দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকে গ্রেফতার করেছে সে রাজ্যের গোয়েন্দা দফতর ৷ যার পরেই জাতীয় রাজনীতিতে ফের একবার আলোড়ন তৈরি হয়েছে ৷ অন্ধ্রপ্রদেশের নান্দিয়াল থেকে আজ সকাল 6টার সময় তেলেগু দেশম পার্টির প্রধানকে স্কিল ডেভলপমেন্ট দুর্নীতি মামলার কিংপিন হিসেবে গ্রেফতার করা হয় ৷ কিন্তু, ঠিক কী অভিযোগ ? আর কী বা এই স্কিল ডেভলপমেন্ট দুর্নীতি ?

2015 সালে অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু 3 হাজার 350 কোটি টাকার একটি প্রকল্পের চুক্তিতে সই করে ৷ যেখানে যুবসমাজকে স্কিল ডেভেলপমেন্টের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল ৷ সিমেন্স নামক একটি সংস্থার মাধ্যমে যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে অন্ধ্র সরকার ৷ এই সংস্থাটির নাম জার্মানির বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে মিলত ৷ এই প্রকল্প অনুযায়ী, বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্কিল ডেভলপমেন্টের প্রশিক্ষণের জন্য যে খরচ শিক্ষার্থীদের করতে হবে, তার 10 শতাংশ রাজ্য সরকার দেবে ৷

কিন্তু, অভিযোগ ওঠে এই প্রকল্পে রাজ্য সরকারের 240 কোটি টাকা সরিয়ে দেওয়া হয় ৷ এমনকি জাল রসিদ ও চালানের মাধ্যমে জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ৷ এই আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ প্রথমবার প্রকাশ্যে আসার পর বিষয়টির তদন্ত ভার যায় সিআইডি-র হাতে ৷ অন্ধ্রপ্রদেশ স্কিল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান কন্দুরু অজয় রেড্ডি অভিযোগ করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশ স্কিল ডেভলপমেন্ট প্রকল্পে একাধিক অনিয়ম হয়েছে ৷

টিডিপি সরকারের আমলে অন্ধ্রপ্রদেশ স্কিল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের কাজে বেনিয়মের অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয় ৷ এর পরেই ওয়াইএসআর কংগ্রেস সরকার 2021 সালে এই মামলায় সিআইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দেয় ৷ এই মামলায় সিআইডি-র তদন্ত রিপোর্টের উপর নির্ভর করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করে ৷ তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডি মোট 26 জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে ৷ সেই তালিকায় নাম ছিল অন্ধ্রের স্কিল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গন্টা সুব্বারাও এবং ডিরেক্টর কে লক্ষ্মীনারায়ণের ৷

আরও পড়ুন: দুর্নীতির অভিযোগ, গ্রেফতার অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু

তদন্তের অংশ হিসাবে, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার লক্ষ্মীনারায়ণকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন সিআইডি আধিকারিকরা ৷ কে লক্ষ্মীনারায়ণ এর আগে চন্দ্রবাবু নায়ডুর ওএসডি হিসাবে কাজ করেছিলেন ৷ এমনকি অবসরের পর অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছিলেন এই আইএএস ৷ তিনিই অন্ধ্রপ্রদেশ স্কিল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের প্রথম ডিরেক্টর ছিলেন ৷

তাঁর বাড়িতে সিআইডি তল্লাশি চালিয়েছিল ৷ অভিযোগ ছিল, স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের অন্তর্গত একটি ট্রেনিং সেন্টারের আড়ালে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে সেই তল্লাশি চালায় অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের গোয়েন্দা দফতর ৷ সিআইডি-র তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, সিমেন্সের এমডি সৌম্যদ্রি শেখর বোস এবং ডিজাইন টেকনলজির এমডি বিকাশ খানভিলকরের নামে 241 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল চন্দ্রবাবু নাইডুর সরকার ৷ কিন্তু, সেই টাকা 7টি ছোট ছোট বেনামি সংস্থার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয় ৷

এমনকি সরকার ও ওই সংস্থার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে হওয়া চুক্তির লেনদেনেও বিস্তর গলদ ধরা পড়ে বলে অভিযোগ ৷ সব মিলিয়ে 371 কোটি টাকার বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ৷ এই মামলায় তৎকালীন মুখ্য়মন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর সরাসরি যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ ৷ আর সেই সূত্রে, আজ সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি ৷ তাঁর ছেলেকেও আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷

হায়দরাবাদ, 9 সেপ্টেম্বর: টিডিপি শাসিত অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের আমলে স্কিল ডেভলপমেন্ট দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকে গ্রেফতার করেছে সে রাজ্যের গোয়েন্দা দফতর ৷ যার পরেই জাতীয় রাজনীতিতে ফের একবার আলোড়ন তৈরি হয়েছে ৷ অন্ধ্রপ্রদেশের নান্দিয়াল থেকে আজ সকাল 6টার সময় তেলেগু দেশম পার্টির প্রধানকে স্কিল ডেভলপমেন্ট দুর্নীতি মামলার কিংপিন হিসেবে গ্রেফতার করা হয় ৷ কিন্তু, ঠিক কী অভিযোগ ? আর কী বা এই স্কিল ডেভলপমেন্ট দুর্নীতি ?

2015 সালে অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু 3 হাজার 350 কোটি টাকার একটি প্রকল্পের চুক্তিতে সই করে ৷ যেখানে যুবসমাজকে স্কিল ডেভেলপমেন্টের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল ৷ সিমেন্স নামক একটি সংস্থার মাধ্যমে যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে অন্ধ্র সরকার ৷ এই সংস্থাটির নাম জার্মানির বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে মিলত ৷ এই প্রকল্প অনুযায়ী, বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্কিল ডেভলপমেন্টের প্রশিক্ষণের জন্য যে খরচ শিক্ষার্থীদের করতে হবে, তার 10 শতাংশ রাজ্য সরকার দেবে ৷

কিন্তু, অভিযোগ ওঠে এই প্রকল্পে রাজ্য সরকারের 240 কোটি টাকা সরিয়ে দেওয়া হয় ৷ এমনকি জাল রসিদ ও চালানের মাধ্যমে জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ৷ এই আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ প্রথমবার প্রকাশ্যে আসার পর বিষয়টির তদন্ত ভার যায় সিআইডি-র হাতে ৷ অন্ধ্রপ্রদেশ স্কিল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান কন্দুরু অজয় রেড্ডি অভিযোগ করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশ স্কিল ডেভলপমেন্ট প্রকল্পে একাধিক অনিয়ম হয়েছে ৷

টিডিপি সরকারের আমলে অন্ধ্রপ্রদেশ স্কিল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের কাজে বেনিয়মের অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয় ৷ এর পরেই ওয়াইএসআর কংগ্রেস সরকার 2021 সালে এই মামলায় সিআইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দেয় ৷ এই মামলায় সিআইডি-র তদন্ত রিপোর্টের উপর নির্ভর করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করে ৷ তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডি মোট 26 জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে ৷ সেই তালিকায় নাম ছিল অন্ধ্রের স্কিল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গন্টা সুব্বারাও এবং ডিরেক্টর কে লক্ষ্মীনারায়ণের ৷

আরও পড়ুন: দুর্নীতির অভিযোগ, গ্রেফতার অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু

তদন্তের অংশ হিসাবে, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার লক্ষ্মীনারায়ণকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন সিআইডি আধিকারিকরা ৷ কে লক্ষ্মীনারায়ণ এর আগে চন্দ্রবাবু নায়ডুর ওএসডি হিসাবে কাজ করেছিলেন ৷ এমনকি অবসরের পর অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছিলেন এই আইএএস ৷ তিনিই অন্ধ্রপ্রদেশ স্কিল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের প্রথম ডিরেক্টর ছিলেন ৷

তাঁর বাড়িতে সিআইডি তল্লাশি চালিয়েছিল ৷ অভিযোগ ছিল, স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের অন্তর্গত একটি ট্রেনিং সেন্টারের আড়ালে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে সেই তল্লাশি চালায় অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের গোয়েন্দা দফতর ৷ সিআইডি-র তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, সিমেন্সের এমডি সৌম্যদ্রি শেখর বোস এবং ডিজাইন টেকনলজির এমডি বিকাশ খানভিলকরের নামে 241 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল চন্দ্রবাবু নাইডুর সরকার ৷ কিন্তু, সেই টাকা 7টি ছোট ছোট বেনামি সংস্থার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয় ৷

এমনকি সরকার ও ওই সংস্থার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে হওয়া চুক্তির লেনদেনেও বিস্তর গলদ ধরা পড়ে বলে অভিযোগ ৷ সব মিলিয়ে 371 কোটি টাকার বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ৷ এই মামলায় তৎকালীন মুখ্য়মন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর সরাসরি যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ ৷ আর সেই সূত্রে, আজ সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি ৷ তাঁর ছেলেকেও আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.