বেঙ্গালুরু, 2 এপ্রিল: অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার অভ্যেসের জন্য পশ্চিমি দেশগুলির সমালোচনা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর । রবিবার তিনি বলেন, পশ্চিমি দেশগুলি মনে করে যে, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা তাদের ঈশ্বর প্রদত্ত অধিকার ৷
জয়শংকর রবিবার সকালে বেঙ্গালুরু দক্ষিণের সাংসদ তেজস্বী সূর্য এবং বেঙ্গালুরু সেন্ট্রালের সাংসদ পিসি মোহন আয়োজিত 'মিট অ্যান্ড গ্রিট' ইভেন্টে রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খোয়ানো নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে এই মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী ৷ কিউবন পার্কে 500রও বেশি তরুণ ভোটার, জগার এবং দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথোপকথনে অংশ নেন এস জয়শংকর ৷
রাগাকে নিয়ে একটি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে জয়শংকর বলেন, "আমি আপনাকে সত্য উত্তর দেব (কেন আমরা পশ্চিম ভারতকে নিয়ে মন্তব্য করতে দেখি)। দুটি কারণ আছে । কারণ পশ্চিমিদের অন্যকে নিয়ে মন্তব্য করার বদ অভ্যাস রয়েছে । তারা এটাতে ঈশ্বর প্রদত্ত অধিকার বলে মনে করে । তাদের কেবল অভিজ্ঞতা থেকেই শিখতে হবে ৷ তারা যদি এটা করে যেতে থাকে, তবে অন্যান্য লোকেরাও মন্তব্য করতে শুরু করবে এবং যখন এই ঘটনা ঘটবে তখন তাদের সেটা পছন্দ হবে না ।"
তিনি আরও বলেন, "সত্যের দ্বিতীয় অংশ - আমাদের যুক্তিতে, আপনি জনগণকে আপনার বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন । তারপরে আরও বেশি লোক মন্তব্য করতে প্রলুব্ধ হয় । আমাদের ভারতে সমস্যা আছে বলে বিশ্বকে উদার আমন্ত্রণ দেওয়া বন্ধ করতে হবে ৷"
রাজনৈতিক দলগুলির দ্বারা বিনামূল্যে পরিষেবার সংস্কৃতির নিন্দা করে জয়শংকর বলেন, এই ফ্রিবি সংস্কৃতি - দিল্লির কিছু লোক যার ওস্তাদ, তারা এটি করছে কারণ তাদের সম্পদ বাড়ানোর কোনও দায়িত্ব নেই । বিনামূল্যের ভিত্তিতে একটি দেশ চালানো যায় না ৷ কোথাও না কোথাও কারওকে এর মাশুল দিতে হবে । বিদেশমন্ত্রীর মতে, এই সংস্কৃতি দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়ার একটি উপায় এবং এটি একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন উপায় ।
উল্লেখ্য, 'মোদি' পদবি নিয়ে একটি মন্তব্যের জন্য 2019 সালের ফৌজদারি মানহানির মামলায় গুজরাতের আদালত রাহুল গান্ধিকে দোষী সাব্যস্ত করে 2 বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ৷ যার ফলস্বরূপ রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে ৷ এরপরই এই নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদে শামিল হয় কংগ্রেস ৷ নিম্নকক্ষে রাহুলের সদস্যপদ হারানোর প্রেক্ষিতে তারা সমমনস্ক বিরোধীদের একজোট করে সমাবেশ করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: দিদি, ও দিদি মন্তব্যের জন্য মোদির পদ খারিজ কেন হবে না, প্রশ্ন অভিষেকের